প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন
বর্তমানে অনলাইনে বিভিন্ন ধরণের কাজ করে খুব সহজেই প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়। আধুনিক এই যুগে ঘরে বসে অনলাইনে বিভিন্ন ধরণের কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আর সেই কাজ করে অনায়াসে সপ্তাহে চার হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা যায়।
তবে ইনকাম করার আগে অবশ্যই আপনাকে সেই কাজগুলো সম্পর্কে জানতে হবে এবং কাজের বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। অনলাইনে কাজ করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। যেগুলো জানার মাধ্যমে আপনি অনলাইনে কাজ করে টাকা আয় করতে পারবেন।বর্তমানে বেশিরভাগ বেকার থেকে চাকরিজীবী অর্থাৎ কেউ বা চাকরির পাশাপাশি পার্ট টাইম অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করছে। আবার কেউবা বেকার বসে না থেকে পেশা হিসেবে কাজ করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করছে। আপনারা চাইলেও ঘরে বসে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
তবে সে ক্ষেত্রে আপনাদের টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো সম্পর্কে ভালকরে জেনে নিতে হবে। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে প্রতি সপ্তাহে আয় করার বিভিন্ন উপায়গুলো জেনে নেই।
প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন?
আপনারা যারা শিক্ষার্থী রয়েছেন। তারা অনেকেই ঘরে বসে অনলাইনে প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকা পর্যন্ত কিংবা তারও বেশি ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে খুঁজে থাকেন। তাদের জন্য আমরা আজকের এই আর্টিকেলে প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকা আয় করার সহজ ত্রিশটি উপায় তুলে ধরার চেষ্টা করব।
আপনারা এই উপায় গুলো জেনে সঠিকভাবে কাজ করে প্রতি সপ্তাহে অন্তত চার হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। তবে চলুন এবার সেই উপায়গুলো জেনে নেই। যেমনঃ
- কন্টেন্ট রাইটিং
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- ভিডিও এডিটিং
- ইউটিউব চ্যানেল
- ফেসবুক পেজ
- অনলাইন কোর্স
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- ওয়েবসাইট ডিজাইন
- টিকটক ভিডিও
- ফেসবুক রিলস
- ওয়েবসাইট এসইও
- ডাটা এন্ট্রি
- কপিরাইটিং
- অ্যানিমেশন তৈরি করা
- ট্রানসলেশন সেবা
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
- অনলাইন সার্ভে
- শিক্ষকতা করে
- রিসেলিং ব্যবসা
- ফটোগ্রাফি করে
- মোবাইল সার্ভিসিং দোকান
- ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা
- কোমল পানীয় দোকান
- পশুপাখি পালন
- Instagram একাউন্ট খুলে আয়
- ফুলের দোকান
- আউটসোর্সিং করা
- ওয়েবসাইট তৈরি
- সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
- অনলাইন ব্যবসা
আপনারা উপরের উল্লেখিত ত্রিশটি উপায় থেকে প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকার পর্যন্ত উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। তবে শুধু আপনাদের এই ত্রিশটি উপায় সম্পর্কে জেনে সঠিক নিয়মে উপায় গুলো অবলম্বন করতে হবে। তাহলে আপনি প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে দুই হাজার থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
এভাবেই প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করুন বিভিন্ন উপায়ে। তাই চলুন আর দেরি না করে উপরের উল্লেখিত ত্রিশটি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। প্রথমেই যেমনঃ
১. কন্টেন্ট রাইটিং
আপনি প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকা ইনকাম করার জন্য নিজের ওয়েবসাইটে কনটেন্ট রাইটিং করতে পারেন। এছাড়াও কনটেন্ট রাইটিং সম্পর্কে জানলে অন্য জনের ওয়েবসাইটে কনটেন্ট রাইটিং করে। প্রতি সপ্তায় চার হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
কনটেন্ট রাইটিং হচ্ছে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আর্টিকেল তৈরি করা। আপনি যদি খুব সহজেই অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চান। তাহলে কনটেন্ট রাইটিং হচ্ছে আপনার জন্য সেরা একটি মাধ্যম।
২. ওয়েবসাইট তৈরি
আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করে সেটি বিক্রি করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনি হয়তো প্রতি সপ্তাহে ইনকাম করতে পারবেন না। ওয়েবসাইট তৈরি করে সেটি আপনি বিক্রি করে মাসে ত্রিশ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।
তবে নিজের ওয়েবসাইট থাকলে সেখানে আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা আয় করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে আর্টিকেল রাইটিং এ এক্সপার্ট হতে হবে। এভাবে আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করে প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করুন।
৩. ওয়েবসাইট এসইও
এসইও হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। বর্তমান বিশ্বে এই কাজটির চাহিদা প্রচুর রয়েছে। যতদিন যাচ্ছে এসিও চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এসইও করে ওয়েবসাইটকে রাঙ্ক করানো সম্ভব।
আপনার এসইও সম্পর্কে দক্ষতা থাকলে আপনি সেই এসইও করার মাধ্যমে প্রতি সপ্তায় চার হাজার টাকারও বেশি আয় করতে পারবেন। বর্তমানে মার্কেটপ্লেসগুলোতে ওয়েবসাইট এসইও করার কাজ রয়েছে। আপনারা চাইলে সেই কাজগুলো করে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন।
৪. ডিজিটাল মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে কাজ করে খুব সহজে অনলাইন থেকে প্রতি সপ্তাহে হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করুন। ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে বিভিন্ন পণ্যের প্রচার প্রচারণা করা। ডিজিটাল পদ্ধতিতে কোন পণ্যর প্রচার করাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়।
বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোন পণ্যর প্রচার ও ব্যান্ড ভ্যালু বাড়ানোকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে। আপনি বিভিন্ন কোম্পানির সাথে ডিজিটাল মার্কেটিং কাজের জন্য চুক্তি করতে পারেন। এতে করে আপনি প্রতি সপ্তাহে ভাল পরিমাণে একটা ইনকাম করতে পারবেন।
৫. ওয়েবসাইট ডিজাইন
আপনারা চাইলে ওয়েবসাইট ডিজাইন করেও টাকা ইনকান করতে পারবেন। একটি ওয়েবসাইটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ওয়েবসাইট ডিজাইন। তাই আপনারা ওয়েবসাইট ডিজাইনের কাজ করতে পারেন।
যারা ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে পারেন। অর্থাৎ ওয়েব ডেভলপার তারা এই কাজগুলো করে খুব সহজেই প্রতি সপ্তাহে অন্তত চার হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। এভাবে ওয়েব ডিজাইন করে প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করুন।
৬. ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
আপনি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার কিংবা কোম্পানির ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়ে কাজ করতে পারেন। বিভিন্ন ব্যবসায় সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর প্রয়োজন হয়ে থাকে।
এখানে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ হচ্ছে ক্লায়েন্টের উত্তরে দেওয়া, বিভিন্ন তথ্য নেওয়া ও সংগঠনিক সেবা প্রদান করা। আপনারা চাইলে এই কাজটি করে প্রতি সপ্তাহে ভাল পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
৭. ভিডিও এডিটিং
বর্তমানে ভিডিও এডিট করেও অনলাইনে ভাল পরিমাণে ইনকাম করা সম্ভব। আপনি নিজের ভিডিও বানিয়ে সেটি এডিট করে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করতে পারেন। আবার অন্য কারোর ভিডিও এডিট করে দেয়ার মাধ্যমেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এছাড়াও নিজের ভিডিও এডিট করে বিভিন্ন প্লাটফর্মে আপলোড করে অনলাইন থেকেই টাকা আয় করা যায়।মূলত ভিডিও এডিট অথবা ভিডিও বানিয়ে যেকোন পদ্ধতিতে আয় করা সম্ভব। এভাবে আপনি ভিডিও এডিট করে প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
৮. ইউটিউব চ্যানেল
অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করার খুবই সহজ মাধ্যম হচ্ছে ইউটিউব চ্যানেল খোলা। আপনি ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখানে ভিডিও বানিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন। ইউটিউব এর নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ভিডিও বানিয়ে ভিজিটর বাড়ালে মনিটাইজেশন পেতে পারেন।
আর মনিটাইজেশন পেলে আপনি ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারবেন। ইউটিউব থেকে অর্থ উপার্জন করার জন্য আপনার ভিডিও অবশ্যই ইউনিক হতে হবে। অর্থাৎ কপি ভিডিও থাকা যাবে না। আপনি এভাবেই ইউটিউব চ্যানেল থেকেই প্রতি সপ্তাহে প্রচুর পরিমাণে টাকা আয় করতে পারবেন।
৯. ফেসবুক পেজ
আপনার নিজস্ব একটি ফেসবুক পেজ থাকলে। সেই ফেসবুক পেজ ব্যবহার করে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনার ফেসবুক পেজে যদি অনেক ফলোয়ার থাকে। তাহলে আপনি সেই ফেসবুক পেজ ব্যবহার করে বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য কিংবা পরিষেবা প্রচার করতে পারেন।
এভাবে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির সাথে চুক্তি করে তাদের পণ্য প্রচার অর্থাৎ প্রমোশন করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে কোম্পানিগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের পণ্য প্রচারের জন্য ফেসবুক মাধ্যম ব্যবহার করে থাকে। তাই আপনি এই উপায়টিকে কাজে লাগিয়ে প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন।
১০. অনলাইন কোর্স
আপনি যদি কোন বিষয়ে পারদর্শী হয়ে থাকেন। তাহলে সেটি আপনি অনলাইনে পেইড কোর্স করিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন। বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ এই আধুনিক যুগে অনলাইনে কোর্স করতে পছন্দ করে থাকে। কারণ এখন খুব সহজে অনলাইন এর মাধ্যমে কোর্স করে কোন বিষয়ে সম্পর্কে শেখা যায়। আপনার যদি কোন বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকে। অর্থাৎ কোন বিষয় বেশ পারদর্শী হয়ে থাকেন।
তাহলে সেটি আপনি অনলাইনে শেখাতে পারেন। আপনার কোর্সের নির্দিষ্ট ভিডিও বানিয়ে সেটি আপনি অনলাইনে যেকোন প্লাটফর্মের মাধ্যমে বিক্রি বিক্রি করতে পারেন। এতে করে অন্যরা আপনার কোর্স কম দামে কিনতে পারল। এবং আপনি সেখান থেকে টাকা ইনকাম করতে পারলেন। এভাবে খুব সহজে অনেক টাকা রোজগার করতে পারবেন।
১১. গ্রাফিক্স ডিজাইন
বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে গ্রাফিক্স ডিজাইন খুবই একটি জনপ্রিয় কাজ। গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজ করে খুব সহজেই অনলাইন থেকে প্রতি সপ্তায় চার হাজার টাকার বেশি উপার্জন করা সম্ভব। কারণ আজকাল কোম্পানিগুলো তাদের প্রচার করার জন্য বিভিন্ন ধরণের ব্যানার, লোগো এবং অ্যাড বানিয়ে থাকে।
আর এই সব ব্যানার ও অ্যাড বানানোর জন্য গ্রাফিক ডিজাইনারদের প্রয়োজন হয়ে থাকে। যার ফলে তারা গ্রাফিক ডিজাইনারদের নিয়োগ দেয়। এভাবে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির সাথে কিংবা মার্কেটপ্লেসে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে ভাল পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন।
১২. টিকটক ভিডিও
আপনি টিকটক ভিডিও বানিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন। তবে আপনি এখানে সরাসরি ভিডিও বানিয়ে টিকটক থেকে ইনকাম করতে পারবেন না। আপনি শুধুমাত্র টিকটকে বিভিন্ন পণ্যর প্রচার করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনার যদি একটি ভাল ফলোয়ার যুক্ত টিকটক একাউন্ট থাকে।
তাহলে সেই একাউন্টে আপনি বিভিন্ন পণ্যের প্রমোশন করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য আজকাল বেশিরভাগ মানুষ টিকটক থেকে ইনকাম করার জন্য ভিডিও বানিয়ে থাকে। আপনারাও ট্রাই করে দেখতে পারেন।
১৩. ডাটা এন্ট্রি
অনলাইন থেকে ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে ডাটা এন্টি করা। আপনি ডাটা এন্টির কাজ করে খুব সহজে অনলাইন থেকে প্রতি সপ্তাহে টাকা আয় করতে পারবেন। ডাটা এন্ট্রির কাজ মূলত বিভিন্ন সোর্স থেকে তথ্য সংগ্রহ করে কম্পিউটারে সংরক্ষণ করা।
আপনার টাইপিং স্পিড ভাল হলে এই কাজটি ভাল করতে পারবেন। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ে ডাটা এন্টির কাজটি খুবই জনপ্রিয় লাভ করছে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে আপনি ডাটা এন্টির কাজ করতে পারেন। সেখানে আপনারা তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী ডাটা এন্ট্রি করে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
১৪. ফেসবুক রিলস
বর্তমানে ফেসবুকে রিলস বানিয়ে অনলাইন থেকে ইনকাম করা সুযোগ দিয়েছে ফেসবুক কোম্পানি। ফেসবুক কোম্পানি রিলিস ভিডিও থেকে ইনকাম করার পদ্ধতি চালু করেছে। আপনার ছোট ছোট সব ভিডিও অর্থাৎ রিলস বানানোর মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। বর্তমানে সকলেই কমবেশি এই উপায়টিতে প্রচুর টাকা ইনকাম করছে। আপনারাও চাইলে ফেসবুকে রিলস থেকে প্রচুর পরিমাণে টাকা আয় করতে পারেন।
১৫. কপিরাইটিং
আপনি কপির রাইটিং কাজ করার মাধ্যমে অনলাইনে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন। কপিরাইটিং হচ্ছে মূলত বিভিন্ন প্রোডাক্টের প্রমোশনের জন্য লেখালেখির কাজ। বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট প্রমোশনের জন্য লেখালেখি করতে হয়ে থাকে।
আর তাকেই কপিরাইটিং বলা হয়ে থাকে। এই পণ্যের লেখাগুলো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করে মানুষকে পণ্য সম্পর্কে জানানো যায়। এবং সেটি কেনার জন্য উদ্বুদ্ধ করে থাকে। এভাবে কপিরাইটিং কাজ করে ইনকাম করতে পারেন।
১৬. অ্যানিমেশন
বর্তমানে এনিমেশন ভিডিওর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন কোম্পানিগুলো এনিমেশন এর মাধ্যমে তাদের পণ্যর প্রচার করে থাকে। বিশেষ করে বিভিন্ন তারা এনিমেশন এড বানিয়ে এই কাজটি করে থাকে। আপনি যদি এনিমেশন তৈরিতে এক্সপার্ট হয়ে থাকেন। তাহলে এই কাজটি করতে পারেন। এছাড়া এনিমেশন বানিয়ে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করে টাকা আয় করতে পারেন।
১৭. রিসেলিং ব্যবসায়
বর্তমানে সহজে টাকা ইনকাম করার অন্যতম উপায় হচ্ছে রিসেলিং ব্যবসায়। আপনারা কম টাকায় প্রোডাক্ট কিনে সেটি বেশি টাকায় বিক্রি করতে পারেন। আর এটি হচ্ছে রিসেলিং ব্যবসায়। এই ব্যবসায় কম পুঁজিতেই করা যায়। যাদের কম পুজি তারা চাইলে এই ব্যবসায় করতে পারেন।
আপনারা কম টাকা দিয়ে কোম্পানির কাছ থেকে অনেক পণ্য কিনে সেটি লাভবান দামে বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন। এছাড়াও পুরাতন জিনিস ক্রয় করে সেটি সামান্য লাভে বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। এই রিসেলিং ব্যবসায় করে অনেকেই লাভবান হচ্ছে।
১৮. ট্রানসলেশন সেবা
অনলাইনে ট্রান্সলেশন পরিষেবা দিয়ে ভাল পরিমাণে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। ট্রানসলেশন হচ্ছে মূলত ভাষার অনুবাদ করা। এই ট্রান্সলেশন কাজ আপনি বিভিন্ন প্লাটফর্মে করতে পারবেন। ট্রানসলেশন সেবা দিয়ে আপনি প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে চার হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
আপনারা বিভিন্ন ওয়েবসাইট অথবা কোম্পানির প্রচার পরিষেবা করার জন্য ট্রান্সলেশন এর কাজ করতে পারেন। বর্তমানে কোম্পানিগুলো তাদের বিষয় সম্পর্কে জানানোর জন্য ট্রান্সলেশন সেবা দিয়ে থাকে।
১৯. অনলাইন সার্ভে করে
আমরা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মাধ্যমে অনলাইন সার্ভে করে টাকা আয় করতে পারবেন। তবে এখানে আপনাকে অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এই সার্ভে করে আপনি সামান্য পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারেন।
তবে যারা পেইড সার্ভে করেন তাদের ক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে অন্তত চার হাজার টাকারও বেশি আয় করতে পারবেন। আমার মতে আপনারা অবশ্যই ফ্রিতে সার্ভে করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
২০. শিক্ষকতা
আপনি অনলাইন অথবা অফলাইনে শিক্ষকতা করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। বর্তমানে এই শিক্ষকতা বিষয়টি অন্তাত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর এই শিক্ষকতা খুব সহজে অনলাইনের মাধ্যমে করা যায়। আপনি যদি কোন পাঠ্য বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করে থাকেন।
এবং সেই বিষয়টি নিয়ে আপনি শিক্ষকর্তা করতে পারেন। শিক্ষকতা করার জন্য কোন দক্ষতার প্রয়োজন নেই।আপনার কাজ হলে স্টুডেন্টদের পড়ানো এবং তাদের পড়া বোঝানো। এভাবে আপনি শিক্ষকতা করেই প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকারও বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
২১. ফটোগ্রাফি
আপনি ফটোগ্রাফি করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার বিষয়টি ভাবতে পারেন। ফটোগ্রাফি সেকশন থেকে ইনকাম করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই ছবি তোলাতে খুবই ভাল এক্সপার্ট হতে হবে। আপনাদের মধ্যে অনেকে রয়েছে যারা ছবি তুলতে ভালবাসেন। এবং ছবি তোলাতে এক্সপার্ট, তারা চাইলে ছোটখাটো ছবি তোলার দোকান দিতে পারেন।
বর্তমানে বিয়ে বাড়িগুলোতে ফটোগ্রাফি করার জন্য ফটোগ্রাফারদের খোঁজা হয়ে থাকে। আপনারা সেই বিয়ে বাড়িতে ফটোগ্রাফি করে একদিনেই চার হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। এছাড়া বিভিন্ন ফটোগ্রাফি কনটেস্টে যোগ দেয়ার মাধ্যমে ক্যাশ রিওয়ার্ড নিতে পারেন।
২২. মোবাইল সার্ভিসিং দোকান
বর্তমান সময়ে মোবাইল সার্ভিসিং ব্যবসায় খুবই জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ প্রতিদিন অনেক মানুষের মোবাইল ফোন, কোন না কোন কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যার কারণে তারা মোবাইল ফোনগুলো রিপিয়ার করার জন্য মোবাইল সার্ভিসের দোকানে যেয়ে থাকে।
আপনি বাজারে ছোট একটি মোবাইল সার্ভিসের দোকান দিয়ে প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে মোবাইল ফোন সার্ভিস কাজ সম্পর্কে ভাল দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
২৩. কোমল পানীয় দোকান
বর্তমানে এই গরমের সময়ে মানুষজন বেশিরভাগ ঠান্ডা কমল পানীয় খেতে পছন্দ করে থাকে। আপনারা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রাস্তার পাশে কোমল পানির দোকান দিতে পারেন। এই ব্যবসায় করে অনেকেই প্রচুর টাকা লাভ করছে। তাই আপনি যদি প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে চান তাহলে এই কমল পানির ব্যবসায় করতে পারেন।
২৪. পশুপাখি পালন
আপনি কম পুজিতেই পশুপাখি পালন করে টাকা আয় করতে পারেন। ধরুন আপনি একটি ছোট মুরগির খামার দিলেন। সেই খামারে মুরগি লালন পালন করে এবং মুরগির বাচ্চা উৎপাদন করে বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন। তাই আমি বলব আপনার যদি প্রতি সপ্তাহে ভাল একটা এমাউন্ট ইনকাম করতে চান। তাহলে মুরগির খামার অথবা পশু পাখি পালন করতে পারেন।
২৫. আউটসোর্সিং
আপনারা চাইলে আউটসোর্সিং করে ইনকাম করতে পারেন। আউটসোর্সিং মূলত ফ্রিল্যান্সারদের কাজ দেওয়ার মার্কেটপ্লেস। অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সাররা যেই মার্কেটপ্লেস এ কাজ করবে সেই মার্কেটপ্লেসগুলো পরিচালনা করার কাজই হচ্ছে আউটসোর্সিং। আউটসোর্সিং করতে হলে সকল বিষয়ে অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান থাকতে হবে। বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
২৬. Instagram
বর্তমানে ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট খুলে ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে। অনেক সেলিব্রেটি রয়েছে যারা ইনস্টাগ্রাম একাউন্টে পোস্ট করার মাধ্যমে ইনকাম করে থাকে। আপনারা চাইলে Instagram এ ফলোয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে ইনকাম করতে পারেন।
ইনস্টাগ্রামে বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর রিভিউ করে আয় করা যায়। আপনি কোম্পানির প্রোডাক্ট এর প্রমোশন ইনস্টাগ্রামে করতে পারেন। এছাড়াও বর্তমানে শোনা যাচ্ছে instagram এ পোস্ট ও ভিডিও করে ও ইনকাম করা যায়।
২৭. ফুলের দোকান
আপনি রাস্তার পাশে ছোট একটি ফুলের দোকান দিয়েও প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। বর্তমানে ফুলের চাহিদা রয়েছে, কারণ বর্তমানে মানুষ গিফট দেওয়ার জন্য বেশির ভাগ সময় ফুল ব্যবহার করে থাকে।
আপনি সেই ফুলের দোকান দিয়ে ফুলের গিফট প্যাক বানাতে পারেন। ফুলের দোকান দিয়ে মাসে অতি সহজেই বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
২৮. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
আপনি সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন পেজ অথবা ফেসবুক গ্রুপ মডারেট করে ইনকাম করতে পারবেন। অনেক বড় বড় গ্রুপ কিংবা পেজ রয়েছে যারা ফেসবুক পেজ পরিচালনা করার জন্য মডারেটর নিয়োগ দিয়ে থাকে।
আপনারা তাদের সাথে যোগাযোগ করে মডারেটর হিসেবে কাজ করতে পারেন। আপনি এখানে দিনে চার থেকে পাঁচ ঘন্টা টাইম দিয়েই ইনকাম করতে পারবেন। আপনার কাজ হবে শুধু ফেসবুক পেজ অথবা গ্রুপ সুন্দর করে পরিচালনা করা।
২৯. অনলাইন ব্যবসা
আপনার অনলাইনে যেকোন ধরণের ব্যবসায় করে সফলতা অর্জন করতে পারেন। বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ অনলাইনে অর্ডার করতে পছন্দ করে থাকে। কারণ অনলাইনে অর্ডার করলে পণ্য ডেলিভারি ঘরে বসে পাওয়া যায়।
এখন আর দোকানে গিয়ে মানুষ তেমন একটা প্রোডাক্ট কিনতে পছন্দ করে না। তাই অনলাইনে পছন্দ হলেই সেগুলো অর্ডার করে দিয়ে থাকে। আপনি এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনলাইন ব্যবসায় করে খুব সহজে প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
৩০. ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা
প্রতি সপ্তায় চার হাজার টাকা ইনকাম করার অন্যতম উপায় হচ্ছে ফেক্সিলোড ব্যবসায়। বর্তমানে সিমে রিচার্জ ও এমবি তোলার জন্য অনেকেই ফেক্সিলোড করে থাকে। আর ফ্লেক্সিলোড করার জন্য দোকানে যেতে হয়।
আপনি ফ্লেক্সিলোডের দোকান দিয়ে প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকা আয় করতে পারেন। এছাড়া আপনি সিম কেনা বেচার ব্যবসায় করতে পারেন। আপনি কোম্পানির কাছ থেকে নির্দিষ্ট কম দামে সিম কিনে সেগুলো বিক্রি করতে পারেন।
শেষ কথা
এই আর্টিকেলে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন সহজ ৩০টি উপায়ে আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। যেগুলোর মাঝে থেকে আপনি আপনার যোগ্যতা ও সামর্থ্য অনুযায়ী যেকোন একটি বেছে নিতে পারেন আপনার অনলাইন ক্যারিয়ার হিসেবে। যেখানে কাজ করে আপনি যশ ও খ্যাতি উভয়ই পেতে পারেন।
কিন্তু সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে অবশ্যই একটু ভাবনা-চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিবেন। যে কাজটি আপনার ভাল লাগে, যে কাজে আপনার মন বসবে কাজ করে শান্তি পাবেন। যেটি আপনি দীর্ঘদিন যাবত চালিয়ে যেতে পারবেন। আমি মনে করি সেটি আপনার নির্বাচন করা উচিত। তবেই সাফল্যের চুড়ায় পৌঁছাতে পারবেন।
আর্টিকেলটি পড়ে কোন বিষয় যদি না বুঝে থাকেন। তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন আর আর্টিকেলটি যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। এরকম জানা অজানা তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট এর সাথে থাকুন। ধন্যবাদ