মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়
সাধারণত মেয়েদের ঘরের কাজ শেষ করার পরে তাদের হাতে অনেকটা সময় থেকে যায়। বর্তমান এই আধুনিক যুগে অবসর সময়টাকে কাজে লাগিয়ে। মেয়েরা ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন।আজকের এই আর্টিকেলে আমি মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা পনেরোটি উপায় নিম্নে উল্লেখ করছি। তাহলে চলুন প্রথম মেয়েদের ঘরে বসে ইনকামের সুবিধা সম্পর্কে জেনে আসি।
মেয়েরা ঘরে বসে ইনকাম করার সুবিধা?
সাধারণত মেয়েদেরকে সংসারের বিভিন্ন কাজ করতে হয়। বিশেষ করে রান্না করা, ঘর বাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, শশুর শাশুড়ির দেখাশোনা করা এবং ছোট বাচ্চা থাকলে তাদের দেখাশোনার পাশিপাশি স্কুলে নিয়ে যাওয়া আসা সহ আরও অনেক কাজ থাকে।
এই কাজ গুলো করার পাশাপাশি মেয়েদের বাইরে গিয়ে কোন অফিস কিংবা ব্যবসায় করা সম্ভব হয়ে উঠেনা। কিন্তু বাড়ির সমস্ত কাজ শেষ করার পরে। মেয়েদের হাতে অনেক অবসর সময় থাকে।
এই অবসর সময়টাকে কাজে লাগিয়ে মেয়েরা ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে পারে। বর্তমান অনলাইনে এমন অনেক কাজ রয়েছে যে কাজ গুলো বাড়ির কাজের পাশাপাশি ঘরে বসেই করা সম্ভব।
এ কাজে আপনাকে দূরে কোন অফিসে গিয়ে কাজ করতে হবে না। আপনি যদি একজন মেয়ে হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি অনলাইনে আপনার দক্ষতা এবং প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে নিজের কর্মসংস্থান তৈরী করতে পারেন।
আপনার হাতের কাজ জানা থাকলে। হাতের কাজ করেও অনলাইনে ভাল পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার করতে যে জিনিস গুলো প্রয়োজন?
মেয়েরা ঘরে বসে অনলাইন অফলাইন দুই ভাবেই ইনকাম করতে পারে। অনলাইনে ইনকাম করার জন্য আপনার যে সমস্ত জিনিস গুলো প্রয়োজন হবে। আপনি যদি অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং, আর্টিকেল লেখা, ব্লগিং ইত্যাদি কাজ করেন।
তাহলে আপনার এন্ড্রয়েড ফোন, ল্যাপটপ, অথবা কম্পিউটারের প্রয়োজন হবে। একই সাথে ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনি ওয়াইফাই ব্যবহার করলে ভাল হবে। আপনি যদি অনলাইনে আর্টিকেল লেখে ইনকাম করতে চান।
তাহলে আপনার টাইপিং এর দক্ষতা থাকতে হবে। আর অফলাইনে ইনকাম করার জন্য যে সমস্ত জিনিস প্রয়োজন হবে। অফলাইনে আপনি বিভিন্ন কাজ করে ইনকাম করতে পারেন। যেমনঃ আপনার যদি রান্না করার খুবই ভাল দক্ষতা থাকে।
তাহলে আপনি বিভিন্ন খাবার বানিয়ে বিক্রি করতে পারেন। সেলাই করার অভিজ্ঞতা থাকলে সেলাই করেও ভাল পরিমাণ ইনকাম করতে পারেন। এর জন্য আপনার সেলাই মেশিন অবশ্যি থাকতে হবে।
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়?
বর্তমান যুগে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরও শিক্ষাগত যোগ্যতার হার দিন দিন ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অর্থনৈতিক অবদানেও মেয়েরা পিছিয়ে নয়। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও বিভিন্ন ধরণের কাজ বা ব্যবসায় করে অর্থ উপার্জন করছে।
কিন্তু এমন অনেক ফ্যামেলি রয়েছে যারা মেয়েদের বাড়ির বাইরে গিয়ে চাকরি কিংবা কোন ব্যবসায় করা পছন্দ করে না। এই সমস্ত ফ্যামিলির মেয়েরা ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করার উপায় খুজেন। আসলে ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করার অনেক গুলো মাধ্যম রয়েছে।
তার মধ্য থেকে আমি আজকের আর্টিকেলে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা ১৫টি উপায় বিস্তারিত ভাবে নিম্নে আলোচনা করলাম। যে সমস্ত উপায় গুলোর মাধ্যমে কাজ করে খুব সহজেই ইনকাম করা যায়। যেমনঃ
- ফ্রিল্যান্সিং
- কনটেন্ট রাইটিং
- ফেসবুক পেইজ
- ইউটিউব চ্যানেল
- ব্লগিং
- ভিডিও এডিটিং
- ড্রপশিপিং
- ওয়েবসাইট বিক্রি
- ডাটা এন্ট্রি
- টিফিন সার্ভিস
- টেলি কলিং
- টিউশনি করানো
- বিউটিপার্লারের ব্যবসা
- বাগান তৈরী
- গৃহপালিত পশুপাখি পালন
ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসে ইনকাম করা
বর্তমান ফ্রিল্যান্সিং সবার কাছেই পরিচিত এবং সবাই এই বিষয়টির প্রতি অনেকটাই আগ্রহী। এর মূল কারণ হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করা যায়। শুধু ছেলেরাই নয় বরং বর্তমান মেয়েরাও ফ্রিল্যান্সিং এর প্রতি অনেক বেশি আগ্রহী।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের হাজারো যুবক, যুবতী ফ্রিল্যান্সিং করে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে। আপনি যদি আপনার প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। তাহলে আপনিও ভাল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারেন। তবে ফ্রিল্যান্সিং যতটা সহজ আবার ঠিক ততটাই কঠিন।
কেননা ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে অবশ্যই আপনাকে আগে একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার এর কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। শুধু তাই নয় ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে ইংরেজিতেও পারদর্শী হতে হবে। কেননা আপনি যখন বিদেশি কোন বায়ারের সাথে কথা বলবেন।
অবশ্যই ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে হবে। কারণ বিদেশি বায়ার রা তো আর বাংলা ভাষা বুজতে পারবে না। শুধু ভাষা নয় বরং আপনাকে যে কাজ টা বায়ার রা দিবে সেই কাজের পুরোপুরি দক্ষতা আপনার থাকতে হবে।
কারণ বিদেশি বায়ার রা কাজ দেওয়ার আগে আপনাকে তার কাছে কাজ সম্পর্কে ভাল করে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে বুঝাতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং জগতে কাজ পাওয়ার জন্য আপনাকে আগে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট খুলতে হবে। যেমন ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার, আপওয়ার্ক ইত্যাদি।
ফ্রিল্যান্সিং জগতে অনেক গুলো কাজের সেক্টর রয়েছে। আপনি যেকোন একটি কাজের উপর পরিপূর্ণ দক্ষতা অর্জন করে কাজ শুরু করতে পারেন। যেমনঃ
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- ওয়েব ডিজাইন
- কনটেন্ট রাইটিং
- ভিডিও এডিটিং
- ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি।
এই কাজ গুলোর মধ্যে আপনি যেকোন একটি নিয়ে কাজ শুরু করতে পারবেন। শুরুর দিকে একটু কষ্ট হলেও আস্তে আস্তে আপনার কাজের দক্ষতা বাড়লে আপনার কাজের অভাব হবে না।
মেয়েরা ঘরে বসে নিজের ইচ্ছা মত সময় বের করে জনপ্রিয় এই পেশা ফ্রিল্যান্সিং করতে পারে। তবে এই কাজ গুলো করার জন্য অবশ্যই আপনার ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটার থাকতে হবে।
কনটেন্ট রাইটিং করে ইনকাম
মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের অন্যতম একটি মাধ্যম হচ্ছে কনটেন্ট রাইটিং। যারা কনটেন্ট রাইটিং করে তারা খুব সহজেই ঘরে বসে যেকোন বিষয় নিয়ে কনটেন্ট লিখে অনলাইনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারে।
এন্ড্রয়েড ফোন বর্তমানে সবার হাতে দেখা যায়। মানুষের যখন কোন অজানা জিনিসের বিষয়ে জানার প্রয়োজন হয়। তখন তারা গুগোলে সার্চ করে। মানুষ গুগোলে সার্চ করার পরে সার্চ ইঞ্জিন যে আর্টিকেল গুলো দেয় সেগুলো মূলত কনটেন্ট রাইটাররা লিখে রাখে।
বর্তমানে বাংলাদেশে এমন অনেক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট অর্থাৎ ব্লগার রয়েছেন যারা তাদের ওয়েবসাইটের কনটেন্ট লেখার জন্য। কনটেন্ট রাইটার দের চাকুরি দিয়ে থাকেন। তাই কনটেন্ট অর্থাৎ আর্টিকেল লিখে ভাল পরিমাণ টাকা ইনকাম করা যায়।
আপনার কোন একটা বিষয়ের উপর যদি ভাল দক্ষতা থাকে। তাহলে সেই বিষয়ের উপর আপনি ভাল ভাল আর্টিকেল লিখে মাসে দশ থেকে পনেরো হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমান ইংরেজি কনটেন্টের চাহিদা অনেক বেশি।
আপনি যদি ইংরেজি ভাষায় কনটেন্ট লিখতে পারেন। তাহলে আপনি আরও অনেক বেশি পরিমানে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তবে আপনি ভাল কনটেন্ট রাইটার হতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে দুই থেকে চার মাস ভাল ভাবে প্রাক্টিস করতে হবে।
অন্যান্য রাইটারদের কনটেন্ট গুলো ভাল ভাবে পড়ে সেখানে কিভাবে আর্টিকেল গুলো লিখেছে সেই পদ্ধতি গুলো জানতে হবে। কনটেন্ট লেখার প্রতিটি নিয়ম আপনাকে ভাল ভাবে ফ্লো করে আর্টিকেল লিখতে হবে।
আপনার আর্টিকেল যত সুন্দর হবে আপনার আর্টিকেলের দাম ঠিক তত বেশি হবে। এবং আপনার আর্টিকেলের চাহিদা আরও বেশি বাড়বে। আপনি যদি মনে করেন যে, আমি অন্যের ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল লিখবো না।
তাহলে আপনি নিজেই ব্লগার থেকে আপনার নিজের জন্য একটি ফ্রী ব্লগ তৈরি করে। অথাবা অল্প টাকা খরচ করে ডোমেইন কিনে আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারবেন। আপনার নিজের ওয়েবসাইটে আপনার লেখা আর্টিকেল গুলো পাবলিশ করে।
গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে ভাল পরিমাণে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। তাই মেয়েদের জন্য ঘরে বসে রোজগার করার জন্য সবচেয়ে সহজ মাধ্যম কনটেন্ট রাইটিং শিখে আর্টিকেল লিখে প্রতিমাসে ভাল পরিমাণে টাকা ইনকাম করা।
ব্লগিং করে ইনকাম করা
মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা একটি উপায় হচ্ছে ব্লগিং। ব্লগিং এক ধরণের ব্যবসায় বলা যেতে পারে। যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই আয় করা যায়। নিজের অবসর সময়টাকে কাজে লাগিয়ে ব্লগিং এর মাধ্যমে খুব সহজে আর্টিকেল লিখে ইনকাম করতে পারবেন।
ব্লগিং এর মাধ্যমে ইনকাম করার জন্য আপনাকে একটি সুন্দর ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। ওয়েবসাইট তৈরি হয়ে গেলে আপনি বিভিন্ন টপিক নিয়ে আপনার ব্লগে আর্টিকেল লিখে রাখতে পারেন।
যেমন স্বাস্থ বিষয়ক তথ্য, ইসলামিক পোস্ট, টেকনোলজি, খেলাধুলা, ফ্যাশন, সহ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আপনার ব্লগে আর্টিকেল লিখতে পারেন। এইভাবে আর্টিকেল লিখতে লিখতে এক সময় যখন আপনার ওয়েবসাইটে অনেক ভিজিটর বারবে।
তখন আপনি গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভ করে আপনার ব্লগ ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে পারবেন। আপনার ব্লগ সাইটে একবার ইনকাম শুরু হয়ে গেলে আপনার ইনকাম দিন দিন বাড়তেই থাকবে। আপনার যদি কাজের ব্যস্ততার কারণে কিছুদিন কাজ না করেন তাও আপনার ইনকাম হতেই থাকবে।
আর আমি মনে করি এই ব্লগিং করে অর্থ উপার্জন করা মেয়েদের জন্য পারফেক্ট একটা কাজ। মেয়েরা চাইলে ঘরে বসে অবসসর সময়ে স্মার্টফোন কিংবা কম্পিউটার দিয়ে ব্লগ ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে ভাল পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবে।
ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করে ইনকাম
বর্তমান এই আধুনিক যুগে ফেসবুক চালায় না এমন মানুষ নাই বললেই চলে। আর এই ফেসবুকে আমরা বিভিন্ন ধরণের ভিডিও দেখে বা বিভিন্ন মানুষের সাথে চেটিং করে শুধু শুধু সময় নষ্ট করি। ফেসবুকে অযথা সময় নষ্ট না করে যদি আমরা সঠিক ভাবে কাজ করি।
তাহলে কিন্তু ফেসবুক থেকে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। বর্তমান সময়ে দেখবেন অনেক মেয়ে রয়েছে ফেসবুকে গ্রুপ তৈরি করে বিশাল একটা কমিউনিটি তৈরি করেছে। এই ফেসবুক গ্রুপ থেকে বিভিন্ন ভাবে অর্থ আনিং করা যায়।
আপনিও চাইলে গ্রুপের সুন্দর একটা নাম দিয়ে। ফেসবুকে গ্রুপ খুলে আপনার বন্ধুদের ইনভাইট করে। বড় পরিসরে একটা কমিউনিটি তৈরি করতে পারেন। তবে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে ফেসবুক গ্রুপ থেকে ইনকাম করতে হলে অবশ্যই গ্রুপে প্রচুর পরিমানে সদস্য থাকতে হবে।
আপনার গ্রুপে যদি পনেরো থেকে বিশ হাজার সদস্য এড করতে পারেন। তাহলে আপনি বিভিন্ন ভাবে ফেসবুক গ্রুপ থেকে ইনকাম করতে পারবেন। আপনার গ্রুপে যখন হাজার হাজার সদস্য হয়ে যাবে।
তখন আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে পন্য বিক্রি করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনার যখন একটি বড় ধরণের ফেসবুক গ্রুপ থাকবে। তখন আপনি যেকোন বড় কোম্পানির প্রডাক্ট কমিশনে বিক্রি করে ভাল পরিমাণ আয় করতে পারবেন।
তাই মেয়েরা চাইলে এই কাজটি ঘরে বসে কোন রকমের ইনভেস্ট ছাড়ায় শুধু মাত্র ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে ভাল পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম করা
মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম আরেকটি হচ্ছে ইউটিউব চ্যানেল। ইউটিউব চ্যানেল থেকে রোজগার করা অত্যন্ত সহজ একটি পদ্ধতি। এর জন্য আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে।
আপনার ইউটিউব চ্যানেল না থাকলে আপনি শুধু মাত্র আপনার জি-মেইল একাউন্ট দিয়ে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে নিতে পারবেন। বর্তমান এই আধুনিক যুগে সারা বিশ্ব জুরে ভিডিও শেয়ারিং এর জন্য ইউটিউব হচ্ছে অন্যতম একটি সাইট।
আমাদের দেশে বর্তমানে হাজারো বেকার ছেলে মেয়ে নিয়মিত তাদের নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতেছে। কেননা বর্তমানে অনলাইনে খুব দ্রুত ইনকাম করার জন্য অন্যতম জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্মের নাম ইউটিউব।
আপনি সহজে ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে চাইলে আপনাকে ভিডিও তৈরি করে ইউটিউব এ আপলোড করতে হবে। আপনি চাইলে যেকোন টপিক নিয়ে ভিডিও বানাতে পারেন।
বিশেষ করে মেয়েরা বিভিন্ন ধরণের রান্নার রেসিপি ভিডিও করে ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করতে পারেন। কেননা বর্তমান সময়ে রান্নার রেসিপি ভিডিও গুলো খুবই জনপ্রিয়।
যার কারণ হল মানুষ ইউটিউব এ ভিডিও দেখে নতুন নতুন মজাদার খাবারের স্বাদ নেওয়ার জন্য ইউটিউব এ সার্চ করে থাকে। এবং সেই রেসিপি তৈরি করে বাড়িতে সবাই মিলে খেতে পছন্দ করে থাকে।
আপনি যদি রেসিপি টপিক নিয়ে ভাল মানের ভিডিও তৈরি করেন। অতপর আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করতে পারেন। তাহলে খুব সহজে আপনি ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি বিভিন্ন টপিক নিয়ে ভিডিও বানাতে পারেন। যেমন শিক্ষনিয় মূলক ভিডিও, ফানি ভিডিও, এছাড়াও আপনার আঞ্চলিক ভাষায় ভিডিও বানিয়ে ভাল সারা পেতে পারেন। আপনি যখন নিয়মিত আপনার চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করবেন।
তখন মানুষ নিয়মিত আপনার ভিডিও দেখার জন্য আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করবে। এই ভাবে যখন আপনার চ্যানেলে এক হাজার সাবস্ক্রাইবার হয়ে যাবে। এবং নিয়মিত ভিউ আসা শুরু হবে।
তখন আপনি চ্যানেলটি মনিটাইজেশন করিয়ে ইউটিউব চ্যানেল থেকে ভাল পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারবেন। আর মেয়েদের জন্য বাড়িতে বসে ভিডিও বানিয়ে ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা অত্যন্ত সহজ একটি মাধ্যম হিসাবে আমি মনে করি।
ভিডিও এডিটিং করে ইনকাম
মেয়েদের জন্য ঘরে বসে ইনকামের অন্যতম একটি সহজ উপায় হল ভিডিও এডিটিং করা। ভাল মানের ভিডিও এডিটিং করে অনলাইনে মানসম্মত পরিমাণ একটা ইনকাম করা সম্ভব। তবে অবশ্যই আপনাকে ভিডিও এডিটিং এ পারদর্শী হতে হবে।
আপনি যদি ভাল মানের ভিডিও এডিটিং করতে পারেন। তাহলে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির ভিডিও এডিটিং করে দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন। প্রোফেশনাল ভিডিও এডিটিং যারা করে। তাদের কাজের কোন অভাব থাকে না।
প্রোফেশনাল ভিডিও এডিটিং করে আপনি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এ কাজ করতে পারবেন। যেমন ফ্রিল্যান্সার ডট কম, ফাইবার ডট কপম ইত্যাদি সাইটে। এই সমস্ত প্লাটফর্ম এ শুরুর দিকে ক্লায়েন্ট পেতে একটু কষ্টসাধ্য বটে।
কিন্তু আপনি যখন হাই কোয়ালিটি ভিডিও এডিটিং করতে পারদর্শী হবেন। তখন আর নতুন নতুন ক্লায়েন্ট এর অভাব হবে না। বর্তমানে বিভিন্ন কার্টুন ভিডিও মানুষের কাছে খুব বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
আপনি যদি উন্নত মানের কার্টুন ভিডিও তৈরি করে ভাল মানের সাউন্ড সেটাপ দিতে পারেন। তাহলে এই সমস্ত ভিডিও আপনার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করেও ভাল পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ডাটাএন্ট্রির কাজ করে ইনকাম করা
মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের উপায় গুলোর মধ্যে ডাটা এন্ট্রি অনেকটা সহজ একটি উপায়। ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্য সাধারণত খুব বেশি যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না। যদি মাইক্রোসফট এক্সেল এবং মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এই দুইটি বিষয়ে আপনার পরিপূর্ণ দক্ষতা থাকে।
তাহলে আপনি অনলাইন ডাটা এন্টির কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ডাটা এন্ট্রি একটি উপযুক্ত কাজ হবে বলে আমি মনে করি। কেননা এই ডাটা এন্ট্রি কাজটি শুধু মাত্র কম্পিউটারের প্রাথমিক জ্ঞান থাকলে করতে পারবেন।
ডাটা এন্ট্রি কাজ করার জন্য টাইপিংয়ের দক্ষতা অবশ্যই বাধ্যতামূলক। আপনার টাইপিং এর গতি যত বেশি হবে ডাটা এন্ট্রি কাজ করে তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
ওয়েবসাইট বিক্রি করে ইনকাম
মেয়েরা ঘরের কাজের পাশাপাশি ওয়েবসাইট বানিয়ে বিক্রি করে রোজগার করতে পারেন। ওয়েবসাইট তৈরির জন্য স্বল্প পরিমাণ ইনভেস্ট করে আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।
ওয়েবসাইট তৈরি করে আপনি নিয়মিত আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করবেন। ৫০ থেকে ৬০ টি ভাল মানের আর্টিকেল পাবলিশ করার পরে আপনাকে গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে হবে।
প্রতিদিন আপনার সাইটে ৭০ থেকে ৮০ টা ক্লিক পরলে আপনি খুব সহজেই গুগল এডসেন্স পেয়ে যাবেন। গুগল এডসেন্স পাওয়ার পরে আপনার ওয়েবসাইটটি আপনি ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে বিক্রি করতে পারবেন।
ড্রপশিপিং ব্যবসা করে ইনকাম করা
ড্রপশিপিং এমন একটি অনলাইন ব্যবসায়। যে ব্যবসায় কোন ধরণের ইনভেস্ট করতে হয় না। বর্তমানে অনলাইনেই ই-কমার্স সাইট গুলো সম্পর্কে আমাদের প্রায় সবার জানা আছে।
বেশির ভাগ ই-কমার্স সাইট গুলো ড্রপশিপিং সিস্টেমে ব্যবসায় চালাচ্ছে। ড্রপশিপিং সিস্টেমে ব্যবসায় করার জন্য খুচরা বিক্রেতাকে পন্য স্টক করে রাখার প্রয়োজন হয় না। যার কারণ হল পন্য স্টক করে পাইকারী বিক্রেতা কিংবা পন্য উৎপাদনকারী।
এবং কাস্টমারের কাছে পন্য পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব হচ্ছে পাইকারী বিক্রেতার অথবা পন্য উৎপাদনকারীর। খুচরা বিক্রেতার কাজ হচ্ছে কাস্টমারের কাছে অর্ডার নিয়ে পাইকারী বিক্রেতার কাছে কাস্টমারের ঠিকানা বা জাবতিয় তথ্য প্রদান করা।
অর্ডার কনফার্ম করার পরে খুচরা বিক্রেতার পেইজ কিংবা সাইটের নাম এবং লোগো সহ পাইকারী বিক্রেতা বা উৎপাদনকারী কাস্টমারের কাছে পন্য পৌঁছে দেয়। খুচরা বিক্রেতা পাইকারী বিক্রেতার কাছে পন্যের দাম নির্ধারণ করে নিয়ে।
অতিরিক্ত যত বেশি দামে পন্য বিক্রি করে সেটা হচ্ছে খুচরা বিক্রেতার লাভ। এতে খুচরা বিক্রেতার পেরেশানি কম হয় এবং খুব সহজে লাভবান হওয়া যায়। তাই যেকোন মেয়ে ঘরে বসে খুব সহজে ড্রপশিপিং ব্যবসায় চালু করে ইনকাম করতে পারে।
টিউশনি করে ইনকাম করা
মেয়েদের ঘরে বসে ইনকাম করার আরও একটি মাধ্যম হচ্ছে টিউশনি করে টাকা ইনকাম করা। বর্তমান সময়ে অধিকাংশ অবিভাবক তাদের সন্তান্দের টিউশনি দেওয়ার ক্ষেতে বিশেষ করে মেয়েদের বেশি প্রাধান্য দেয়। আপনি যদি একজন ভাল মেধাবী স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন।
অথবা কোন নিদিষ্ট সাবজেক্টের উপর পারদর্শী হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি টিউশনি করে ভাল পরিমানে টাকা আয় করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে আপনাকে আপনার বাড়ির বাহিরেও যেতে হবে না। আপনি যদি ভাল ভাবে বাচ্চাদের পড়াতে পারেন।
তাহলে দেখবেন আপনার বাড়ির আশেপাশে যত বাচ্চা পড়াশোনা করে থাকে। তাদের অবিভাবকেরা তাদের বাচ্চাকে আপনার কাছে পড়ানোর জন্য দিয়ে যাবে। আর বর্তমানে একটা বাচ্চাকে পড়ানোর জন্য কম করে হলেও এক হাজার টাকা দিয়ে থাকেন।
আপনি যদি সার দিনে কাজের ফাকে একটা সময় বের করে নিয়ে ৮ থেকে ১০ জন বাচ্চাকে পড়াতে পারেন। তাহলে প্রতি মাসে আপনি ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
টেলি কলিং এর কাজ করে ইনকাম
মেয়েরা ঘরে বসে খুব সহজে টেলি কলিং এর জব করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের কোম্পানির সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার জন্য টেলি কলিং নিয়োগ দিয়ে থাকেন। এই কাজটি করার জন্য আপনাকে খুবই সুন্দর ভাবে কথা বলার পারদর্শী হতে হবে।
কোম্পানিতে কাজ শুরু করার আগে কোম্পানি আপনাকে যদি সব কিছু ভাল ভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে নেয়। তাহলে তো আরও অনেক ভাল হবে। এই কাজটি করার জন্য আপনার একটি এন্ড্রয়েড ফোন এবং ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই আপনি কাজটি করতে পারবেন। এছাড়াও আর এই কাজটি আপনি বাড়িতে বসেই করতে পারবেন।
বিউটি পার্লার দিয়ে ইনকাম করা
বর্তমান সময়ে কিছু কিছু মেয়ের বিউটি পার্লারে গিয়ে সাজ সজ্জা করা একটা ফ্যাশন হয়ে দাড়িয়েছে। যদিও বা ঘরে বসে রুপচর্চা করা যায়। কিন্তু বিউটি পার্লার গুলো রুপচর্চায় নিয়ে এসেছে নতুন নতুন কিছু চমক যে প্রায় সব মেয়েদের এই মন কেড়ে নিয়েছে।
বেশির ভাগ বিউটি পার্লার দেখা যায় বাড়ির সাথে হয়ে থাকে। বর্তমান মেয়েরা বিউটি পার্লার খুলে মেয়েদের রুপচর্চার চাহিদাকে ফোকাস করে ভাল পরিমাণ টাকা উপার্জন করছে। বিউটি পার্লার চালু করতে খুব বেশি টাকা ইনভেস্ট করতে হয় না।
আপনি আপনার বাড়ির একটা ঘর সুন্দর ডেকোরেশন করে বিউটি পার্লার চালু করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আপনার কিছু আসবাব পত্রের প্রয়োজন হবে। যেমনঃ চেয়ার, ম্যাকাপ টেবিল, হেয়ার স্প্রে মেশিন, ফেশিয়াল মেশিন, হেয়ার হিটার, আয়না ইত্যাদি।
আপনার বিউটি পার্লার চালু করার পরে বিভিন্ন যায়গায় আপনার পার্লারের প্রচারনা করতে হবে। যাতে করে মানুষ আপনার বিউটি পার্লার সম্পর্কে ভালো করে জানতে পারে। আপনি আপনার পর্লারের কাজের ছবি এবং ভিডিও ফেসবুকে প্রচার করলে আপনার আরও বেশি কাস্টমার পেতে সহজ হবে।
আপনি যদি ভাল মানের সার্ভিস দিতে পারেন। তাহলে বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্ঠানের কাজ পেতে পারেন। তাই মেয়েরা ঘরে বসে বিউটি পার্লারের কাজটা খুব সহজে করতে পারে।
গৃহপালিত পশুপাখি পালন করে ইনকাম করা
আপনার যদি পশুপাখির পতি ভালোবাসা বেশি থাকে। তাহলে আপনার জন্য পশুপাখি লালন পালন করে টাকা ইনকাম করা অন্যতম একটি মাধ্যম। এই কাজটি করার জন্য অবশ্যই পশুপাখির প্রতি আপনার মহব্বত, ভালবাসা থাকতে হবে।
এই রকম অনেক মেয়ে রয়েছে যারা পশুপাখি লালন পালন করে ঘরে বসে ইনকাম করছে। অনেক মেয়ে এমন আছে যারা বাড়িতে হাস, মুরগী, গরু, ছাগল বিভিন্ন প্রজাতির পাখির খামার করে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। আপনিও বাড়িতে এই ধরণের পশুপাখি বা গরু ছাগলের খামার করে ইনকামের রাস্তা তৈরি করতে পারেন।
বাগান তৈরী করে ইনকাম করা
মেয়েরা চাইলে বাড়ির আশেপাশে খোলা যায়গায় কিংবা বাসার ছাদের উপরে বিভিন্ন ধরণের শাক, সবজি বা ফলের বাগান করে ইনকাম এর সোর্স তৈরি করতে পারেন।
এতে করে আপনার নিজের ফ্যামেলি পাচ্ছে নির্ভেজাল টাটকা শাক সবজি। যার দ্বারা ফ্যামেলির পুষ্টির চাহিদা পূরন হবে। এবং এই শাক সবজি বাজারে বিক্রি করে টাকাও ইনকাম করা যাবে।
বাড়ির ছাদে শাক সবজি চাষ করার জন্য মাটিতে পরিমাণ মত জৈব সার দিয়ে মাটির উর্বরতা শক্তি বাড়াতে হবে। এই ভাবে বাড়ির আশেপাশে কিংবা ছাদে শাক সবজি কিংবা ফলের বাগান করলে বাড়ির সুন্দর্য ফুটে উঠবে।
টিফিন সার্ভিস করে ইনকাম করা
কোন মেয়ে যদি রান্নায় খুব ভাল পারদর্শী হয়ে থাকেন এবং মজার মজার খাবার তৈরি করতে পারেন। তাহলে আপনার জন্য টিফিন সার্ভিস কাজটি ইনকামের জন্য হতে পারে দুর্দান্ত একটি উপায়।
কেননা শহরের এমন কিছু চাকরিজিবি মানুষ রয়েছে যারা বাড়িতে রান্না করার সময় পায় না। দেখা যায় তারা নিয়মিত হোটেল কিংবা রেস্টুরেন্টে থেকে খাবার খেয়ে থাকেন। এই সমস্ত চাকরিজিবি মানুষেরা মূলত টিফিন ব্যবসায়ীদের খুজেন।
যারা তাদের বাড়িতে রান্না করে খাবার পৌছে দিবে। আপনি চাইলে টিফিন সার্ভিস ব্যবসায়টি হোম ডেলিভারি সিস্টেম চালু করতে পারেন। এতে আপনার অধিক পরিমাণে লাভ আসবে। আর বাড়ির কাজের পাশাপাশি এই কাজটি আপনি করতে পারবেন।
শেষ কথা
এই আর্টিকেলে আমি মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার করার সেরা কয়েকটি উপায় আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। যেগুলোর মাঝে থেকে আপনি আপনার যোগ্যতা ও সামর্থ্য অনুযায়ী যেকোন একটি বেছে নিতে পারেন আপনার অনলাইন ক্যারিয়ার হিসেবে।
যেখানে কাজ করে আপনি যশ ও খ্যাতি উভয়ই পেতে পারেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে অবশ্যই একটু ভাবনা-চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিবেন। যে কাজটি আপনার ভাল লাগে, যে কাজে আপনার মন বসবে কাজ করে শান্তি পাবেন।
যেটি আপনি দীর্ঘদিন যাবত চালিয়ে যেতে পারবেন। আমি মনে করি সেটি আপনার নির্বাচন করা উচিত। তবেই সাফল্যের চুড়ায় পৌঁছাতে পারবেন। আর্টিকেলটি পড়ে কোন বিষয় যদি না বুঝে থাকেন।
তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন আর আর্টিকেলটি যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। এরকম জানা অজানা তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট এর সাথে থাকুন। ধন্যবাদ।