গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয়
গ্রাফিক্স ডিজাইন বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্র এবং শিল্পে ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ বিজ্ঞাপন, ফ্যাশন, প্রযুক্তি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং আরও অনেক জায়গায়। এটি কেবল একটি সৃজনশীল শিল্প নয়, বরং একটি শক্তিশালী মাধ্যম।যা তথ্যকে গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। আজকের আর্টিকেলে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন কি?
গ্রাফিক্স ডিজাইন হলো একটি সৃজনশীল প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ছবি, আকার, রং, লেখার ধরন (টাইপোগ্রাফি) এবং অন্যান্য ভিজ্যুয়াল উপাদান ব্যবহার করে বার্তা বা ধারণা উপস্থাপন করা হয়।
এটি সাধারণত বিভিন্ন মাধ্যমের মাধ্যমে তথ্য বা অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। গ্রাফিক্স ডিজাইন বিভিন্ন উদ্দেশ্য এবং পরিবেশে ব্যবহৃত হতে পারে, যেমন ব্র্যান্ডিং, বিজ্ঞাপন, প্রকাশনা, ওয়েব ডিজাইন, মোশন গ্রাফিক্স ইত্যাদি।
আরও পড়ুনঃ সবচেয়ে কম সময়ে বেশি টাকা কোন গেম খেলে ইনকাম করা যায় 2025
গ্রাফিক্স ডিজাইনের মূল উপাদানসমূহ?
টেক্সট (Typography)
ডিজাইনে ব্যবহৃত লেখার ধরন, আকার, ফন্ট এবং স্টাইল।
রং (Color)
ডিজাইনে ব্যবহৃত রঙের নির্বাচন, যা মানসিক প্রভাব এবং ভিজ্যুয়াল আকর্ষণ সৃষ্টি করতে সাহায্য করে।
ইমেজ বা ছবি (Images)
ছবি, আল্পনা বা চিত্র ব্যবহার করে বিষয়বস্তুকে সজীব ও আকর্ষণীয় করা।
ফর্ম বা আকার (Shape)
বিভিন্ন আকারের ব্যবহার, যা ডিজাইনের কাঠামো এবং ভারসাম্য তৈরি করতে সাহায্য করে।
স্পেস (Space)
ডিজাইনে ব্যবহৃত ফাঁকা জায়গা, যা কনটেন্টকে প্রাধান্য দেয় এবং ক্লটারিং (আয়ত্তের বাইরে হয়ে যাওয়া) রোধ করে।
লাইন (Line)
ডিজাইনের মধ্যে বিভিন্ন রেখা ব্যবহার, যা বিভিন্ন উপাদানকে সংযুক্ত করতে বা বিচ্ছিন্ন করতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুনঃ ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম করার অ্যাপ বাংলাদেশ
গ্রাফিক্স ডিজাইন কত প্রকার ও কি কি?
নিচে গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রকারভেদ দেওয়া হলোঃ
ব্র্যান্ডিং ডিজাইন
ব্র্যান্ডের জন্য লোগো, ব্যবসায়িক কার্ড, ব্র্যান্ড গাইডলাইন, প্রোডাক্ট প্যাকেজিং ইত্যাদি ডিজাইন করা।
ওয়েব ডিজাইন
ওয়েবসাইটের লেআউট, ইউআই (ইউজার ইন্টারফেস) ডিজাইন, রেসপন্সিভ ডিজাইন ইত্যাদি।
প্রিন্ট ডিজাইন
পুস্তিকা, ম্যাগাজিন, ফ্লায়ার, পোস্টার, বিলবোর্ড, ব্রোশিওর ইত্যাদি ডিজাইন।
মোশন গ্রাফিক্স
ভিডিও, অ্যানিমেশন, এবং ডিজিটাল প্রোডাকশনের জন্য তৈরি করা চলমান গ্রাফিক্স।
ইনফোগ্রাফিক ডিজাইন
তথ্য বা পরিসংখ্যানকে আকর্ষণীয় এবং সহজবোধ্যভাবে উপস্থাপন করা।
আরও পড়ুনঃ লিংক শেয়ার করে ইনকাম
গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয়?
নিচে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
১. ফ্রিল্যান্সিং
বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম যেমনঃ Upwork, Fiverr, Freelancer, এবং DesignCrowd এ কাজ করতে পারেন। এখানে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের কাজ (লোগো ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, প্রিন্ট ডিজাইন) নিয়ে কাজ করতে পারবেন।
২. নির্দিষ্ট ক্লায়েন্টের জন্য কাজ
আপনি নিজে ছোট ব্যবসায়ীদের, স্টার্টআপ অথবা বড় কোম্পানির জন্য লোগো বা ব্র্যান্ডিং কাজ করতে পারেন। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেন।
৩. পণ্য ডিজাইন
আপনি নিজের পণ্যের ডিজাইন তৈরি করে। যেমনঃ টি-শার্ট, কাপ, পোস্টার ইত্যাদির জন্য বিক্রি করতে পারেন। Print on Demand সাইট যেমনঃ Teespring, Redbubble বা Society6 এ ডিজাইন আপলোড করে আয় করা সম্ভব।
৪. ডিজিটাল প্রোডাক্টস বিক্রি
বিভিন্ন ডিজিটাল পণ্য যেমনঃ প্রিফরেমড টেমপ্লেট, সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট কিট, আইকন সেট ইত্যাদি বিক্রি করতে পারেন।
৫.এডুকেশন বা টিউটোরিয়াল
আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখানোর কোর্স তৈরি করে অথবা টিউটোরিয়াল ভিডিও তৈরি করে ইউটিউব বা Udemy তে বিক্রি করতে পারেন।
৬. ব্র্যান্ডিং এবং মার্কেটিং কনসালটেন্সি
বড় প্রতিষ্ঠান বা ব্র্যান্ডের জন্য ব্র্যান্ডিং এবং মার্কেটিং কৌশল তৈরি করতে পারেন। গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং স্ট্রাটেজিক কনসালটেন্সি মেলিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ অফার করতে পারেন।
৭. ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ ডিজাইন
আপনি ওয়েবসাইট ডিজাইন বা ইউআই/ইউএক্স (UI/UX) ডিজাইন করতে পারেন। এখানে আপনি বিভিন্ন সিএমএস (CMS) প্ল্যাটফর্ম যেমনঃ WordPress, Shopify বা Squarespace এর জন্য ডিজাইন তৈরি করতে পারেন।
৮. ভিডিও গ্রাফিক্স ডিজাইন
ভিডিও এডিটিং, অ্যানিমেশন, কিংবা মুভিং গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আপনি ভিডিও প্রোডাকশন কোম্পানি বা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করতে পারেন। After Effects বা Premiere Pro ব্যবহার করে ভিডিও গ্রাফিক্স ডিজাইন করা সম্ভব।
৯. বুক কভার, ম্যাগাজিন কভার ডিজাইন
লেখকদের বা পাবলিশিং হাউসের জন্য বইয়ের কভার ডিজাইন করা, ম্যাগাজিন বা নিউজলেটার ডিজাইন করাও একটি ভালো আয় করার সুযোগ হতে পারে।
১০. গুগল অ্যাডস এবং সোশ্যাল মিডিয়া বিজ্ঞাপন ডিজাইন
আপনি বিভিন্ন ব্যবসায়ের জন্য ডিজিটাল বিজ্ঞাপন তৈরি করতে পারেন। গুগল অ্যাডস, ফেসবুক/ইনস্টাগ্রাম বিজ্ঞাপন বা লিংকডইন অ্যাড ডিজাইন করার কাজও বেশ জনপ্রিয়।
আরও পড়ুনঃ ফ্রি লটারী খেলে টাকা ইনকাম apps
১১. স্টক গ্রাফিক্স বিক্রি
আপনি নিজের ডিজাইন তৈরি করে স্টক ইমেজ বা গ্রাফিক্স ওয়েবসাইটে বিক্রি করতে পারেন। যেমনঃ Shutterstock, Adobe Stock, iStock ইত্যাদিতে আপনার ডিজাইন আপলোড করা যেতে পারে।
১৩. ব্র্যান্ডের জন্য প্যাকেজ ডিজাইন
পণ্য বা ব্র্যান্ডের জন্য প্যাকেজিং ডিজাইন (যেমনঃ বোতল, বক্স বা ব্যাগ ডিজাইন) তৈরি করাও একটি জনপ্রিয় কাজ হতে পারে।
১৪. ইলাস্ট্রেশন ও কারিকেচার ডিজাইন
ব্যক্তিগত বা কর্পোরেট ক্লায়েন্টের জন্য ইলাস্ট্রেশন বা কারিকেচার তৈরি করতে পারেন। বিশেষ করে ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া, এবং প্রিন্টের জন্য কারিকেচার কাজ খুবই জনপ্রিয়।
১৫. ফন্ট ডিজাইন
আপনি নিজে ফন্ট ডিজাইন করতে পারেন এবং সেগুলো বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করতে পারেন। যেমনঃ Creative Market ও MyFonts ইত্যাদি। ফন্ট ডিজাইন একটি নির্দিষ্ট দক্ষতা নিয়ে কাজ থাকে। তবে আপনি যদি এর প্রতি আগ্রহী হন, এটি দীর্ঘমেয়াদী টাকা আয়ের উৎস হতে পারে।
১৬. পডকাস্ট কভার ডিজাইন
অনেক পডকাস্ট প্রোডিউসারদের জন্য কভার আর্ট ডিজাইন করা একটি ভালো সুযোগ হতে পারে। পডকাস্টের কভার আর্ট হচ্ছে একটি আকর্ষণীয় এবং ব্র্যান্ডের জন্য উপযুক্ত ডিজাইন, যা শ্রোতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
১৭. ওপেন সোর্স প্রজেক্ট ডিজাইন
ওপেন সোর্স প্রজেক্টের জন্য গ্রাফিক্স তৈরি করার মাধ্যমে আপনি একটি সম্মানজনক নাম অর্জন করতে পারেন। যদিও এর মাধ্যমে সরাসরি আয় কম হতে পারে, তবে এটি আপনার কাজের প্রদর্শনী হিসেবে কাজ করতে পারে এবং ভবিষ্যতে ক্লায়েন্ট আকর্ষণ করতে সাহায্য করবে।
১৮. ইভেন্ট এবং কনফারেন্স ডিজাইন
কনফারেন্স, সেমিনার, বা ইভেন্টগুলোর জন্য পোস্টার, ফ্লায়ার, ব্যানার, এবং ইনভাইটেশন ডিজাইন করতে পারেন। এই ধরনের কাজেও অনেক ভালো আয় হতে পারে।
১৯. সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট ডিজাইন
অনেক ব্যবসা তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলের জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনার নিয়োগ দেয়, যেমন পোস্ট, স্টোরি, হাইলাইট কভার ইত্যাদি ডিজাইন করা। এই ধরনের ডিজাইন কাজগুলো অনলাইনে দ্রুত বাড়ছে।
২০. 3D ডিজাইন
3D মডেলিং এবং ডিজাইন (যেমনঃ প্রোডাক্ট ডিজাইন, আর্কিটেকচারাল রেন্ডারিং) বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়। এটি বিশেষত গেম ডিজাইন, ফিল্ম এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে কাজে লাগে। Blender ও Cinema 4D ব্যবহার করে আপনি সহজে 3D ডিজাইন করতে পারেন এবং ক্লায়েন্টদের জন্য ভালোভাবে কাজ করতে পারেন।
২১. মোবাইল অ্যাপ ডিজাইন:
আপনি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের জন্য ইউআই/ইউএক্স ডিজাইন করতে পারেন। অ্যাপের ইন্টারফেস, বাটন, লে-আউট এবং অন্যান্য ভিজ্যুয়াল উপাদান ডিজাইন করা এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
২২. ফটো ম্যানিপুলেশন
আপনি পেশাদারী ফটো ম্যানিপুলেশন কাজ যেমন রিটাচিং, কালার কোরেকশন, কনটেস্ট বা সোশ্যাল মিডিয়ার প্রমোশনের জন্য ছবি পরিবর্তন বা ডিজাইন করতে পারেন।
২৩. ইভেন্ট ও ফেস্টিভাল ডিজাইন
বিভিন্ন ইভেন্ট, ফেস্টিভাল বা বিশেষ দিনের জন্য ডিজাইন যেমন গ্রাফিক্স, পোস্টার, ব্যানার বা ওয়েবসাইট লে-আউট তৈরি করতে পারেন। যেমন ক্রিসমাস, ঈদ, নিউ ইয়ার ইত্যাদি উপলক্ষে ডিজাইন।
২৪. ডিজিটাল পেইন্টিং বা কনসেপ্ট আর্ট
আপনি ডিজিটাল পেইন্টিং বা কনসেপ্ট আর্ট (যেমন ভিডিও গেম, সিনেমা বা অ্যনিমেশন প্রোজেক্টের জন্য কনসেপ্ট আর্ট) তৈরি করতে পারেন।
২৫. ইনফোগ্রাফিক ডিজাইন
ব্যবসা বা তথ্য সংস্থা জন্য ইনফোগ্রাফিক তৈরি করে তাদের তথ্য গ্রাফিক্যালি উপস্থাপন করতে পারেন। ইনফোগ্রাফিক ডিজাইন এক্সপার্ট হতে আপনাকে খুবই সৃজনশীল এবং তথ্যবহুল হতে হবে।
আরও পড়ুনঃ দাবা খেলে টাকা ইনকাম
২৬. উইন্ডো ডিসপ্লে ডিজাইন
আপনি দোকানের উইন্ডো ডিজাইন বা রিটেইল ডিসপ্লে তৈরি করতে পারেন, যা ব্যবসায়ীদের তাদের পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি বাড়াতে সাহায্য করবে।
২৭. স্পেশাল ইফেক্ট (SFX) ডিজাইন
যদি আপনি অ্যানিমেশন বা ভিডিও প্রোডাকশনের সাথে যুক্ত থাকেন, তাহলে আপনি স্পেশাল ইফেক্ট ডিজাইন বা ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট তৈরি করতে পারেন। এটি সিনেমা, টেলিভিশন বা ভিডিও গেমে ব্যবহৃত হয়।
২৮. ক্রিপ্টো এবং এনএফটি (NFT) ডিজাইন
আপনি ডিজিটাল আর্ট তৈরি করে এনএফটি মার্কেটপ্লেসে (যেমন OpenSea, Rarible) বিক্রি করতে পারেন। ক্রিপ্টো আর্ট এবং এনএফটি ডিজাইন এখন বেশ জনপ্রিয়।
২৯. পডকাস্ট গ্রাফিক্স এবং থাম্বনেইল ডিজাইন
পডকাস্টের জন্য থাম্বনেইল বা গ্রাফিক্স ডিজাইন করা একটি নতুন সুযোগ হতে পারে। এর মধ্যে পডকাস্টের লোগো, থাম্বনেইল, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, কভার আর্ট ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত।
৩০. বিজনেস কার্ড এবং স্টেশনারি ডিজাইন
অনেক ছোট বা বড় ব্যবসা তাদের ব্যবসায়িক পরিচিতি ও ব্র্যান্ডিং জন্য বিজনেস কার্ড, চিঠিপত্র, ক্যালেন্ডার ইত্যাদি ডিজাইন করাতে চায়। এটি একটি স্থায়ী আয়ের উৎস হতে পারে।
৩১. গেম গ্রাফিক্স ডিজাইন
ভিডিও গেমসের জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন যেমন চরিত্র ডিজাইন, ব্যাকগ্রাউন্ড, আইটেম বা এনভায়রনমেন্ট তৈরি করা। গেম ডেভেলপাররা আপনার গ্রাফিক্সকে তাদের গেমে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।
৩২. ইন্টারঅ্যাকটিভ ডিজাইন
ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ইন্টারঅ্যাকটিভ ডিজাইন তৈরি করা, যেমন হোভার ইফেক্ট, ড্র্যাগ এন্ড ড্রপ ইন্টারফেস, এনিমেটেড স্ক্রোলিং ইত্যাদি।
৩৩. রেট্রো বা ভিনটেজ ডিজাইন
রেট্রো বা ভিনটেজ স্টাইলের গ্রাফিক্স ডিজাইন, যা ব্র্যান্ডের জন্য বা ব্যক্তিগত কাজের জন্য বিশেষ আকর্ষণীয় হতে পারে। যেমন রেট্রো-স্টাইল লোগো, পোষ্টার বা টিশার্ট ডিজাইন।
৩৪. স্কুল ও কলেজ ডিজাইন
স্কুল বা কলেজের জন্য লোগো, মটিভেশনাল পোস্টার, অ্যাওয়ার্ড সার্টিফিকেট, সিলেবাস কভার ডিজাইন, বা ওয়েবসাইট ডিজাইন তৈরি করতে পারেন।
৩৫. প্যাকেজিং ডিজাইন (প্যাম্পার এবং কসমেটিক্স)
কসমেটিক্স বা স্বাস্থ্যসেবা পণ্যের জন্য প্যাকেজিং ডিজাইন, যা ব্র্যান্ড পরিচিতি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং পণ্যের বাজারজাতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৩৬. পোস্টার ও ফ্লায়ার ডিজাইন
বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য পোস্টার, ফ্লায়ার, লিফলেট ডিজাইন করা, যা একটি ইভেন্ট বা প্রমোশনাল ক্যাম্পেইন প্রচারে সাহায্য করতে পারে।
৩৭. এডিটোরিয়াল ডিজাইন
বই, ম্যাগাজিন, বা পত্রিকার জন্য অ্যাডভান্সড লেআউট ডিজাইন এবং টাইপোগ্রাফি কাজ করতে পারেন। এতে পৃষ্ঠার সাজানো, ছবির প্লেসমেন্ট, এবং ভিজ্যুয়াল স্টাইলিং অন্তর্ভুক্ত থাকে।
৩৮. পোর্টফোলিও ডিজাইন
গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের জন্য পোর্টফোলিও ডিজাইন এবং পেশাদারী ওয়ার্ক স্যাম্পল প্রেজেন্টেশন তৈরি করা।
৩৯. ই-লার্নিং ডিজাইন
ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম বা কোর্সের জন্য ডিজাইন তৈরি করা যেমনঃ ইন্টারফেস ডিজাইন, কুইজ, ইলাস্ট্রেশন বা টিউটোরিয়াল উপাদান।
আরও পড়ুনঃ অংক করে টাকা ইনকাম
৪০. ফ্রি-লান্স ওয়েবসাইট টেমপ্লেট ডিজাইন
আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইট টেমপ্লেট ডিজাইন করে অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন, যা ছোট ব্যবসায়ীরা বা ফ্রিল্যান্স ওয়েব ডেভেলপাররা ব্যবহার করতে পারে।
৪১. অ্যানিমেটেড ওয়েব বা ইউটিউব গ্রাফিক্স
আপনি ইউটিউব চ্যানেলদের জন্য অ্যানিমেটেড থাম্বনেইল, ওয়েবসাইট বা ভিডিও গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে পারেন, যা তাদের ভিডিও বা চ্যানেলকে আকর্ষণীয় করে তোলে।
৪২. কোল্যাবরেটিভ প্রজেক্ট ও কাজ
অন্যান্য ডিজাইনার বা আর্টিস্টদের সাথে কোল্যাবোরেটিভ প্রজেক্টে অংশগ্রহণ করতে পারেন, যেখানে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন বা ভিজ্যুয়াল কন্টেন্ট সরবরাহ করবেন।
৪৩. পেশাদারী প্রেজেন্টেশন ডিজাইন
ব্যবসায়িক বা পেশাদারী প্রেজেন্টেশনের জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন। যেমনঃ পাওয়ারপয়েন্ট টেমপ্লেট ডিজাইন, ইনফোগ্রাফিক বা ডায়াগ্রাম তৈরি।
৪৪. ক্রিয়েটিভ কম্পেনশন ডিজাইন
বিভিন্ন ডিজাইন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা, যেমনঃ লোগো ডিজাইন, টিশার্ট ডিজাইন, পোস্টার ডিজাইন ইত্যাদি, যেখানে আপনি পুরস্কার জিততে পারেন।
৪৫. ডিজাইন ব্লগ বা নিউজলেটার
আপনি ডিজাইন সম্পর্কিত ব্লগ বা নিউজলেটার চালিয়ে, ডিজাইন টিপস, টিউটোরিয়াল, রিভিউ ইত্যাদি শেয়ার করতে পারেন এবং বিজ্ঞাপন বা স্পন্সরশিপ থেকে আয় করতে পারেন।
৪৬. লোগো ডিজাইন কনটেস্টে অংশগ্রহণ
বিভিন্ন ওয়েবসাইটে লোগো ডিজাইন কনটেস্টে অংশগ্রহণ করতে পারেন। যেমনঃ 99designs, DesignCrowd বা LogoTournament-এ আপনি লোগো ডিজাইন করে পুরস্কার বা কাজ পেতে পারেন।
৪৭. ক্রিয়েটিভ ডিরেকশন
আপনি যদি একজন অভিজ্ঞ গ্রাফিক্স ডিজাইনার হন, তাহলে আপনি ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টরের ভূমিকায় কাজ করতে পারেন। এতে আপনি বিভিন্ন প্রকল্পের ডিজাইন কনসেপ্ট থেকে শুরু করে পুরো ব্র্যান্ডিং এবং প্রজেক্টের পরিচালনা করবেন।
৪৮. ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে ডিজাইন বিক্রি
আপনি Etsy, Creative Market, Gumroad, বা Shopify এর মতো ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে ডিজাইন টেমপ্লেট, প্রিন্টেবল, পোস্টার ইত্যাদি বিক্রি করতে পারেন। এগুলো একবার ডিজাইন করে বিক্রি করা যেতে পারে।
৪৯. পোস্টপ্রোডাকশন ডিজাইন
সিনেমা, টেলিভিশন শো বা ভিডিও প্রোডাকশনের জন্য পোস্টপ্রোডাকশন ডিজাইন। যেমনঃ গ্রাফিক্স, টাইটেল সিকোয়েন্স, ফিল্ম ট্রান্সিশন ইত্যাদি তৈরি করতে পারেন।
৫০. ব্র্যান্ড ও সোশ্যাল মিডিয়া কিট ডিজাইন
ব্র্যান্ড বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের জন্য কিট ডিজাইন (যেমনঃ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, কভার ছবি, গ্রাফিক্যাল টেমপ্লেট) তৈরি করতে পারেন।
৫১. কমিউনিটি বা এনজিও ডিজাইন
এনজিও বা কমিউনিটি ভিত্তিক প্রজেক্টগুলোর জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন তৈরি করতে পারেন। যেমনঃ অ্যাডভোকেসি ক্যাম্পেইন, ইভেন্ট ফ্লায়ার, সোসাল মিডিয়া কন্টেন্ট ইত্যাদি।
৫২. ডিজিটাল আর্ট প্রিন্টস বিক্রি
আপনি ডিজিটাল আর্ট তৈরি করে ইন্টারনেটে প্রিন্ট আউট বা ফ্রেমড আকারে বিক্রি করতে পারেন। স্টক আর্ট, মেমোরেবল ডিজাইন বা পোর্ট্রেট ডিজাইন এসব অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
৫৩. মোশন গ্রাফিক্স
ভিডিও অ্যানিমেশন এবং মোশন গ্রাফিক্স ডিজাইন করার মাধ্যমে আপনি ভিডিও প্রোডাকশনে যোগ দিতে পারেন। যেমন, প্রোমো ভিডিও, টিউটোরিয়াল অ্যানিমেশন, ব্র্যান্ড ভিডিও ইত্যাদি।
৫৪. ইন্টারনাল কমিউনিকেশন ডিজাইন
বড় কোম্পানির জন্য ইনহাউস প্রেজেন্টেশন, রিপোর্ট, বা কোম্পানির ডকুমেন্টেশনের জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে পারেন। এই ধরনের ডিজাইন কাজের জন্য বিশেষজ্ঞদের প্রয়োজন হয়।
৫৫. ওয়ার্কশপ বা ট্রেনিং
আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখানোর জন্য ওয়র্কশপ বা অনলাইন কোর্স আয়োজন করতে পারেন এবং সেখান থেকে আয় করতে পারেন। ডিজাইন সফটওয়্যার যেমন Adobe Illustrator, Photoshop বা Figma শেখানো যেতে পারে।
৫৬. টেমপ্লেট ডিজাইন
আপনি বিভিন্ন ডিজাইন সফটওয়্যারে (যেমন PowerPoint, Keynote, Canva) প্রেজেন্টেশন বা সোশ্যাল মিডিয়া টেমপ্লেট তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। অনেক কোম্পানি বা ব্যক্তি এসব টেমপ্লেট ব্যবহার করে তাদের কাজের গতি বাড়ায়।
৫৭. লোগো ও ব্র্যান্ড গাইডলাইন তৈরি
অনেক বড় কোম্পানি বা স্টার্টআপ লোগো ও ব্র্যান্ডিং গাইডলাইন তৈরি করতে চায়, যাতে তারা তাদের ব্র্যান্ডের এক্সটেনশন সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে। আপনি এই ধরনের কাজ করে আয় করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ কম্পিউটার দিয়ে ইনকাম
৫৮. নামকরণ ও ব্র্যান্ড স্ট্র্যাটেজি
অনেক কোম্পানি বা ব্যক্তির জন্য ব্র্যান্ডের নাম এবং স্ট্র্যাটেজি তৈরি করার ক্ষেত্রে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের অবদান থাকতে পারে। আপনি তাদের জন্য নাম এবং ভিজ্যুয়াল আইডেন্টিটি তৈরি করতে পারেন।
৫৯. ইন্টারফেস (UI) ডিজাইন
আপনি ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ, বা সফটওয়্যারের ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন করতে পারেন। ইউআই ডিজাইন এখন ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত এবং চাহিদা অনেক বেড়েছে।
৬০. মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট তৈরির জন্য সহযোগিতা
আপনি অন্যান্য কনটেন্ট ক্রিয়েটরের সাথে যৌথভাবে কাজ করতে পারেন, যেমনঃ ভিডিও, ব্লগ, বা সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্টের জন্য ডিজাইন তৈরি করা।
৬১. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ডিজাইন
আপনি যেসব ডিজিটাল প্রোডাক্ট বা টুলের সাথে পরিচিত, সেগুলোর জন্য প্রমোশনাল ডিজাইন তৈরি করতে পারেন এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করতে পারেন। যেমন, আপনার ডিজাইন করা বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে আপনি একটি অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক শেয়ার করতে পারেন।