অনলাইন ইনকাম

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ

বর্তমানে আমাদের দেশে বেকারত্বের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। এই বেকারত্ব দূর করার জন্য বর্তমানে যুবক যুবতী, তরুণ তরুণী এবং ছোট থেকে বড় সকলে ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে ধাবিত হচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি ইনকাম সাইট।ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহযেখানে নিজের স্বাধীনতা বজায় রেখে নিজের সুবিধা মত অনেক টাকা উপাঅজন করা সম্ভব। এবং নিজের ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট করার খুব সুন্দর একটি মাধ্যম এই ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে যে শুধুমাত্র আপনি আপনার ক্যারিয়ার গোছাতে পারবেন বিষয়টি এমন না।

আপনার নিজের পাশাপাশি আপনি আরও অনেককেই ফ্রিল্যান্সিং জগতে তাদের ভবিষ্যৎকে আলোকিত করে তুলতে পারবেন। তাই আজকের এই আর্টিকেলটি অন্তান্ত মনযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পযন্ত পড়ুন।

ফ্রিল্যান্সিং কি?

ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে মূলত একটি অনলাইন ইনকামের মাধ্যম। যেখানে আপনি আপনার স্বাধীনতার সাথে কাজ করতে পারবেন। এবং ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করে বেশি ভাল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টিও ঠিক চাকরির মতোই।

কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং এবং চাকরির মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে চাকরিতে আপনাকে যথাসময়ে এটেন্ড হয়ে চাকরি করতে হবে। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আপনাকে নির্দিষ্ট কোন টাইম মেইন্টেন করে কাজ করতে হবে না। আপনি আপনার সুবিধামতো যেকোন সময় কাজ করতে পারেন।

আপনি যদি চাকরি করেন তাহলে আপনাকে একটা নিদিষ্ট সময় অনুযায়ী চাকরি করতে হবে। এবং অনেকের অনেক কথা শুনতে হবে। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং এ এরকম কোন সময় বেধে দেওয়া নেই এবং এরকম কোন নিয়মও নেই। সহজ ভাষায় বলতে গেলে ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে স্বাধীনতা সম্পন্ন একটি অনলাইন ইনকাম মাধ্যম।

এখান থেকে আপনি অনেক উপায়ে। এবং অনেকভাবে অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটি মুক্ত পেশা। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আপনি আপনার ব্যক্তিগতভাবেও কাজ করতে পারবেন। কিংবা একাধিক জন মিলে ব্যবসায়ের মতো করেও কাজ করতে পারবেন ।

ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি?

সারা বিশ্বে এখন ধীরে ধীরে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর কারণ হচ্চে ফ্রিল্যান্সিং একটি মুক্ত পেশা। যেখানে নিজের ইচ্ছামত এবং স্বাধীনভাবে অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায়। সারাদেশে এখন আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কাজ করার কারণে এ বিষয়টি অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

আমরা যদি আমাদের আশেপাশের দিকে তাকায়। আশেপাশে মানুষদের খেয়াল করি। তাহলে দেখতে পাবো যে অনেক যুবক-যুবতী, তরুণ তরুণী নিজেদের লেখা পড়া শেষ করে বেকার ভাবে ঘোরাফেরা করছে। তারা পর্যাপ্ত লেখাপড়া করার পরেও প্রতিনিয়ত তাদেরকে এই বেকারত্বের বোঝা টানতে হচ্ছে।

এর কারণ বর্তমান দেশে চাকরির খুবই অভাব। আমরা সব সময় চাকরির আশায় থাকি যে, লেখাপড়া শেষ করে কোন একটি চাকরি করব । কিন্তু বর্তমানে চাকরির বাজারের যে অবস্থা তাতে চাকরি পাওয়া অনেকটাই কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। তাই বর্তমানে তরুণ তরুণীদের সংখ্যা বাড়ছে ফ্রিল্যান্সিং জগতে।

যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং একটি অনলাইন ভিত্তিক ইনকাম সেহেতু ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ আরও উন্নত হয়ে উঠবে।কারণ বর্তমানে এমন কোন বাড়ি অর্থাৎ এমন কোন ব্যক্তি পাওয়া যাবে না যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করেনা বা কোন বাসাতে স্মার্টফোন নাই। আর এই স্মার্টফোন এর সম্পূর্ণ সংযোগ হচ্ছে ইন্টারনেটের সাথে। যেহেতু আমরা সকলে ইন্টারনেট ব্যবহার করি।

এবং বর্তমান যুগ অনলাইনের যুগ সেহেতু ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ টাও অনেক সুন্দর এবং উজ্জ্বলময়। কোন ব্যক্তি যদি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চায় তাহলে আশা করা যায়। সে তার ভবিষ্যতটাকে উজ্জ্বল ময় করে তুলতে সক্ষম হবে। কারণ বর্তমান বিশ্বে ইন্টারনেটের ব্যবহার যত বেশি হবে।

ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ টা ঠিক তত টাই উজ্জ্বল এবং উন্নত হবে। তাই বলা যায় যে ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ খুবই সুন্দর এবং খুবই উজ্জ্বল ময় ভবিষ্যৎ হতে চলেছে।

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি?

বর্তমানে সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। প্রতিনিয়ত মানুষ অনলাইন ইনকামের প্রতি ঝুঁকে পড়ছে। আর অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়। ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটি মুক্ত পেশা যেখানে একজন ব্যক্তি তার ইচ্ছামত স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে।

এবং নিজের স্বাধীনতা অনুযায়ী কাজ করে অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। গোটা বিশ্বে যত ফ্রিল্যান্সার রয়েছে তাদের মধ্যে থেকে অধিকাংশই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটার।

ডিজিটাল মার্কেটিং আসলে কি? ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে যেকোন সোশ্যাল মিডিয়া অর্থাৎ ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে যেকোন পণ্য, সেবা প্রদান, প্রচার-প্রচারণা করার প্রক্রিয়া। আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন কিংবা ফ্রিল্যান্সার হতে চাচ্ছেন।

তাহলে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টা আসলে কি? ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে? এবং ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি ? কিংবা কোন সেক্টরের চাহিদা সব থেকে বেশি এবং মানুষ কোন সেক্টরে সব থেকে বেশি কাজ করে থাকে।

এই সকল বিষয় সম্পর্কে আগে আপনাকে জানতে হবে। কারণ বর্তমান অনলাইনের যুগে বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে মানুষ অর্থ উপার্জন করছে। তবে মনে রাখবেন এর মধ্যে কিন্তু অনেক প্রতারকও রয়েছে। যারা ফ্রিল্যান্সিং শেখানোর নামে বিভিন্ন ভাবে প্রতারণা করে থাকে মানুষের সাথে।

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে সম্পূর্ণ সঠিক ধারণা লাভ করতে হবে। এবং কোন সেক্টরে কাজ করলে ভাল হবে সে বিষয়ে আগে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। তবে বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা সব থেকে বেশি রয়েছে।

কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং এ অল্প সময়ে কাজ শিখে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া এবং বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে ইনকাম করা সম্ভব। এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি যেকোন ধরণের ব্যবসায়ও করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ?

ফ্রিল্যান্সিং এর অনেকগুলো সেক্টর রয়েছে। যে সকল সেক্টরে নিজের দক্ষতা দিয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করে অর্থ উপার্জন সম্ভব। বর্তমানে গোটা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মূল কারণ হচ্ছে যুবক যুবতীদের বেকারত্ব।

আবার অনেক পেশাজীবী মানুষও রয়েছে যারা তাদের অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে ইনকাম করতে চায়।এজন্য এ সকল মানুষগুলো দিন দিন ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে পা বাড়াচ্ছে। মূলত নিজের স্কিল দিয়ে কিংবা স্কিল অর্জন করে। বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

এখন আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে দক্ষ না হোন অথবা আপনার যদি স্কেল না থাকে। তাহলে আপনাকে আগে অবশ্যই দক্ষতা অর্জন করতে হবে। কিন্তু আপনি কোন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে চান? যেকোন একটি বিষয়ে আপনাকে আগে ভালভাবে দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং সে দক্ষতা দিয়ে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে হবে।

এর আগে অবশ্যই একটি বিষয় লক্ষ্য করতে হবে যে বর্তমান সময়ে কোন সেক্টরের কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে। সেই সকল সেক্টরে কাজ করে মূলত টাকা ইনকাম করতে হবে। তাই ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয় পাঁচটি সেক্টর সম্পর্কে আমরা এখন বিস্তারিত আলোচনা করব। তো চলুন দেখে নেই জনপ্রিয় পাঁচটি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ। যেমনঃ

  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • কনটেন্ট রাইটিং
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
  • অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট

এই পাঁচটি সেক্টর বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জগতে সবথেকে জনপ্রিয় ইনকাম সাইট। যেখান থেকে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। কিন্তু তার আগে আপনাকে যেকোন একটি বিষয় নির্ধারণ করে নিতে হবে।

এবং সে বিষয়ের উপর আপনাকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এরপর আপনি আপনার দক্ষতা দিয়ে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং

ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অর্থাৎ অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে যে কোন পণ্যের প্রচার-প্রচারণা চালানোর মাধ্যম।

প্রতিষ্ঠানের কিংবা কোন পণ্যের অথবা ব্র্যান্ডের প্রচার সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষের মাঝে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। বর্তমান সময় ডিজিটাল মার্কেটিং একটি জনপ্রিয় ইনকাম মাধ্যম হয়ে উঠেছে।

কন্টেন্ট রাইটিং

কনটেন্ট রাইটিং হচ্ছে যেকোন একটি বিষয়ের ওপর নিজের দক্ষতা দিয়ে সুন্দরভাবে পুরো একটি আর্টিকেল লিখে মানুষের মাঝে প্রকাশ করা। আমরা গুগলে বিভিন্ন বিষয়ে জানার জন্য সার্চ দিয়ে থাকি। আর গুগল সার্চ ইঞ্জিন যে আর্টিকেল গুলো আমাদের দেখায় সেগুলো মূলত কনটেন্ট রাইটাররা লেখে থাকে। কন্টেন্ট রাইটিং হতে পারে ইংরেজিতে কিংবা বাংলাতে।

একজন কন্টেন্ট রাইটার একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিশ্চিত করে। সে বিষয়ের উপর বিভিন্ন তথ্য মানুষের মাঝে তুলে ধরে। যাতে করে মানুষ সে বিষয়ে কোন কিছু জানতে চাইলে কিংবা জানার আগ্রহ প্রকাশ করলে। তারা গুগলে সার্চ দিয়ে সে তথ্য সম্পর্কে জান পারে বা সমস্যার সমাধান পেতে পারে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন

গ্রাফিক্স ডিজাইন হচ্ছে যেকোন তথ্যকে সৃজনশীলতা দিয়ে সেটাকে রং করে, রেখা টেনে এবং বিভিন্ন সেপের মাধ্যমে মানুষের সামনে তুলে ধরা। অর্থাৎ যে কোন বিষয় কিংবা যে কোন তথ্যকে সুন্দরভাবে ডিজাইন করে সেটাকে মানুষের মাঝে তুলে ধরা কেই গ্রাফিক্স ডিজাইন বলা হয়।

গ্রাফিক্স ডিজাইনের বেশির ভাগ তথ্যগুলো মার্কেটিং সম্পর্কিত হয়ে থাকে। তবে মার্কেটিং ছাড়াও এর আরও অন্যান্য সেক্টর রয়েছে। যেমন টি-শার্ট ডিজাইন, ব্যানার লোগো ইত্যাদি। সকল ডিজাইনগুলো রয়েছে বা ডিজাইনগুলো করা হয় সে সবগুলো গ্রাফিক্স ডিজাইন এর অন্তর্ভুক্ত।

এর মধ্যে গার্মেন্টস সেক্টর টি অন্যতম। কারণ গার্মেন্টস এর বিভিন্ন প্যান্ট, শার্ট, টি-শার্ট ইত্যাদি ডিজাইন করা হয়ে থাকে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমে।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

ওয়েব সার্ভারে বিভিন্ন তথ্য জমা রাখা হয়। সে সকল তথ্যগুলো ইন্টারনেট এবং যে সকল ওয়েব ব্রাউজারগুলো রয়েছে। সেই ওয়েব ব্রাউজার গুলোর মাধ্যমে দর্শনযোগ্য করার যে প্রক্রিয়া রয়েছে তাকেই বলা হয় ওয়েব ডেভেলপমেন্ট।

বিভিন্ন ধরণের ওয়েবসাইট তৈরি করা কিভাবে বিভিন্ন প্রকার কোডিং সম্পর্কিত যে সকল কাজগুলো রয়েছে সে সকল কাজগুলো ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর অন্তর্ভক্ত। অর্থাৎ পরিষ্কার ভাবে বলতে গেলে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যতগুলো কাজ রয়েছে। সমস্ত কাজ এই ওয়েব ডেভেলপমেন্টরা করে থাকে।

মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট

মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে এক কিংবা একাধিক মোবাইল ডিভাইস এর জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করার প্রক্রিয়া। অর্থাৎ আমরা যে সকল অ্যাপ গুলো ব্যবহার করে থাকি। আমাদের মোবাইলে যে সকল অ্যাপ গুলো মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট দ্বারা তৈরি করা হয়।

এই অ্যাপ গুলো একটি মোবাইল কিংবা একাধিক মোবাইল ফোনে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। একটি মোবাইল অ্যাপ এর মধ্যে ব্যক্তিগত ডিজিটাল সহকারী (PDA) ও এন্টারপ্রাইজ ডিজিটাল সরকারি (EDA) মোবাইল ফোনের অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। একটি অ্যাপকে বিভিন্নভাবে সাজিয়ে সেটা মানুষের ব্যবহারযোগ্য করে তোলা মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্টরা করে থাকে।

এই পাঁচটি সেক্টর ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে জনপ্রিয় সেক্টর। তবে বর্তমানে সব থেকে চাহিদা সম্পন্ন সেক্টর হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। এবং গোটা বিশ্বে ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টর এ কাজ করা ফ্রিলান্সার এর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা কি কি?

ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটি মুক্ত পেশা। এর সুযোগ সুবিধা রয়েছে অনেক। এবং আপনি যে কোন সময় বের এই ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হতে চান। তাহলে আপনাকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তবে আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন।

তাহলে তো আপনার দক্ষতা থাকবে না। তাই দক্ষতা অর্জন করার জন্য আপনাকে কোর্সের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং এর যে সকল সুবিধা গুলো রয়েছে সেগুলো হলঃ

স্বাধীনতা

ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটি মুক্ত পেশা যা আমি এই আর্টিকেল অনেকবার উল্লেখ করছি। ফ্রিল্যান্সিংকে মুক্ত পেশা বলার কারণ হচ্ছে আপনি যেকোন সময়ে আপনার ইচ্ছামত স্বাধীনভাবে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ে কোন ধরণের করাকরি সময় বেধে দেওয়া থাকেনা।

আপনি হয়তো মনে করবেন পাঁচ মিনিট কাজ করে আপনার ক্লান্ত মনে হচ্ছে। তাহলে আপনি আবার পরবর্তীতে আপনি রেস্ট নিয়ে কিংবা আবার কিছুক্ষণ পর কাজ শুরু করতে পারবেন আপনার ইচ্ছা মতো। কিন্তু আপনি যখন চাকরি করবেন কিংবা অন্যান্য কাজের সাথে জড়িত থাকবেন।

তখন কিন্তু এই স্বাধীনতাটা আপনি একদম উপভোগ করতে পারবেন না। আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ দিনেও করতে পারেন আবার রাতেও করতে পারেন। আপনার যখন সুবিধা মনে হবে এবং আপনার যখন কাজ করতে ইচ্ছা হবে।

আপনি তখনই এই কাজ করতে পারবেন। এখানে আপনার কোন বস বা কাজে চাপ দেওয়ার মন কেউ থাকবে না। আপনাকে বলার মত কেউ থাকবে না। আপনি আপনার ইচ্ছামত নিজ সময়ে কাজ করতে পারবেন।

ইনকাম

ফ্রিল্যান্সিং করে একজন ফ্রিল্যান্সার প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করে থাকে। যা একজন সাধারণ চাকরিজীবীর পক্ষে কখনও সম্ভব নয়। একজন চাকরিজীবী সর্বোচ্চ মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা ইনকাম করে থাকে। কিন্তু একজন ফ্রিল্যান্সার মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করার সমর্থ্য রাখে।

এবং আপনি ঘরে বসেই প্রতি মাসে এরকম লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি চাকরি করেন। তাহলে ঘরে বসেই কিন্তু চাকরি করতে পারবেন না। আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী যত বেশি কাজ করতে পারবেন। আপনি মাস শেষে তত টাকা গুনতে পারবেন।

শুধু প্রতি মাসেই নয় আপনি যেকোন সময় টাকা ইনকাম করে টাকা হাতে পেতে পারেন। এই সুযোগ-সুবিধা টা শুধুমাত্র একজন ফ্রিল্যান্সার এর ক্ষেত্রেই সম্ভব। কিন্তু অন্যান্য পেশাজীবীদের পক্ষে ঘরে বসে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করা সম্ভব নয়।

যেকোন সময় কাজ

এখানে যেকোন সময় বলতে আমি বুঝিয়েছি বয়সের ব্যবধান। অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি কাজ যা যেকোন বয়সের মানুষ এই কাজ করতে পারে। ছাত্র জীবন থেকেই ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে অনেক টাকা ইনকাম করা যায়।

আবার অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা অন্যান্য কাজের সাথে জড়িত কিংবা চাকরির সাথেও জড়িত। সে সকল মানুষগুলোও ফ্রিল্যান্সিং করে থাকে। কারণ হল ফ্রিল্যান্সিং একটি স্বাধীন কাজ করার মাধ্যমে। এবং যেকোন বয়সের মানুষদের জন্য কাজ করার সুযোগ রয়েছে। তাই যেকোন বয়সের মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবে।

সুস্থতা এবং অসুস্থতা

আমরা মানুষ, আমরা যেকোন সময় অসুস্থ হয়ে পড়তে পারি। আমরা অসুস্থ হয়ে গেলে কিন্তু কাজ করতে পারি না। আমাদের কাজ করার মত শক্তি শরীরে থাকে না। কিন্তু যখন আপনি অন্যান্য কোন কাজের সাথে জড়িত থাকবেন। কিংবা চাকরি করবে তখন অনেক সময় হয় কি যে অসুস্থ হওয়ার পরও কাজ করতে হয়।

কিংবা অন্ত্যান্ত পক্ষে অফিসে জয়েন করতে হয়। কিন্তু আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং করবেন তখন আপনি অসুস্থ হয়ে গেলে। আপনাকে কোন কাজ করতে হবে না। আবার যখন আপনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। তখন আপনি কাজ শুরু করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং এ বিভিন্ন প্যাসিভ ইনকাম সাইট রয়েছে। যেখানে আপনি কাজ না করলেও আপনার একাউন্টে টাকা জমা হতে থাকবে। পরবর্তীতে আবার আপনি কাজ শুরু করতে পারেন। কিন্তু অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে আপনি ঠিক যতক্ষণ কাজ করবেন শুধুমাত্র ততক্ষণই টাকা পাবেন।

আর বেশি ইনকামের ক্ষেত্রে আপনি কিছুক্ষণ কাজ করেছেন। হয়তো বা কিছুদিন কাজ করলেন না। কিন্তু যে কয় দিন কাজ করলেন না সে কয়দিনের টাকাও কিন্তু আপনি পেয়ে যাবেন। এই দুর্দান্ত সুযোগটি শুধু মাত্র ফ্রিল্যান্সিং এই রয়েছে।

দলবদ্ধভাবে কাজ করা

ফ্রিলান্সিং এ দলবদ্ধভাবে কাজ করার বেশ সুবিধা রয়েছে। যেই কাজ আপনার একার পক্ষে করা কঠিন হয়ে পড়ে। সেই কাজ কিন্তু দলবদ্ধ ভাবে করলে খুব সহজে এবং খুব তাড়াতাড়ি করা সম্ভব। আর দলবদ্ধভাবে কাজ করলে দেখা যায় যে আপনি যে কাজটি পারবেন না।

হয়তো সে কাজ আর একজন পারবে । আরেকজন যে কাজ পারবে না অন্যজন সে কাজ পারবে। আসলে বিষয়টা হচ্ছে একজন না পারলেও অন্যজন ঠিকই পারবে। এই মজাটা রয়েছে শুধুমাত্র দলবদ্ধ ভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে। কারণ সকলের জ্ঞান কিন্তু সমান থাকে না।

কারও বুদ্ধি বেশি থাকে আবার কারও বুদ্ধি কম থাকে। দলবদ্ধ ভাবে কাজ করলে কিন্তু নিজের দক্ষতা কেও বৃদ্ধি করা সম্ভব।

শেষ কথা

এই আর্টিকেলে আমি বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। যেগুলোর মাঝে থেকে আপনি আপনার যোগ্যতা ও সামর্থ্য অনুযায়ী যেকোন একটি বেছে নিতে পারেন আপনার অনলাইন ক্যারিয়ার হিসেবে।

যেখানে কাজ করে আপনি যশ ও খ্যাতি উভয়ই পেতে পারেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে অবশ্যই একটু ভাবনা-চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিবেন। যে কাজটি আপনার ভাল লাগে, যে কাজে আপনার মন বসবে কাজ করে শান্তি পাবেন। যেটি আপনি দীর্ঘদিন যাবত চালিয়ে যেতে পারবেন।

আমি মনে করি সেটি আপনার নির্বাচন করা উচিত। তবেই সাফল্যের চুড়ায় পৌঁছাতে পারবেন। একই সাথে মনে রাখবেন ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি কাজ যেখানে আপনাকে প্রচুর ধৈর্যশীল এবং পরিশ্রমী হতে হবে। তবেই ফ্রিল্যান্সিং জগতে আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

আর্টিকেলটি পড়ে কোন বিষয় যদি না বুঝে থাকেন। তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আর আর্টিকেলটি যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। এরকম জানা অজানা তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট এর সাথে থাকুন। ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

A Friendly Request: Please Consider Disabling Your Ad Blocker