অনলাইন ইনকাম

৫০ হাজার টাকা দিয়ে কিভাবে প্রতিদিন ১ হাজার টাকা উপার্জন করা যায়

বর্তমান যুগে ছোট পরিসরে বিনিয়োগ করে লাভজনক ব্যবসা বা উপার্জনের পথ তৈরি করা সম্ভব। ৫০ হাজার টাকা একটি সীমিত মূলধন, তবে সঠিক পরিকল্পনা, দক্ষতা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রতিদিন ১,০০০ টাকা আয় করা সম্ভব।৫০ হাজার টাকা দিয়ে কিভাবে প্রতিদিন ১ হাজার টাকা উপার্জন করা যায়সফল উপার্জনের জন্য সঠিক ব্যবসায়িক মডেল নির্বাচন, বাজার বিশ্লেষণ এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের যথাযথ ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। অনলাইন ব্যবসা, রিসেলিং, ফ্রিল্যান্সিং, সেবা প্রদান, কৃষি ও ক্ষুদ্র উৎপাদন ইত্যাদি খাতে বিনিয়োগ করে এই লক্ষ্য অর্জন করা যেতে পারে।

আজকের আর্টিকেলে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে কিভাবে প্রতিদিন ১ হাজার টাকা উপার্জন করা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

৫০ হাজার টাকা দিয়ে কিভাবে প্রতিদিন ১ হাজার টাকা উপার্জন করা যায়?

নিচে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে কিভাবে প্রতিদিন ১ হাজার টাকা উপার্জন করা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ

১. ছোট ব্যবসা শুরু করা

পণ্য বিক্রি

আপনি ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ছোট পরিসরে পণ্য ক্রয় করে বিক্রি করতে পারেন। যেমনঃ ফ্যাশন আইটেম, ইলেকট্রনিক্স, বা দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিস। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম (যেমনঃ ফেসবুক মার্কেটপ্লেস, ডারাজ) ব্যবহার করে বিক্রি করতে পারেন।

খাবার ব্যবসা

যদি রান্নায় দক্ষ হন, তাহলে হোমমেড খাবার বিক্রি করে প্রতিদিন ১ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।

২. স্টক মার্কেট বা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ

স্টক মার্কেট বা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে লাভের সম্ভাবনা রয়েছে, তবে এটি ঝুঁকিপূর্ণ। ভালো গবেষণা এবং পরামর্শের পর বিনিয়োগ করা উচিত।

৩. ডিজিটাল মার্কেটিং বা ফ্রিল্যান্সিং

আপনি ৫০ হাজার টাকা দিয়ে একটি ল্যাপটপ বা প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনে ফ্রিল্যান্সিং বা ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করতে পারেন। স্কিল ডেভেলপ করে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম (যেমনঃ ফাইভার, আপওয়ার্ক) থেকে আয় করা সম্ভব।

আরও পড়ুনঃ ফিচার লিখে আয়

৪. ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং

ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং করে দ্রুত আয় করা সম্ভব, তবে এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ভালো জ্ঞান এবং সতর্কতা প্রয়োজন।

৫. অনলাইন কন্টেন্ট ক্রিয়েশন

আপনি ইউটিউব চ্যানেল, ব্লগ, বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কন্টেন্ট তৈরি করে আয় করতে পারেন। শুরুতে বিনিয়োগের প্রয়োজন হতে পারে ক্যামেরা, মাইক্রোফোন ইত্যাদি কেনার জন্য।

৬. রিয়েল এস্টেট ফ্লিপিং

যদি আপনি রিয়েল এস্টেট মার্কেটে অভিজ্ঞ হন, তাহলে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ছোট ছোট প্রপার্টি কিনে রেনোভেট করে বিক্রি করে লাভ করা সম্ভব।

৭. সেবা ভিত্তিক ব্যবসা

যেমনঃ টিউশন সেন্টার, ফিটনেস ট্রেনিং বা কোনো বিশেষ দক্ষতা ভিত্তিক সেবা প্রদান।

৮. ই-কমার্স বা ড্রপশিপিং ব্যবসা

আপনি অ্যামাজন, ইবে বা স্থানীয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এতে আপনাকে পণ্য মজুত রাখতে হয় না। গ্রাহকের অর্ডার পেলে সরাসরি সাপ্লায়ার থেকে পণ্য পাঠানো হয়। ৫০ হাজার টাকা দিয়ে আপনি মার্কেটিং এবং ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।

৯. এফিলিয়েট মার্কেটিং

আপনি অনলাইনে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন। যেমনঃ অ্যামাজন, ডারাজ, বা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের এফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগ দিয়ে পণ্য বিক্রি করে কমিশন আয় করা। এজন্য ব্লগ, ইউটিউব চ্যানেল, বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে পারেন।

১০. মিনি ইম্পোর্ট ব্যবসা

আপনি চীন বা অন্যান্য দেশ থেকে ছোট ছোট পণ্য আমদানি করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে পারেন। যেমনঃ ফ্যাশন আইটেম, গ্যাজেট, বা হোম ডেকোরেশন আইটেম। ৫০ হাজার টাকা দিয়ে আপনি প্রথম লট আমদানি করতে পারেন।

১১. ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি

আপনি ডিজিটাল প্রোডাক্ট তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। যেমনঃ ই-বুক, অনলাইন কোর্স, টেমপ্লেট, বা সফটওয়্যার। একবার তৈরি করলে বারবার বিক্রি করা যায়, যা প্যাসিভ ইনকামের উৎস হতে পারে।

১২. মিনি ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট

আপনি ছোট পরিসরে কোনো পণ্য উৎপাদন শুরু করতে পারেন। যেমনঃ সাবান, মোমবাতি, বা হ্যান্ডমেড ক্রাফট। স্থানীয় বাজারে বা অনলাইনে বিক্রি করে প্রতিদিন ১ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।

১৩. ভাড়া ব্যবসা

আপনি ৫০ হাজার টাকা দিয়ে কিছু সরঞ্জাম কিনে ভাড়া দিতে পারেন। যেমনঃ ইভেন্টের জন্য চেয়ার-টেবিল, সাউন্ড সিস্টেম, বা কনস্ট্রাকশন সরঞ্জাম। ভাড়া ব্যবসায় একবার বিনিয়োগ করলে দীর্ঘমেয়াদে আয় করা যায়।

১৪. অ্যাগ্রিকালচার বা হাইড্রোপনিক ফার্মিং

আপনি ছোট পরিসরে সবজি বা ফলের চাষ শুরু করতে পারেন। হাইড্রোপনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে কম জায়গায় বেশি উৎপাদন করা সম্ভব। স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে প্রতিদিন ১ হাজার টাকা আয় করা যেতে পারে।

১৫. ফটোগ্রাফি বা ভিডিওগ্রাফি সার্ভিস

আপনি একটি ভালো ক্যামেরা কিনে ইভেন্ট ফটোগ্রাফি বা ভিডিওগ্রাফি সার্ভিস শুরু করতে পারেন। ওয়েডিং, কর্পোরেট ইভেন্ট বা পার্টিতে কাজ করে প্রতিদিন ১ হাজার টাকা বা তার বেশি আয় করা সম্ভব।

আরও পড়ুনঃ এড দেখে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট

১৬. অনলাইন টিউশন বা কনসালটেশন

আপনি যদি কোনো বিষয়ে দক্ষ হন, তাহলে অনলাইন টিউশন বা কনসালটেশন সার্ভিস দিতে পারেন।
প্ল্যাটফর্ম যেমনঃ Zoom বা Google Meet ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের পড়াতে পারেন।

১৭. মিনি ক্যাফে বা ফুড ট্রাক

আপনি ৫০ হাজার টাকা দিয়ে একটি ছোট ফুড ট্রাক বা মিনি ক্যাফে শুরু করতে পারেন। জনপ্রিয় খাবার যেমনঃ স্যান্ডউইচ, জুস, বা স্থানীয় স্পেশালিটি আইটেম বিক্রি করে প্রতিদিন ১ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।

১৮. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট

আপনি ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস দিতে পারেন। যেমনঃ ফেসবুক পেজ, ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ম্যানেজ করা। প্রতি ক্লায়েন্ট থেকে মাসিক ফি নিয়ে আয় করা যায়।

১৯. রিসেলিং ব্যবসা

আপনি পুরানো জিনিসপত্র কিনে সেগুলো মেরামত করে বা পরিষ্কার করে বেশি দামে বিক্রি করতে পারেন। যেমনঃ ফার্নিচার, ইলেকট্রনিক্স, বা ফ্যাশন আইটেম।

২০. ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট

আপনি ছোট ইভেন্ট আয়োজন করে আয় করতে পারেন। যেমনঃ জন্মদিন, অফিস মিটিং বা সামাজিক অনুষ্ঠান। ৫০ হাজার টাকা দিয়ে প্রাথমিক সরঞ্জাম কিনে শুরু করতে পারেন।

২১. ক্ষুদ্র ব্যবসা (Small Business)

চা ও নাশতা স্টল

লোকেশন বেছে নিন যেখানে প্রচুর মানুষ চলাফেরা করে। প্রতিদিন ৫০০-৬০০ টাকার মাল বিক্রি করে ৩০-৫০% লাভ করা সম্ভব।

ফাস্ট ফুড বা স্ট্রিট ফুড

বার্গার, ফুচকা, চটপটি, স্যান্ডউইচ ইত্যাদি বিক্রি করতে পারেন। জনপ্রিয় লোকেশনে প্রতিদিন ৫,০০০ টাকার বিক্রি হলে ২০% লাভে ১,০০০ টাকা আয় করা সম্ভব।

ফল বা সবজির ব্যবসা

পাইকারি বাজার থেকে ফল বা সবজি কিনে খুচরা বিক্রি করুন। প্রতিদিন ৫,০০০ টাকার বিক্রি হলে ২০% লাভে ১,০০০ টাকা আয় করা সম্ভব।

২২. অনলাইন ব্যবসা

ড্রপশিপিং বা ই-কমার্স

ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে ট্রেন্ডিং পণ্য বিক্রি করুন (গহনা, কসমেটিকস, গ্যাজেট, গিফট আইটেম)। প্রতিদিন ৫-১০টি অর্ডার পেলে ২০০-৩০০ টাকা লাভে ১,০০০ টাকা আয় সম্ভব।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

ইউটিউব বা ফেসবুকে পণ্য রিভিউ করে অ্যাফিলিয়েট কমিশন উপার্জন করুন।

ফ্রিল্যান্সিং

ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং, ভিডিও এডিটিং, ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদি কাজ করে প্রতিদিন ১,০০০ টাকা আয় করা সম্ভব। ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ভালো ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট সংযোগ নিলে শুরু করতে পারেন।

২৩. রাইড শেয়ারিং বা ডেলিভারি সার্ভিস

বাইক থাকলে উবার, পাঠাও বা ফুডপান্ডায় কাজ করতে পারেন। প্রতিদিন ৫-৬ ঘণ্টা কাজ করে ১,০০০ টাকা আয় করা সম্ভব।

২৪. ক্ষুদ্র বিনিয়োগ (Investment)

শেয়ার বাজার বা ক্রিপ্টো ট্রেডিং

দক্ষ হলে শেয়ার বাজার বা ক্রিপ্টোতে দৈনিক ট্রেডিং করে লাভ করতে পারেন। তবে এটি ঝুঁকিপূর্ণ, তাই শিখে বিনিয়োগ করুন।

এজেন্ট ব্যাংকিং বা মোবাইল রিচার্জ

বিকাশ, নগদ বা রকেট এজেন্ট হিসেবে কাজ করলে প্রতিদিন ভালো কমিশন আয় করা যায়।

২৫. পোশাক ও ফ্যাশন ব্যবসা

গার্মেন্টস পণ্য খুচরা বিক্রি

পাইকারি বাজার (বনানী, ইসলামপুর, চকবাজার) থেকে কম দামে পোশাক কিনে ফেসবুকে বা লোকাল মার্কেটে বিক্রি করুন। ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ১০০+ টি পোশাক কিনতে পারবেন, দিনে ৫-১০টি বিক্রি হলে ১,০০০ টাকা লাভ সম্ভব।

হাতের কাজ ও কাস্টমাইজড পোশাক

ব্লক প্রিন্ট, টাই-ডাই, এমব্রয়ডারি করা শাড়ি বা কুর্তি তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। অল্প বিনিয়োগে বাড়িতে বসেই লাভজনক ব্যবসা।

২৬. হাতের কাজ ও হস্তশিল্প

চামড়া, বাঁশ বা মাটির কাজ

দেশি ও বিদেশি মার্কেটে বাঁশের ব্যাগ, মাটির পাত্র, কাঁথা, চামড়ার পণ্য বিক্রি করতে পারেন। ৫০ হাজার টাকা দিয়ে উপকরণ কিনে ১০-১৫ দিনে ভালো মুনাফা করা সম্ভব।

গহনা ও ক্রাফট ব্যবসা

কাস্টমাইজড জুয়েলারি (রেজিন, পুঁতির মালা, কাঠের গহনা) বানিয়ে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে বিক্রি করুন। প্রতিদিন ১০-১৫টি বিক্রি হলে ১,০০০ টাকা লাভ সম্ভব।

আরও পড়ুনঃ কোটি টাকা আয় করার উপায়

২৭. শিক্ষা ও কোচিং ব্যবসা

টিউশন ও অনলাইন ক্লাস

গণিত, ইংরেজি বা প্রোগ্রামিং শেখানোর দক্ষতা থাকলে টিউশন বা অনলাইন কোর্স করাতে পারেন। দিনে ২-৩টি ক্লাস করলেই ১,০০০ টাকা আয়ে সম্ভব।

নোট ও সাজেশন বিক্রি

এসএসসি, এইচএসসি বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নোট, সাজেশন বানিয়ে PDF আকারে বিক্রি করতে পারেন।

২৮. রিসেলিং ও পাইকারি ব্যবসা

পাইকারি কেনাবেচা (হোলসেল বিজনেস)

পাইকারি দামে মোবাইল অ্যাক্সেসরিজ, কসমেটিকস বা ইলেকট্রনিক পণ্য কিনে খুচরা বিক্রি করতে পারেন। ৫০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করলে দৈনিক ১,০০০-২,০০০ টাকা লাভ করা সম্ভব।

পুরাতন জিনিস রিসেলিং

ফেসবুক মার্কেটপ্লেস বা বিক্রয় ডটকমে পুরাতন ফার্নিচার, মোবাইল বা ল্যাপটপ রিসেল করুন।

২৯. বেকারি ও হোমমেড ফুড বিজনেস

কেক ও পেস্ট্রি বিক্রি

বাড়িতে বসে কেক, পেস্ট্রি, ব্রাউনি বানিয়ে অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। প্রতিদিন ৫-১০টি কেক বিক্রি করলে ১,০০০ টাকা লাভ সম্ভব।

হোমমেড পিকলস ও চাটনি

আচার, চাটনি, ঘরে তৈরি খাবার বিক্রি করলে ভালো লাভ হয়।

৩০. গাড়ি ও বাইক সংক্রান্ত ব্যবসা

বাইক/গাড়ির স্টিকার ও গ্রাফিক্স ডিজাইন

বিভিন্ন গাড়ির স্টিকার ও নম্বর প্লেট প্রিন্টিং ও ডিজাইন করে দিতে পারেন। ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগে প্রিন্টার ও কাঁচামাল কিনে লাভজনক ব্যবসা শুরু করা সম্ভব।

ছোটখাটো সার্ভিসিং বা কারওয়াশ

গাড়ি ধোয়া, বাইক পরিষ্কার করা সার্ভিস চালু করতে পারেন। প্রতিদিন ১০টি গাড়ি পরিষ্কার করলেই ১,০০০ টাকা আয়ে সম্ভব।

৩১. মিটিং রুম ও কো-ওয়ার্কিং স্পেস রেন্টাল

ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কম খরচে বসার জায়গা বা ছোট অফিস স্পেস ভাড়া দিন।

৩২. ক্ষুদ্র ট্রাভেল ও ট্যুরিজম ব্যবসা

লোকাল ট্যুর প্ল্যানিং, ট্যুর গাইড বা হোটেল বুকিং সার্ভিস দিয়ে আয়ের সুযোগ আছে। প্রতিদিন ২-৩টি বুকিং পেলেই ১,০০০ টাকা লাভ সম্ভব।

৩৩. মোবাইল ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি

৫০ হাজার টাকা দিয়ে ভালো মোবাইল ও অ্যাক্সেসরিজ কিনে ফটোশুট ও ভিডিও শ্যুটের কাজ করতে পারেন। জন্মদিন, পার্টি বা ওয়েডিং ফটোশুট করিয়ে ৫,০০০-১০,০০০ টাকা আয় করা সম্ভব।

৩৪. ট্রাফিক সিগন্যালে বা রাস্তায় ক্ষুদ্র ব্যবসা

পানি, ফলের রস, ফাস্ট ফুড বা গিফট আইটেম বিক্রি করতে পারেন। প্রতিদিন ৫,০০০ টাকার বিক্রি হলে ২০% লাভে ১,০০০ টাকা আয়ে সম্ভব।

৩৫. ই-কমার্স ও অনলাইন স্টোর

কাস্টমাইজড গিফট আইটেম

মগ, টি-শার্ট, কুশন, কী-রিং ইত্যাদিতে নাম বা ছবি প্রিন্ট করে বিক্রি করতে পারেন। ৫০ হাজার টাকা দিয়ে প্রিন্টিং মেশিন কিনে কাজ শুরু করা সম্ভব।

অনলাইন স্টেশনারি ও গ্যাজেট শপ

ছাত্রদের জন্য নোটবুক, কলম, ক্যালকুলেটর, মোবাইল স্ট্যান্ড, হেডফোন ইত্যাদি বিক্রি করুন।

৩৬. ফুড ডেলিভারি বা হোম কুকিং সার্ভিস

অফিস লাঞ্চ ডেলিভারি

অফিস বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হোমমেড খাবার সরবরাহ করুন। প্রতিদিন ২০-৩০টি খাবার বিক্রি করলে ১,০০০-২,০০০ টাকা লাভ সম্ভব।

ফুড কার্ট বা স্মল কিচেন

৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগে ছোটখাটো ফুড ট্রাক বা কার্ট দিয়ে বার্গার, স্যান্ডউইচ, চা বিক্রি করতে পারেন।

৩৭. অনলাইন স্কিল শেখানো

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স

ফেসবুক মার্কেটিং, SEO, কন্টেন্ট রাইটিং শেখানোর অনলাইন কোর্স তৈরি করুন। প্রতিদিন ৫-১০ জন শিক্ষার্থী পেলেই ১,০০০ টাকা আয় সম্ভব।

মিউজিক বা আর্ট শেখানো

গিটার, ড্রয়িং, ক্যালিগ্রাফি শেখানোর অনলাইন ক্লাস নিতে পারেন।

৩৮. সেকেন্ড হ্যান্ড পণ্য বিক্রি

পুরাতন মোবাইল ও ইলেকট্রনিক্স রিসেল

ভালো কন্ডিশনের পুরাতন মোবাইল, ল্যাপটপ কিনে নতুনদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করুন।

পুরাতন জামাকাপড় ও ফার্নিচার বিক্রি

ব্র্যান্ডেড পুরাতন জামাকাপড় কম দামে কিনে রিসেল করতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ কন্টেন্ট রাইটিং করে আয়

৩৯. ছোটখাটো সেবা প্রদানকারী ব্যবসা

বাড়ির কাজের সহায়তা (Home Service)

AC পরিষ্কার, ঘর পরিষ্কার, ইলেকট্রিক কাজ, মোবাইল মেরামত ইত্যাদির সেবা দিন।

লন্ড্রি ও ড্রাই ক্লিনিং সার্ভিস

অল্প জায়গায় কাপড় ধোয়া ও আয়রন করার সার্ভিস চালু করুন।

৪০. স্মার্ট বিনিয়োগ (Smart Investment)

ছোটখাটো অ্যাফিলিয়েট ও ব্লগিং

একটি ওয়েবসাইট খুলে ব্লগ লিখে গুগল অ্যাডসেন্স ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে ইনকাম করতে পারেন।

মিনি স্টক ট্রেডিং ও ফরেক্স

৫০ হাজার টাকায় শেয়ার মার্কেটে বা ফরেক্সে বিনিয়োগ করে ডেইলি ট্রেড করতে পারেন। (ঝুঁকিপূর্ণ, তাই শেখার পর বিনিয়োগ করুন)।

৪১. স্মার্ট গার্ডেনিং ও অর্গানিক পণ্য

ইনডোর প্ল্যান্ট ও নার্সারি ব্যবসা

ছোট পাত্রে অ্যালোভেরা, মানিপ্ল্যান্ট, ক্যাকটাস ইত্যাদি চাষ করে বিক্রি করুন। প্রতিদিন ৫-১০টি গাছ বিক্রি করলেই ১,০০০ টাকা লাভ সম্ভব।

মধু ও অর্গানিক খাবার বিক্রি

খাটি মধু, গরুর দুধ, দেশি ঘি, হারবাল প্রোডাক্ট বিক্রি করুন।

৪২. ইলেকট্রনিক্স ও গ্যাজেট রেন্টাল

ক্যামেরা ও ড্রোন রেন্টাল

৫০ হাজার টাকায় ভালো মানের ক্যামেরা বা ড্রোন কিনে ইভেন্টের জন্য ভাড়া দিতে পারেন। একদিনে ১,০০০-২,০০০ টাকা আয় সম্ভব।

সাউন্ড সিস্টেম বা DJ সেট রেন্টাল

পার্টি, বিয়ে বা অনুষ্ঠানের জন্য সাউন্ড সিস্টেম ভাড়া দিতে পারেন।

৪৩. পোষা প্রাণী ও অ্যাক্সেসরিজ ব্যবসা

পোষা প্রাণীর খাবার ও সরঞ্জাম বিক্রি

কুকুর, বিড়াল বা পাখির খাবার, লিটার বক্স, খাঁচা ইত্যাদি বিক্রি করুন।

পোষা প্রাণী ব্রিডিং ও বিক্রি

জনপ্রিয় জাতের বিড়াল, কুকুর, কবুতর বা মাছ পালন করে বিক্রি করুন।

৪৪. লোকাল ট্রান্সপোর্ট ও লজিস্টিক সার্ভিস

বাইক বা সাইকেল রেন্টাল

ট্যুরিস্ট এলাকায় বাইক বা সাইকেল ভাড়া দিতে পারেন।

পার্সেল ও ডেলিভারি সার্ভিস

লোকাল ডেলিভারি ব্যবসা শুরু করতে পারেন (যেমনঃ খাবার, গিফট বা কুরিয়ার সার্ভিস)।

৪৫. মিনি সিনেমা হল বা গেমিং জোন

৫০ হাজার টাকায় ভালো প্রজেক্টর কিনে ছোটখাটো সিনেমা হল চালু করতে পারেন। প্লেস্টেশন বা কম্পিউটার গেম খেলার স্পট খুললে ঘণ্টাপ্রতি চার্জ নিয়ে ১,০০০+ টাকা আয় করা সম্ভব।

৪৬. অনলাইন ও অফলাইন নেটওয়ার্ক মার্কেটিং

বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য (কসমেটিকস, ফিটনেস প্রোডাক্ট) বিক্রি করে কমিশন আয় করতে পারেন।

৪৭. স্মার্ট কন্সাল্টিং ও আইটি সার্ভিস

স্টার্টআপ কনসাল্টিং

নতুন ব্যবসায়ীদের আইডিয়া ও প্ল্যানিং সংক্রান্ত পরামর্শ দিয়ে ইনকাম করতে পারেন।

ছোটখাটো অ্যাপ ও ওয়েবসাইট বানানো

ফাইভার বা আপওয়ার্কে ছোট ব্যবসার জন্য ওয়েবসাইট ডিজাইন করে ইনকাম করুন।

৪৮. ড্রোন ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি

৫০ হাজার টাকা দিয়ে একটি ড্রোন কিনে ওয়েডিং, ইভেন্ট বা রিয়েল এস্টেট ফটোগ্রাফি করতে পারেন। প্রতিটি প্রজেক্ট থেকে ৫,০০০-১০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় সম্ভব।

৪৯. স্মার্টফোন রিপেয়ার ও এক্সেসরিজ ব্যবসা

কম খরচে মোবাইল রিপেয়ার শিখে ছোট দোকান দিতে পারেন। স্ক্রিন চেঞ্জ, ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট, কভার-প্রটেক্টর বিক্রি করে প্রতিদিন ১,০০০+ টাকা লাভ সম্ভব।

৫০. লোকাল ট্যুর গাইড ও ট্র্যাভেল অ্যাসিস্ট্যান্স

ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য ট্যুর গাইড সার্ভিস চালু করুন। প্রতি ট্যুরে ২,০০০-৫,০০০ টাকা চার্জ নিতে পারেন।

৫১. ছোটখাটো ফার্নিচার ও কাঠের কাজ

চেয়ারের কুশন, কাঠের শো-পিস, নামফলক ইত্যাদি বানিয়ে বিক্রি করতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ অংক করে টাকা ইনকাম

৫২. মোবাইল ফিল্ম মেকিং বা শর্ট ফিল্ম প্রোডাকশন

স্মার্টফোন দিয়ে ছোটখাটো ভিডিও বা শর্টফিল্ম বানিয়ে ইউটিউবে মনিটাইজ করুন।

৫৩. হস্তশিল্প ও কাস্টমাইজড হোম ডেকর

কাঠ, বেত, মাটি বা গ্লাস দিয়ে ঘর সাজানোর পণ্য তৈরি করুন। ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে বিক্রি করতে পারেন।

৫৪. স্মার্টফোন অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট

অল্প বাজেটে ছোটখাটো মোবাইল অ্যাপ বানিয়ে গুগল প্লে স্টোরে আপলোড করে ইনকাম করুন।

৫৫. থিম বেসড পার্টি ও ইভেন্ট প্ল্যানিং

জন্মদিন, বেবি শাওয়ার, গায়ে হলুদ ইত্যাদির জন্য সুন্দর থিম সেটআপ দিন।

৫৬. ছোটখাটো ৩D প্রিন্টিং ব্যবসা

৫০ হাজার টাকা দিয়ে ৩D প্রিন্টার কিনে কাস্টমাইজড পণ্য তৈরি করতে পারেন।

৫৭. সাইকেল মেরামত ও এক্সেসরিজ বিক্রি

শহর বা লোকাল এরিয়ায় সাইকেল রিপেয়ার সার্ভিস দিতে পারেন।

৫৮. ন্যানো ফার্মিং (Micro Farming)

খুব ছোট জায়গায় ক্যাকটাস, অ্যালোভেরা, মাশরুম বা মাইক্রোগ্রিন চাষ করতে পারেন।

৪৯. স্মার্টফোন ব্যাক কভার ডিজাইন ও বিক্রি

জনপ্রিয় ট্রেন্ড অনুযায়ী মোবাইল কভার ডিজাইন করুন এবং ফেসবুকে বিক্রি করুন।

৬০. DIY ওয়ার্কশপ ও ক্লাস

ফটোগ্রাফি, হস্তশিল্প, ক্যালিগ্রাফি, ডিজাইন শেখানোর ক্লাস নিতে পারেন।

৬১. মিনি ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং এজেন্সি

লোকাল ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট মার্কেটিং করে কমিশন ইনকাম করুন।

৬২. স্মার্টফোন গেমিং টুর্নামেন্ট আয়োজন

পাবজি, ফ্রি ফায়ার বা ফিফা গেমিং টুর্নামেন্ট আয়োজন করে এন্ট্রি ফি নিয়ে আয়ের সুযোগ রয়েছে।

৬৩. পডকাস্টিং ও ভয়েসওভার সার্ভিস

ভয়েসওভার কাজ বা পডকাস্ট বানিয়ে স্পটিফাই, ইউটিউবে ইনকাম করতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ ডলার ইনকাম করার উপায়

৬৪. কাস্টমাইজড নামফ্রেম ও ফটো ফ্রেম ডিজাইন

কাঠের বা ডিজিটাল ফ্রেম ডিজাইন করে অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button