কন্টেন্ট রাইটিং করে আয়
কন্টেন্ট রাইটিং হলো এমন একটি দক্ষতা। যা ডিজিটাল মার্কেটিং, ব্লগিং, ব্যবসায়িক সাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের জন্য অপরিহার্য। একজন দক্ষ কনটেন্ট রাইটারকে প্রতিনিয়ত নতুন তথ্য, ট্রেন্ড এবং প্রাসঙ্গিক কনটেন্ট তৈরির কৌশল জানতে হয়।আজকের আর্টিকেলে কন্টেন্ট রাইটিং করে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
কন্টেন্ট কি?
কন্টেন্ট হলো একটি ইংরেজি শব্দ। যার বাংলা অর্থ হলো বিষয়বস্তু। আমরা সাধারণত ইন্টারনেটে যেসব ছোট বড় সিনেমা, গল্প, ছবি, নাটক, অডিও, ভিডিও ইত্যাদি দেখি বা শুনি এ সবই মূলত হলো কন্টেন্ট।
কন্টেন্ট কিংবা বিষয়বস্তু হচ্ছে এমন কিছু মাধ্যম। যা দিয়ে কোন বিষয়কে খুব সুন্দরভাবে প্রকাশ করা, অথবা বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা যায়। এছাড়াও কন্টেন্ট হলো নিজের সৃজনশীলতাকে প্রকাশ করার সুন্দর একটি উপায় বা মাধ্যম।
কনটেন্ট রাইটিং কি?
কন্টেন্ট রাইটিং হলো কোন একটি বিষয়কে একটি সুন্দর বর্ণনায় একটি লেখনির মাধ্যমে ভালোভাবে উপস্থাপন করা। আর কন্টেন্ট রাইটিং হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর লেখা তৈরি করা হয়। যা পাঠকদের কাছে তথ্য বা বার্তা উপস্থাপন করে।
কন্টেন্ট রাইটিংয়ের মাধ্যমে ওয়েবসাইট, ব্লগ, সামাজিক মাধ্যম, নিউজলেটার, প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন, ইমেইল ক্যাম্পেইন ইত্যাদির জন্য লেখা তৈরি করা হয়। কনটেন্ট রাইটিং এর উদ্দেশ্য হলো পাঠকদের আগ্রহী করা, তাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া বা কোনো পণ্য বা সেবার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা।
কন্টেন্ট রাইটিং করে আয়?
কন্টেন্ট রাইটিং করে আয় করার অনেক উপায় রয়েছে। কন্টেন্ট রাইটিং হলো বিশেষত ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে একটি জনপ্রিয় এবং লাভজনক কাজ। নিচে কন্টেন্ট রাইটিং করে টাকা আয় করার কিছু উপায় বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলোঃ
১. ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্মে কাজ করা
ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ করে টাকা আয় করার জন্য একটি চমৎকার উপায় হতে পারে। এখানে আপনি বায়ারদের জন্য কাজ করতে পারেন এবং আপনার রেট বা মূল্য নির্ধারণ করতে পারেন। কনটেন্ট রাইটিং এর কিছু জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মের নাম দেওয়া হলোঃ
- Upwork
- Fiverr
- Freelancer
- Guru
- PeoplePerHour
এই সাইটগুলোতে আপনি কন্টেন্ট রাইটিংয়ের জন্য প্রোফাইল তৈরি করে বিভিন্ন প্রজেক্টের জন্য বিড করতে পারেন। সঠিকভাবে কাজ করার মাধ্যমে আপনি দীর্ঘমেয়াদী ক্লায়েন্টও পেতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ কোটি টাকা আয় করার উপায়
২. ব্লগ লেখা এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং
ব্লগিং একটি জনপ্রিয় উপায় আয় করার। আপনি একটি ব্লগ শুরু করতে পারেন এবং সেখানে নিয়মিত কন্টেন্ট আপলোড করতে পারেন। এরপর আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। যখন আপনি আপনার ব্লগে কোনো পণ্য বা সেবা সম্পর্কিত প্রস্তাব দেন এবং পাঠক সেটি ক্রয় করেন, তখন আপনি কমিশন আয় করতে পারেন।
৩. কন্টেন্ট রাইটিং সার্ভিস বিক্রি করা
আপনি যদি দক্ষ কন্টেন্ট রাইটার হন, তবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিগত ব্লগের জন্য কন্টেন্ট রাইটিং সার্ভিস প্রোভাইড করতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট যেমনঃ ব্লগ পোস্ট, ওয়েবসাইট কনটেন্ট, সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট, প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন ইত্যাদি লিখে টাকা আয় করা যায়।
৪. e-books বা গাইড লেখা
আপনি যদি বিশেষ কোনো বিষয়ে অভিজ্ঞ হন, তাহলে আপনি একটি ই-বুক বা গাইড লিখে তা বিক্রি করতে পারেন। এই ধরনের কন্টেন্ট রাইটিং সাধারণত দীর্ঘমেয়াদী আয় এনে দিতে পারে। আপনি সেগুলো Amazon ও Kindle বা অন্য কোনো ই-বুক প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করতে পারেন।
৫. পেড কন্টেন্ট রাইটিং
অনেক কোম্পানি ওয়েবসাইট বা ব্লগের জন্য পেড কন্টেন্ট রাইটার ভাড়া নেয়। আপনি যদি একজন পেশাদার কন্টেন্ট রাইটার হন, তবে বিভিন্ন কনটেন্ট মার্কেটিং কোম্পানি, পিআর এজেন্সি অথবা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোম্পানিতে কাজ করতে পারেন। এছাড়া ওয়েবসাইট বা ব্লগগুলোতে আপনাকে গেস্ট পোস্ট বা পেড আর্টিকেল লিখে দিতে বলা হতে পারে, যা থেকে আপনি ভালো আয় করতে পারেন।
৬. কন্টেন্ট রাইটিং কোর্স তৈরি করা
আপনি যদি কন্টেন্ট রাইটিংয়ে দক্ষ হন এবং অন্যদের শেখানোর আগ্রহ থাকে। তাহলে আপনি একটি কন্টেন্ট রাইটিং কোর্স তৈরি করতে পারেন। বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম যেমনঃ Udemy, Skillshare ইত্যাদিতে কোর্স আপলোড করে আয় করা যায়। কোর্স বিক্রি করার মাধ্যমে আপনি প্যাসিভ ইনকাম উপার্জন করতে পারেন।
৭. কন্টেন্ট কৌশল বা কনসালটিং
এছাড়াও আপনি কন্টেন্ট কৌশল বা কনসালটিং সার্ভিসও দিতে পারেন। বিভিন্ন কোম্পানির জন্য কন্টেন্ট কৌশল তৈরি করা, তাদের ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া, ওয়েবসাইট ইত্যাদির জন্য কন্টেন্ট পরিকল্পনা তৈরি করার মাধ্যমে আয় করা যায়।
আরও পড়ুনঃ প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন
৮. অনলাইন নিউজপেপার ও ম্যাগাজিনে লেখালেখি
অনেক অনলাইন নিউজপেপার ও ম্যাগাজিন বিভিন্ন কন্টেন্ট রাইটারের জন্য নিয়মিত পেমেন্ট করে থাকে। আপনি যদি ভাল লেখক হন, তবে এসব প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে পারেন। সেখানে আপনি রেটেড কন্টেন্ট লিখে আয় করতে পারবেন।
৯. কন্টেন্ট রাইটিং এজেন্সি তৈরি করা
আপনি যদি বড় কোনো ব্যবসা বা ব্র্যান্ড তৈরি করতে চান। তাহলে আপনি নিজের কন্টেন্ট রাইটিং এজেন্সি শুরু করতে পারেন। এখানে আপনার দল তৈরি করে আপনি বড় কোম্পানি বা ক্লায়েন্টদের কন্টেন্ট সার্ভিস দিতে পারেন। এটি একটি বড় স্কেল এ আয় করার সুযোগ প্রদান করে।
১০. গেস্ট পোস্টিং (Guest Posting)
গেস্ট পোস্টিং মানে হলো অন্যদের ব্লগে বা ওয়েবসাইটে পেইড পোস্ট লেখা। আপনি যদি দক্ষ কন্টেন্ট রাইটার হন এবং ব্লগ বা ওয়েবসাইটগুলোতে গেস্ট পোস্ট লিখে দেন, তখন আপনি এর জন্য অর্থ পেতে পারেন। এটি কেবল আপনার লেখা স্কিলের মাধ্যমে আয় করার একটি উপায়।
কন্টেন্ট রাইটিং কত প্রকার ও কি কি?
কন্টেন্ট রাইটিং সাধারণত কয়েকটি প্রকারে বিভক্ত, যা বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। নিচে কন্টেন্ট রাইটিংয়ের প্রধান প্রকারগুলোর বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
১. ব্লগ কনটেন্ট রাইটিং (Blog Content Writing)
ব্লগ কনটেন্ট রাইটিং হলো এমন কনটেন্ট লেখার প্রক্রিয়া যেখানে একজন রাইটার একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ব্লগ পোস্ট বা আর্টিকেল তৈরি করেন। এই কনটেন্ট সাধারণত তথ্যপূর্ণ, শিক্ষামূলক এবং পাঠকদের আকর্ষণীয় হওয়া উচিত। ব্লগ কনটেন্ট SEO (Search Engine Optimization) অনুসারে লেখা হয় যাতে এটি গুগল বা অন্য সার্চ ইঞ্জিনে ভাল র্যাঙ্ক পায়।
২. এসইও কনটেন্ট রাইটিং (SEO Content Writing)
এসইও কনটেন্ট রাইটিং হলো এমন কনটেন্ট যা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের (SEO) উপর ভিত্তি করে লেখা হয়। এতে কিওয়ার্ড রিসার্চ করে সেই কিওয়ার্ডসগুলো কনটেন্টে সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়, যার মাধ্যমে কনটেন্টটি সার্চ ইঞ্জিনে ভাল র্যাঙ্ক পায় এবং ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বৃদ্ধি পায়।
৩. কপি রাইটিং (Copywriting)
কপি রাইটিং হলো এমন কনটেন্ট লেখা, যার উদ্দেশ্য পাঠককে ক্রয় করতে উৎসাহিত করা। এটি প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন, ল্যান্ডিং পেজ, সেলস পেজ, ইমেইল মার্কেটিং ইত্যাদির জন্য ব্যবহার করা হয়। এর মূল লক্ষ্য হলো বিক্রি বাড়ানো এবং পাঠকদের মনোযোগ আকর্ষণ করা।
৪. প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন রাইটিং (Product Description Writing)
প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন রাইটিং হলো একটি পণ্য বা সেবার বৈশিষ্ট্য, সুবিধা, এবং ব্যবহারকারীর জন্য এর গুরুত্ব বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা। এই কনটেন্টের লক্ষ্য হচ্ছে ক্রেতাদের পণ্য সম্পর্কে ধারণা দেওয়া এবং ক্রয় সিদ্ধান্তে প্রভাবিত করা।
আরও পড়ুনঃ এড দেখে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট
৫. টেকনিক্যাল কনটেন্ট রাইটিং (Technical Content Writing)
টেকনিক্যাল কনটেন্ট রাইটিং হলো প্রযুক্তি সম্পর্কিত কনটেন্ট। এটি সফটওয়্যার ডকুমেন্টেশন, ইউজার ম্যানুয়াল, টিউটোরিয়াল এবং বিভিন্ন প্রযুক্তিগত বিষয় নিয়ে লেখা হয়। এই কনটেন্ট সাধারণত প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের জন্য হয়।
৬. বিজনেস কনটেন্ট রাইটিং (Business Content Writing)
বিজনেস কনটেন্ট রাইটিং এ এমন কনটেন্ট তৈরি করা, যা একটি ব্যবসা বা কোম্পানির উদ্দেশ্য এবং পণ্য বা সেবা সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করে। এতে ওয়েবসাইট কনটেন্ট, ইমেইল কনটেন্ট, কর্পোরেট ব্লগ পোস্ট ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকে।
৭. সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট রাইটিং (Social Media Content Writing)
সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট রাইটিং হলো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর (যেমনঃ ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, লিঙ্কডইন ইত্যাদি) জন্য আকর্ষণীয় এবং মজাদার কনটেন্ট তৈরি করা। এই কনটেন্ট সাধারণত কম শব্দে এবং দ্রুত পাঠককে আকৃষ্ট করার জন্য হয়।
৮. ইমেইল কনটেন্ট রাইটিং (Email Content Writing)
ইমেইল কনটেন্ট রাইটিংয়ে নিউজলেটার, প্রোমোশনাল ইমেইল, ওয়েলকাম ইমেইল বা কোনো অফারের ব্যাপারে গ্রাহকদের কাছে ইমেইল পাঠানো হয়। এই কনটেন্ট সঠিকভাবে লেখা হলে এটি গ্রাহকদের একটি অ্যাকশন নিতে প্ররোচিত করতে পারে।
৯. এফিলিয়েট কনটেন্ট রাইটিং (Affiliate Content Writing)
এফিলিয়েট কনটেন্ট রাইটিং হলো এমন কনটেন্ট যা পণ্য বা সেবা সম্পর্কে রিভিউ বা পরামর্শ প্রদান করে, এবং পাঠককে ওই পণ্য কিনতে উৎসাহিত করে। লেখককে যে পণ্যের লিঙ্ক দেওয়ার মাধ্যমে কমিশন লাভ করা হয়, তা রিভিউতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
১০. প্রেস রিলিজ রাইটিং (Press Release Writing)
প্রেস রিলিজ রাইটিং হলো সংবাদ মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসার নতুন উদ্যোগ, পণ্য বা সেবার চালু, বা বিশেষ কোন ঘটনা নিয়ে খবর প্রকাশ করার জন্য লেখা কনটেন্ট। এটি মূলত সাংবাদিকতা এবং মিডিয়া সম্পর্কিত কনটেন্ট।
১১. বই বা সিনেমা রিভিউ রাইটিং (Book/Movie Review Writing)
বই বা সিনেমার রিভিউ রাইটিংয়ে লেখক কোনো বই বা সিনেমা নিয়ে বিশ্লেষণ করে তার মতামত প্রকাশ করেন। এটি পাঠকদের জন্য একটি ধারণা তৈরি করে যে বই বা সিনেমাটি কেমন।
১২. সিনোপসিস রাইটিং (Synopsis Writing)
সিনোপসিস রাইটিং হলো একটি বই, সিনেমা, অথবা টেলিভিশন শো বা নাটকের সংক্ষিপ্ত সারসংক্ষেপ বা সারাংশ রচনা করা। এটি মূলত কর্মের বর্ণনা দেয় এবং পাঠকদের জানায় এটি কী সম্পর্কে।
আরও পড়ুনঃ একাউন্ট খুলে টাকা ইনকাম
কন্টেন্ট রাইটিংয়ের উদ্দেশ্য?
তথ্য সরবরাহ
পাঠককে কোনো বিষয়ে তথ্য প্রদান করা, যেমন টিপস, গাইডলাইনস, রিভিউ ইত্যাদি।
পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ
আকর্ষণীয় ভাষা এবং কৌশল ব্যবহার করে পাঠকদের মনোযোগ ধরে রাখা।
SEO (Search Engine Optimization)
সার্চ ইঞ্জিনে ভালো র্যাঙ্ক পেতে কনটেন্টে সঠিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করা।
ক্রয় বা একশন প্ররোচিত করা
পাঠককে কোনো পণ্য কিনতে বা সেবার জন্য নিবন্ধিত হতে উৎসাহিত করা।
ব্র্যান্ড সচেতনতা
একটি ব্র্যান্ড বা প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি বাড়ানো এবং ব্র্যান্ড ইমেজ তৈরি করা।
শেষ কথা
কন্টেন্ট রাইটিং করে আয় করার অনেক সুযোগ রয়েছে। আপনি যদি লেখালেখিতে ভালো হন এবং নিয়মিত পরিশ্রম করেন, তবে এই কাজে আপনি সফল হতে পারবেন।
শুরুতে ছোট ছোট প্রজেক্টগুলো নিয়ে কাজ করুন এবং পরবর্তীতে বড় ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করার চেষ্টা করুন। সবাইকে ধন্যবাদ