অনলাইন ইনকাম

bangladeshi app প্রতিদিন 1000 টাকা ইনকাম পেমেন্ট বিকাশ

বাংলাদেশে অনেক ধরনের মোবাইল অ্যাপস রয়েছে। যে অ্যাপগুলোতে আপনি ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করে প্রতিদিন 1000 টাকার বেশি আয় করতে পারেন। আপনি যদি অনলাইনে ঘরে বসে প্রতিদিন টাকা আয় করতে চান।bangladeshi app প্রতিদিন 1000 টাকা ইনকাম পেমেন্ট বিকাশতাহলে এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। bangladeshi app প্রতিদিন 1000 টাকা ইনকাম পেমেন্ট বিকাশ এই ধরনের বাংলাদেশী ২০টি অ্যাপস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

bangladeshi app প্রতিদিন 1000 টাকা ইনকাম পেমেন্ট বিকাশ?

bangladeshi app প্রতিদিন 1000 টাকা ইনকাম পেমেন্ট বিকাশ এ ধরনের কিছু অ্যাপস এর তালিকা নিচে দেওয়া হলোঃ

১. Pocket Money App – সহজ মাইক্রো টাস্ক করে আয়

Pocket Money বাংলাদেশে একটি জনপ্রিয় ইনকাম অ্যাপ, যেখানে আপনি সহজ কিছু কাজ করে প্রতিদিন আয় করতে পারেন। অ্যাপটিতে মূলত ইউটিউব ভিডিও দেখা, ওয়েবসাইট ভিজিট করা, অ্যাপ ডাউনলোড করা,

আর্টিকেল পড়া বা ফেসবুক পেজে লাইক দেওয়ার মতো কাজ দেওয়া হয়। এই কাজগুলো সাধারণত খুবই ছোট এবং ১–২ মিনিটেই শেষ করা যায়। প্রতিটি কাজের জন্য নির্দিষ্ট পয়েন্ট বা টাকা নির্ধারিত থাকে।

এই অ্যাপটি বিকাশ, রকেট এবং নগদে টাকা পেমেন্ট দেয়। ব্যবহারকারী যখন নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আয় করেন (যেমন ১০০ বা ২০০ টাকা), তখন সেই টাকা সরাসরি তার মোবাইল ওয়ালেটে ক্যাশআউট করা যায়।

এটি অনেকেই প্রতিদিন ৩–৪ ঘণ্টা সময় দিয়ে ৩০০–৫০০ টাকা পর্যন্ত আয় করছেন। যারা রেফারেল ব্যবহার করে নতুন ইউজার আনেন, তাদের আয় আরও বাড়ে। রেফারেল প্রতি ২০–৫০ টাকা পর্যন্ত বোনাস পাওয়া যায়।

তবে, এককভাবে এই অ্যাপে প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করা কিছুটা কঠিন হতে পারে যদি আপনি রেগুলার ইউজার হন। কিন্তু সক্রিয়ভাবে রেফারেল ব্যবহার করে, প্রতিদিন কাজ করে

এবং রিভিউ বা ইউজার কমেন্টের মাধ্যমে অন্যদের আগ্রহ বাড়িয়ে আপনি এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেন। সবচেয়ে ভালো বিষয় হলো এটি স্ক্যাম নয়, অনেক ইউজার ইতিমধ্যে বিকাশে পেমেন্ট পেয়েছেন।

২. Small Worker App – ছোট কাজ, বড় ইনকাম

Small Worker অ্যাপটি মূলত একটি টাস্ক-ভিত্তিক ইনকাম প্ল্যাটফর্ম, যেখানে ছোট ছোট কাজ করে আপনি আয় করতে পারবেন। কাজগুলো সাধারণত ওয়েবসাইট ভিজিট, ইউটিউবে লাইক দেওয়া, অ্যাপ ডাউনলোড, কমেন্ট পোস্ট করা ইত্যাদি।

প্রতিটি টাস্ক সম্পূর্ণ করলে আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বা কয়েন পাবেন, যা পরবর্তীতে টাকা হিসেবে রূপান্তর করে বিকাশে উত্তোলন করা যায়। অনেকেই বলেন, যদি দিনে ৫০–৬০টি টাস্ক পাওয়া যায় এবং সেগুলো সক্রিয়ভাবে করা যায়, তবে দৈনিক ৫০০–৭০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব।

এছাড়াও, যদি আপনি অন্যদের রেফার করে আনেন, তাহলে সেই রেফারেল থেকে আপনি প্রতি ইউজারে ২০–৩০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত বোনাস পেতে পারেন। ফলে এই প্যাসিভ ইনকাম আপনাকে প্রতিদিন ১০০০ টাকার লক্ষ্যে নিয়ে যেতে পারে।

এপটির ইউজার ইন্টারফেস অনেক সহজ এবং মোবাইল ফ্রেন্ডলি। একাউন্ট খুলে ভেরিফাই করার পরেই কাজ শুরু করা যায়। পেমেন্ট সিস্টেমও সহজ বিকাশ নাম্বার দিলেই ক্যাশআউট করা সম্ভব।

তবে কাজগুলো নিয়মিত না করলে বা স্প্যাম করলে একাউন্ট সাসপেন্ড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই নিয়ম মেনে কাজ করাই উত্তম।

৩. Daily Taka – দৈনিক আয় করার একটি আকর্ষণীয় অ্যাপ

Daily Taka নামে একটি নতুন ইনকাম অ্যাপ বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে, যেখানে আপনি ভিডিও দেখা, লটারিতে ঘোরা (spin), ছোট ছোট কুইজ বা টাস্ক করে টাকা আয় করতে পারেন।

এই অ্যাপটি বিশেষভাবে তৈরি হয়েছে যারা খুব বেশি সময় না দিয়ে দিনে ৩০–৪০ মিনিট সময় দিয়েই আয় করতে চান তাদের জন্য। প্রতিদিন লগইন বোনাস, স্পিন বোনাস, কাজের বোনাস সব মিলিয়ে প্রতিদিন ১০০–২০০ টাকা ইনকাম করা যেতে পারে।

তবে, যাদের টার্গেট দিনে ১০০০ টাকা ইনকাম করা, তাদের জন্য এই অ্যাপটিতে রেফারেল সিস্টেম একটি বড় ভূমিকা রাখে। আপনি যদি দিনে ২০–৩০ জন নতুন ইউজারকে অ্যাপে জয়েন করাতে পারেন আপনার রেফার কোড দিয়ে,

তাহলে রেফারেল বোনাসসহ প্রতিদিন ৫০০–১০০০ টাকা ইনকাম সহজেই হয়ে যায়। এছাড়া অ্যাপের ভিতরে কিছু লাকি স্পিন ও কুইজ সেগমেন্ট থাকে যেগুলো থেকেও অতিরিক্ত ইনকাম হয়।

এপটি সরাসরি বিকাশে টাকা ট্রান্সফার সাপোর্ট করে এবং ১০০ টাকা হলেই উইথড্র দেওয়া যায়। ইউজার রিভিউগুলো বেশ পজিটিভ এবং অনেকে প্রমাণস্বরূপ পেমেন্ট স্ক্রিনশটও শেয়ার করেছেন।

তবে নতুন অ্যাপ হওয়ায় মাঝে মাঝে সার্ভার সমস্যা হতে পারে, তাই ধৈর্য ধরে নিয়মিত কাজ করাই বুদ্ধিমানের।

৫. Bongo Live – ভিডিও দেখেও ইনকাম করুন

Bongo Live বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপ, যেখানে বিভিন্ন লাইভ শো, শর্ট ভিডিও এবং ফিল্ম দেখা যায়। আপনি যদি একজন সক্রিয় ব্যবহারকারী হন

এবং ভিডিও দেখে কমেন্ট, লাইক বা শেয়ার করেন, তাহলে অ্যাপটি আপনাকে পয়েন্ট বা কয়েন রিওয়ার্ড করে। এই কয়েনগুলোর মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন এবং বিকাশে উত্তোলন করা যায়।

এখানে একটি বিশেষ সুযোগ হলো আপনি যদি নিজেই ভিডিও আপলোড করেন অথবা লাইভে অংশগ্রহণ করেন, তাহলে আপনার আয় অনেক বেড়ে যায়।

ভিডিওতে ভালো পারফরম্যান্স বা বেশি ভিউস পেলে আপনি একাধিক উপায়ে ইনকাম পেতে পারেন, যেমন রিওয়ার্ড, স্পনসর বা গিফটের মাধ্যমে। Bongo তে দিনে ১–২ ঘণ্টা সময় দিলে গড়ে ২০০–৩০০ টাকা আয় সম্ভব।

অনেক ব্যবহারকারী এই প্ল্যাটফর্মে “মিনিস্টার”, “স্টার” বা “কনটেন্ট ক্রিয়েটর” হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে দিনে ৫০০ টাকা বা তার বেশি ইনকাম করছেন। আপনি যদি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে পারেন,

তাহলে এটি আপনার জন্য আদর্শ। আর যারা শুধু ভিডিও দেখে আয় করতে চান, তাদের জন্যও এটি ভালো একটি মাধ্যম।

৬. Likee App – ভিডিও তৈরি ও লাইভে এসে আয় করুন

Likee একটি শর্ট ভিডিও প্ল্যাটফর্ম যেখানে ইউজাররা ছোট ভিডিও তৈরি করে শেয়ার করতে পারেন এবং লাইভে গিয়ে আয় করতে পারেন। বাংলাদেশে অনেক তরুণ-তরুণী এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে প্রতিদিন ৫০০–১০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করছেন।

এটি মূলত গিফট পদ্ধতিতে ইনকাম দেয়, অর্থাৎ দর্শকরা আপনাকে লাইভে গিফট পাঠায় যা টাকা হিসেবে রূপান্তরযোগ্য। এই ইনকাম সরাসরি বিকাশে উত্তোলন করা যায়, বিশেষ করে যখন আপনি নির্দিষ্ট লেভেল অতিক্রম করেন।

একবার যখন আপনার ফলোয়ার বাড়ে এবং আপনি নিয়মিত কনটেন্ট আপলোড করেন, তখন আপনার ইনকামও বাড়তে থাকে। যারা ফানি ভিডিও, ড্যান্স, টিউটোরিয়াল বা রিভিউ ভিডিও বানাতে পারেন তাদের জন্য এটি আদর্শ একটি মাধ্যম। তবে Likee তে ইনকাম করতে হলে শুরুতে কিছুটা সময় ও ধৈর্য দরকার।

আপনাকে নির্দিষ্টভাবে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে হবে এবং ফলোয়ার বেস গড়ে তুলতে হবে। একবার আপনি জনপ্রিয় হয়ে গেলে ইনকাম আর থামে না বরং প্রতিদিন ১০০০ টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

৭. CashEarn – মোবাইল দিয়ে ছোট কাজ করে আয়

CashEarn অ্যাপটি মূলত “গিগ অ্যাপ” হিসেবে পরিচিত, যেখানে ছোট ছোট গিগ বা টাস্ক দিয়ে ইউজাররা আয় করতে পারে। যেমন অ্যাপ রেটিং দেওয়া, রিভিউ লেখা, ফেসবুক পেজে লাইক দেওয়া, শেয়ার করা, সাবস্ক্রাইব করা ইত্যাদি।

প্রতিটি গিগ ২–২০ টাকা পর্যন্ত আয় দেয়, যা দিনে অনেকগুলো কাজ করলে একটি বড় অংকে পরিণত হতে পারে। এই অ্যাপের বিশেষত্ব হলো আপনি গিগগুলো খুব দ্রুত শেষ করতে পারেন, এবং প্রতিদিন ৫০–৬০টি গিগ কমপক্ষে করতে পারবেন।

ফলে সক্রিয় ব্যবহারকারীদের জন্য ৫০০–১০০০ টাকা ইনকাম করা সম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়াও CashEarn এর রেফারেল সিস্টেম অত্যন্ত শক্তিশালী। প্রতি রেফারেল ইউজার ইনভাইট করলে আপনি তা থেকে ২০–৩০ টাকা আয় করতে পারেন।

CashEarn অ্যাপে ইনকামকৃত টাকা সরাসরি বিকাশ, রকেট ও নগদে তুলতে পারবেন। সাধারণত ১০০ টাকা হলেই উইথড্র দেওয়া যায় এবং পেমেন্ট ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রসেস হয়ে যায়।

এটি নতুনদের জন্য অনেক উপযোগী একটি ইনকাম অ্যাপ, বিশেষ করে যারা মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং টাইপ কাজ করতে চান।

৮. Toffee App – ভিডিও স্ট্রিমিং করে আয়

Toffee বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত বিনামূল্যে ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম যা Grameenphone দ্বারা পরিচালিত। আপনি এখানে ভিডিও দেখার পাশাপাশি নিজের ভিডিও আপলোড করেও ইনকাম করতে পারেন।

যারা ভিডিও নির্মাণে আগ্রহী বা আগেই ইউটিউবে কাজ করেছেন, তাদের জন্য Toffee একটি বড় সুযোগ।Toffee তে ভিডিওগুলোতে বেশি ভিউস, লাইক ও শেয়ার পেলে আয় বাড়ে।

এছাড়া লাইভ শো থেকে গিফট আয় করার সুবিধাও রয়েছে। অনেক ইউজার দিনে ২০০–৫০০ টাকা ইনকাম করছেন নিয়মিত ভিডিও আপলোড করে। যদি আপনার কনটেন্ট ইউনিক ও জনপ্রিয় হয়, তাহলে প্রতিদিন ১০০০ টাকাও সম্ভব।

এটি অন্যান্য অ্যাপের তুলনায় একটু বেশি কনটেন্ট-নির্ভর, তাই যারা নিয়মিত ভিডিও বানাতে পারেন বা ট্যালেন্ট শেয়ার করতে চান তাদের জন্য এটি উপযুক্ত। Toffee তে ইনকাম সরাসরি মোবাইল ওয়ালেট বিকাশে পাওয়া যায়, এবং এতে কোনও ঝামেলা নেই।

৯. BdTask App – ফ্রিল্যান্স কাজ করে টাকা আয়

BdTask মূলত একটি লোকাল ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম যা বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি। এখানে আপনি ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদি ছোট ছোট কাজ পেতে পারেন।

যেহেতু কাজগুলো স্থানীয় ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে আসে, তাই ভাষাগত সমস্যা হয় না এবং পেমেন্টও সহজে পাওয়া যায়। BdTask এ সফলভাবে কাজ করে অনেকেই দিনে ৫০০–১০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করছেন।

আপনি যদি ইংরেজি বা বাংলা কন্টেন্ট লিখতে পারেন, ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম পরিচালনায় দক্ষ হন, তাহলে এখানে অনেক ক্লায়েন্টের কাছ থেকে অফার পেতে পারেন। এখানে প্রতি কাজের জন্য নির্ধারিত অর্থ দেওয়া হয়

এবং কাজ শেষে ক্লায়েন্ট সেই টাকা আপনার ওয়ালেটে ট্রান্সফার করে। পেমেন্ট তুলতে চাইলে আপনি বিকাশ, নগদ বা ব্যাংকের মাধ্যমে উইথড্র করতে পারবেন। এই প্ল্যাটফর্মটি অনেকে “বাংলাদেশের Fiverr”

বলেও চেনেন। যারা ঘরে বসে স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ ব্যবহার করে কাজ করতে চান, তাদের জন্য BdTask একটি দারুণ সুযোগ।

১০. WorkTask App – সহজ কাজ করে রোজগার

WorkTask নামের এই অ্যাপটি মাইক্রো টাস্ক বেসড ইনকাম প্ল্যাটফর্ম। এটি নতুন হলেও দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে কারণ এখানে ব্যবহারকারীকে ইউটিউব সাবস্ক্রিপশন, ফেসবুক লাইক, ইনস্টাগ্রাম ফলো, গুগল রিভিউ ইত্যাদির মতো ছোট ছোট কাজ দেওয়া হয়।

প্রতিটি কাজের জন্য ৫–২০ টাকা পর্যন্ত আয় হয়। WorkTask-এর সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে নতুন ইউজারদের জন্য রেফারেল বোনাস এবং “Daily Achievement Bonus” নামে একটি বিশেষ ফিচার রয়েছে।

আপনি যদি দিনে নির্দিষ্ট সংখ্যক টাস্ক করেন, তাহলে অতিরিক্ত বোনাস দেওয়া হয়, যা আপনার মোট ইনকামকে অনেক বাড়িয়ে দেয়। অনেক ইউজার দিনে ৪০০–৭০০ টাকা ইনকাম করছেন শুধু এই বোনাস ফিচার ব্যবহার করে।

অ্যাপটিতে ১০০ টাকা হলেই উইথড্র দেওয়া যায় এবং পেমেন্ট দেওয়া হয় বিকাশ, রকেট বা নগদে। আপনার যদি প্রতিদিন কিছু সময় থাকে এবং স্মার্টফোন ব্যবহার করে সহজ কাজ করতে চান, তাহলে WorkTask হতে পারে আপনার ইনকামের দারুণ একটি মাধ্যম।

১১. CashBazaar – ভিডিও দেখে আর কাজ করে আয় করুন

CashBazaar একটি ভিডিও ও টাস্ক বেসড ইনকাম অ্যাপ, যা মূলত স্টুডেন্ট, গৃহিণী বা পার্ট-টাইম আয় খুঁজছেন এমনদের জন্য তৈরি। এখানে দৈনিক নতুন নতুন ভিডিও দেখা, প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, স্পিন ঘোরানো,

রেফারেল করা ইত্যাদি অপশন আছে, যার মাধ্যমে আপনি পয়েন্ট জমিয়ে টাকা রূপে আয় করতে পারেন।CashBazaar এর পয়েন্ট সিস্টেম অনুযায়ী, প্রতি ১০০০ পয়েন্ট মানে প্রায় ১০০ টাকা।

প্রতিদিন আপনি যদি নিয়মিত কাজ করেন, তাহলে ৫০০০–১০,০০০ পয়েন্ট সংগ্রহ করা সম্ভব, যার অর্থ দাঁড়ায় দিনে ৫০০–১০০০ টাকা ইনকাম। বিশেষ করে যারা একাধিক বন্ধু-পরিজনকে রেফার করতে পারেন, তাদের জন্য ইনকাম অনেক বেড়ে যায়। পেমেন্ট সিস্টেম খুবই সহজ।

আপনি চাইলে বিকাশে টাকা নিতে পারবেন মাত্র ১০০ টাকা জমলেই। অ্যাপটির ইন্টারফেস সুন্দর এবং সহজবোধ্য, তাই নতুনরাও সহজে বুঝে যেতে পারেন। CashBazaar দিনে ১–২ ঘণ্টা সময় ব্যয় করেও ভালোমতো ইনকাম করা যায়।

১২. Givvy App – গেম খেলে ও প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আয়

Givvy মূলত একটি গ্লোবাল অ্যাপ, তবে বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয়। এখানে আপনি ছোট ছোট গেম খেলতে পারেন, প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন, লটারিতে অংশগ্রহণ করতে পারেন এবং প্রতিদিন লগইন বোনাস পেতে পারেন।

প্রতিটি অ্যাকটিভিটি আপনাকে কয়েন দেয়, যা পরবর্তীতে টাকা হিসেবে রূপান্তরিত হয়। Givvy এর একটি বড় সুবিধা হলো আপনি মোবাইলেই এটি ব্যবহার করতে পারেন এবং PayPal ছাড়াও এখন বিকাশ ও অন্য মোবাইল ওয়ালেটে পেমেন্ট সাপোর্ট করে।

যারা প্রশ্নোত্তর বা কুইজে পারদর্শী, তারা এখানে খুব সহজেই দিনে ৩০০–৫০০ টাকা আয় করতে পারেন। আর গেমিং লাভাররা দৈনিক ইনকামকে ৮০০–১০০০ টাকায় নিয়ে যেতে পারেন যদি সময় ও অভ্যাস থাকে।

রেফারেল ইনকামের জন্যও এটি ভালো একটি অ্যাপ। আপনি যদি ইউটিউব, ফেসবুক বা টেলিগ্রামে রেফার শেয়ার করেন, তাহলে ভালো রেসপন্স পাবেন এবং প্যাসিভ ইনকাম নিশ্চিত হবে। এটি এমন একটি অ্যাপ যা বিনোদন এবং ইনকাম দুটোই একসাথে দেয়।

১৩. VideoBuddy – ভিডিও ডাউনলোড ও দেখে আয়

VideoBuddy একটি চীনা ভিডিও অ্যাপ, যেটি ব্যবহার করে আপনি ভিডিও দেখার পাশাপাশি বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম করতে পারেন। এটি মূলত ভিডিও ব্রাউজার প্ল্যাটফর্ম যেখানে ইউটিউব, ফেসবুক,

টিকটক, ইনস্টাগ্রাম ভিডিও ডাউনলোড করা যায়, আর সাথেই বিজ্ঞাপন চালানো হয়। এই বিজ্ঞাপনগুলো দেখার মাধ্যমেই ইনকাম হয়। অনেকে দিনে ২০–৩০টি অ্যাড দেখেন এবং এতে করে ২০০–৫০০ টাকা আয় করেন।

ভিডিও শেয়ার ও ইনভাইট লিঙ্ক ব্যবহার করলে রেফার বোনাসের মাধ্যমে আরও ইনকাম বাড়ে। VideoBuddy পেমেন্ট করে বিভিন্ন মাধ্যমে যেমনঃ PayPal, Paytm, আর বর্তমানে কিছু ফ্রিল্যান্সার সেটআপ দিয়ে বিকাশেও তুলছে।

এই অ্যাপ দিয়ে যেহেতু দিনে অনেক ভিডিও দেখা হয়, তাই যারা মোবাইলে বেশি সময় ইউজ করেন বা ইউটিউবপ্রেমী, তাদের জন্য এটি উপযুক্ত। ভিডিও দেখার পাশাপাশি পয়সা ইনকাম – এই সুযোগ খুব কম অ্যাপেই পাওয়া যায়।

১৪. Flipkart

বর্তমানে ফ্লিপকার্ট হলো একটি অ্যাফিলিয়েট কমিশন ওয়েবসাইট। আপনি চাইলে ফ্লিপকার্ট থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে খুব সহজে টাকা আয় করতে পারেন।

এই অ্যাপ থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন। আপনার শেয়ারকৃত পোস্ট দেখে যারা প্রোডাক্টগুলো ক্রয় করবে আপনি তার কমিশন হিসেবে টাকা আয় করতে পারেন।

১৫. Amazon

ফ্লিপকার্ট এর মতোই অ্যামাজন হলো একটি অ্যাফিলিয়েট ওয়েবসাইট। বর্তমানে সবচাইতে সেরা অ্যাফিলিয়েট সাইটগুলোর মধ্যে একটি হলো অ্যামাজন। প্রথমে আপনি এ ওয়েবসাইটটিতে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।

এরপর এই ওয়েবসাইটের বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট ফেসবুক গ্রুপ, ইউটিউব, instagram, ফেসবুক পেজ কিংবা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করে বিক্রয় করুন।

আর এভাবে আপনি অ্যামাজনের যেকোন প্রোডাক্ট বিক্রয় করে অ্যাফিলিয়েট কমিশনের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারেন।

১৬. Pathao app

আপনার যদি একটি বাইক থাকে, তাহলে আপনি পাঠাও অ্যাপের মাধ্যমে রাইট শেয়ারিং করে প্রতিদিন এক হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারেন।

রাইড শেয়ার করে টাকা আয় করার জন্য প্রথমে পাঠাও অ্যাপটি ইন্সটল করুন। এরপর আপনার সঠিক তথ্য দিয়ে অ্যাপটিতে রেজিস্ট্রেশন করুন। আপনি রাইড শেয়ারের জন্য অ্যাপে বিভিন্ন ধরনের কন্টাক্ট পেয়ে যাবেন।

বাইক চালিয়ে টাকা আয় করা যায়, এ ধরনের আরও অনেক অ্যাপস রয়েছে যেমনঃ পাঠাও, উবার ইত্যাদি অ্যাপগুলোতে রাইড শেয়ার করে টাকা আয় করতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০ ২০০০০ টাকা প্রতি মাসে

১৭. Foodpanda

আপনি ফুড পান্ডা অ্যাপে রাইডার হিসেবে কাজ করতে পারেন। ফুড পান্ডাতে কাজ করতে হলে আপনার একটি বাইক অথবা সাইকেল থাকতে হবে।

ফুড পান্ডায় কাজ করার জন্য প্রথমে ফুডপান্ডা অ্যাপটি ইনস্টল করে নিবেন। এরপর আপনার সঠিক তথ্য দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করবেন। তাহলে আপনি ফুড পান্ডাতে সার্ভিস ম্যান হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাবেন।

১৮. Daraz

বাংলাদেশের জনপ্রিয় ই-কমার্স অ্যাপ হলো দারাজ। দারাজে এফিলিয়েট করে, সেলার একাউন্টের মাধ্যমে ও ডেলিভারি ম্যান হিসেবে প্রতিদিন ভাল পরিমাণ টাকা আয় করতে পারেন।

১৯. Bikroy

প্রথমে বিভিন্ন ধরনের গ্রুপ থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড পণ্য কিনবেন। সেগুলো bikroy.com এ বিক্রি করার জন্য বিজ্ঞাপন দিন। বিক্রেতার দেওয়া দামের চাইতে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা বেশি দামে বিক্রয় করবেন।

এবং আয়কৃত লভ্যাংশ নিজের পকেটে রেখে দিন। আর এভাবে আপনি bikroy.com থেকে প্রতিদিন ১০০০ টাকা আয় করতে পারেন।

২০. VidCash

এই অ্যাপটিতে রেফার করে, কুইজ খেলে, ভিডিও দেখে, টাস্ক পুরণ করে টাকা আয় করতে পারেন। বর্তমানে ভিট ক্যাশ হলো জনপ্রিয় একটি অ্যাপ। আপনি চাইলে এই অ্যাপটিতে সহজে কাজ করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button