ইনভেস্ট ছাড়া ইনকাম সাইট
আজকাল প্রত্যেকেই নিজের হাতে থাকা স্মার্টফোনটি দিয়ে কোন ধরণের বিনিয়োগ ছাড়াই ঘরে বসে পার্ট টাইম কাজ করে অনলাইনে ইনকাম করার উপায় খুঁজে থাকেন। কোন প্রকার ইনভেস্টমেন্ট ছাড়া প্রতিদিন পাঁচশত টাকা থেকে এক হাজার টাকা পযন্ত ইনকাম করার অনেক সহজ উপায় রয়েছে।এছাড়াও আপনি ইন্টারনেটে এমন অনেক ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন যেগুলোতে বিভিন্ন ছোটো ছোটো অনলাইন কাজ করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। উদাহরণস্বরুপ, প্রচুর সংখ্যক লোকেরা অনলাইনে এড দেখে ইনকাম, ভিডিও দেখে অনলাইন ইনকাম, গেম খেলে ইনকাম এই ধরণের কাজগুলো করে ইনকাম করছে।
এই কাজগুলো করে ইনকাম করার ক্ষেত্রে আপনাকে কোন ধরণের ডিপোজিট কিংবা বিনিয়োগ করতে হবে না। তবে এগুলোতে আপনাকে প্রচুর সময় ধরে কাজ করতে হবে এবং এর বিনিময়ে আপনার ইনকামের পরিমাণও থাকবে খুবই কম।
তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে এমন কিছু ওয়েবসাইট শেয়ার করতে চলেছি। যেগুলোতে কাজ করে আপনারা সম্পূর্ণ ফ্রিতে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনেকেই এসব ওয়েবসাইটে কাজ করে প্রতি মাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা কিংবা তারও বেশি ইনকাম করছে।
আর সবচাইতে মজার ব্যাপার হল নিচে ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম সাইটগুলোতে কাজ করতে আপনাকে কোন টাকা খরচ করতে হবে না।
ইনভেস্ট ছাড়া ইনকাম সাইট?
বর্তমান সময়ে উপার্জন করার উদ্দেশ্যে যেকোন ধরণের কাজ বা ব্যবসায় করতে গেলে অল্প হলেও কিছু টাকা অবশ্যই খরচ করতে হয়। এজন্য ইনভেস্টমেন্ট বা ডিপোজিট ছাড়াই অনলাইন ইনকাম করার বিশ্বস্ত এবং কার্যকর ওয়েবসাইট খুঁজে পাওয়াটা একটু কঠিন।
তবে চিন্তার কোন কারণ নেই, আজকের আর্টিকেলে আমি একদম জিরো ইনভেস্টমেন্টে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার ১২টি সেরা ওয়েবসাইট সম্পর্কে আলোচনা করবো। এই ওয়েবসাইটগুলোতে আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিতে নিজের একাউন্ট তৈরি করে কাজ শুরু করে দিতে পারবেন।
এবং অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার লোকেরা এই ওয়েবসাইটগুলো ব্যবহার করে ঘরে বসে অনলাইনে টাকা ইনকাম করছেন। অনেকে এত বেশি পরিমাণে টাকা ইনকাম করছেন যে তাদের আলাদা করে আর কোন চাকরি বা ব্যবসায় করার প্রয়োজন হচ্ছেনা।
আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন। এবং পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইনে ইনকাম করার কথা ভাবছেন। তাহলে নিচে উল্লেখ করা সাইটগুলোতে পার্ট টাইম কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। কোনো ধরনের ইনভেস্ট ছাড়া টাকা ইনকাম করার সেরা ১২টি সাইটঃ
- Freelancer
- Fiverr
- Upwork
- Freecash.com
- Google AdSense
- Shutterstock
- ySense
- YouTube
- Swagbucks
- Facebook Marketplace
- 2captcha.com
- Dreamstime
1. Freelancer
ফ্রিলান্সার হচ্ছে একটি অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম। যেখানে আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ খুঁজে পেতে পারেন। এবং ক্লায়েন্টদের সাথে চুক্তি করে অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন। এখানে আপনি কোন বিনিয়োগ কিংবা ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম করতে পারবেন।
freelancer.com থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে এই সাইটে একটি প্রফেশনাল প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। প্রোফাইলে সুন্দর করে আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং কাজের নমুনা বা পোর্টফোলিও সব কিছু সুন্দর করে যুক্ত করতে হবে।
freelancer.com-এ ক্লায়েন্টরা বিভিন্ন ধরণের কাজের প্রজেক্ট পোস্ট করে থাকেন। আপনি আপনার দক্ষতার সাথে মিলে এমন কাজগুলোতে বিড (প্রস্তাব) করতে পারবেন। বিড করার সময় আপনার কাজের অভিজ্ঞতা এবং কীভাবে আপনি প্রজেক্টটি সমাধান করবেন তা ভালভাবে উল্লেখ করতে হবে।
এই ওয়েবসাইটে আপনি কাজ করার জন্য যেমন লোগো ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, ওয়েবসাইট ও অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, ভিডিও এডিটিং, ভয়েস আর্টিস্ট ইত্যাদি কাজ করতে পারবেন। freelancer.com-এ কাজ করার পর পেমেন্ট পাওয়ার জন্য অবশ্যই তাদের নির্ধারিত পেমেন্ট মেথড ব্যবহার করতে হবে।
যেমনঃ PayPal, Payoneer অথবা ব্যাংক ট্রান্সফার। যদি আপনি একজন প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার হয়ে উঠতে চান। তাহলে আপনাকে একটি portfolio তৈরি করতে হবে। আপনার কাজের নমুনা এবং সফল প্রজেক্টগুলো আপনার পোর্টফলিওতে যুক্ত করতে হবে।
এটি করলে আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা প্রদর্শন করবে। freelancer.com-এ সফল হতে হলে আপনাকে ধৈর্যশীল এবং কাজে নিয়মিত হতে হবে। শুরুতে সময় লাগতে পারে, তবে ভাল কাজ এবং সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারলে আপনি ভাল পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন।
এই ফ্রিলান্সিং মার্কেটপ্লেসে কোন ধরণের টাকা ডিপোজিট না করে শুধুমাত্র নিজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভাল পরিমাণ টাকা ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে।
2. Fiverr
আপনি যদি কোন ধরণের ডিপোজিট না করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার কথা ভাবছেন তাহলে ফাইভার হচ্ছে আপনার জন্য অন্যতম একটি ওয়েবসাইট। ফাইভার বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোর মধ্যে একটি।
এই ওয়েবসাইটে gig নামে একটি সিস্টেম রয়েছে। যেই সিস্টেমের মাধ্যমে সার্ভিস প্রদানকারী এবং সার্ভিস গ্রহণকারীর মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হয়ে থাকে। এখানে আপনি আপনার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী যেকোন সার্ভিস অর্থাৎ পরিষেবা প্রদান করতে পারবেন।
এবং সেটা গিগ হিসেবে প্রকাশ করতে পারবেন। এরপর যখন কোন ক্লায়েন্ট অর্থাৎ বায়ার আপনার অফার করা সার্ভিসটি নিতে আগ্রহী হবে। তখন সে ঐ গিগটির মাধ্যমে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারবে এবং সার্ভিসটি অর্ডার করতে পারবে।
একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি যখন ফাইভারে নিজের একাউন্ট তৈরি করবেন। তখন আপনার প্রাথমিক তথ্য দিয়ে প্রোফাইল আপডেট করার পর ফাইভার থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে গিগ তৈরি করতে হবে। এই সাইটে একটি গিগ এর সর্বনিম্ন মূল্য পাঁচ ডলার হয়ে থাকে।
অর্থাৎ আপনি যেকোন সার্ভিস বা পরিষেবা সর্বনিম্ন পাঁচ ডলারে ক্লায়েন্টদের প্রদাণ করতে পারবেন। এই ওয়েবসাইটে আপনি যেমনঃ
- graphics design
- video editing
- content writing
- logo design
- website/app development animation
- translation
- digital marketing
- programming ইত্যাদি নানা ধরণের কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।
ধরুন আপনার সুন্দর ভিডিও এডিট করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাহলে আপনি ফাইভারে গিয়ে পাঁচ থেকে দশ ডলারে ক্লায়েন্টদের ভিডিও এডিটিং সার্ভিস দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।
Fiverr এ কাজ করে ইনকাম করার জন্য কী করতে হবে?
প্রথমত আপনাকে ফাইভার ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজের একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে। এখানে একাউন্ট বানানোর জন্য আপনাকে কোন টাকা ডিপোজিট করতে হবে না। একাউন্ট বানানো হয়ে গেলে আপনার প্রোফাইলটিকে ভালভাবে সাজাতে হবে।
আপনার প্রোফাইল পিকচার এবং অন্যান্য যাবতীয় তথ্য সুন্দরভাবে দিয়ে প্রোফাইল আপডেট করতে হবে। এরপর আপনাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ অর্থাৎ গিগ পাবলিশ করতে হবে। আপনি কোন কাজটি করতে চাচ্ছেন বা কী সার্ভিস দিতে চাচ্ছেন, কাজটির বিনিময়ে কত টাকা চার্জ করবেন?
কত দিনের মধ্যে ডেলিভারি দিবেন এবং কাজের ডেসক্রিপশন ইত্যাদি সহকারে একটি গিগ তৈরি করতে হবে। এরপর যখন লোকেরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী ফাইভারে থাকা গিগগুলো থেকে আপনার গিগটি বেছে নিবে।
অর্থাৎ আপনার অফার করা সার্ভিসটি নিতে আগ্রহী হবে তখন আপনি তার সাথে কথাবার্তা বলতে পারবেন। এভাবে আপনি একাধিক গিগ তৈরি করে আপনার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বিভিন্ন কাজ করে দিয়ে ফাইভার থেকে প্রচুর পরিমাণে টাকা ঘরে বসে থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
3. Google AdSense
গুগল এডসেন্স হচ্ছে গুগলের দ্বারা পরিচালিত এমন একটি advertising network। যারা মাধ্যমে ব্লগার এবং ইউটিউবার-রা তাদের ব্লগ কিংবা ইউটিউব চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইনকাম করতে পারেন। গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে বাড়িতে বসে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
সারা বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ পরিমাণে লোকেরা গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে প্রচুর পরিমাণে অর্থ আয় করছেন এবং তাদের জীবিকা নির্বাহ করছেন। Google AdSense থেকে ইনকাম করার জন্য আপনকে এক টাকাও ডিপোজিট বা বিনিয়োগ করতে হবে না।
তবে এর মাধ্যমে ইনকাম করার জন্য যেহেতু একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগের প্রয়োজন। তাই ব্লগ বানানোর জন্য আপনাকে অল্প কিছু টাকা অবশ্যই খরচ করতে হবে।
ফ্রিতে অনলাইন ব্লগ তৈরি করে কিভাবে টাকা ইনকাম করবেন?
এডসেন্স এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের জন্য আপনাকে প্রথমে ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনে একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ বানাতে হবে। এরপর আপনার ব্লগে নিয়মিত ভাল এবং কাজের আর্টিকেল পোস্ট করতে হবে।
এক্ষেত্রে আপনি যে বিষয়ে অভিজ্ঞ বা যে বিষয়ে আপনি ভাল জানেন সেই বিষয় কিংবা টপিকের উপর আপনার ব্লগে আর্টিকেল লিখতে পারেন। যখন আপনার ব্লগে সার্চ ইঞ্জিন থেকে প্রতিদিন ভাল পরিমাণে ট্রাফিক অর্থাৎ ভিজিটরস আসতে শুরু করবে।
তখন গুগল এডসেন্স একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন এবং আপনার ব্লগকে এডসেন্স এর সাথে কানেক্ট করতে পারবেন। এরপর গুগল এডসেন্স আপনার ব্লগকে অনুমোদন করলে আর্টিকেলে এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন (advertisements) দেখিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এছাড়াও ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন দেখিয়ে অর্থ উপার্জন করা যায়। এজন্য আপনার ইউটিউব চ্যানেলে অবশ্যই ১০০০ সাবসক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হবে। গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আসলেই কোন ডিপোজিট না করে অনলাইন ইনকাম করা সম্ভব।
আমি নিজেই তিন বছর ধরে এই মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতেছি। আমার আর্টিকেলের বিভিন্ন জায়গায় আপনারা যে বিজ্ঞাপনগুলো দেখতে পারছেন, এগুলো গুগল এডসেন্সের দ্বারা দেখানো হচ্ছে।
4. Sutterstock
Shutterstock হচ্ছে এমন একটি জনপ্রিয় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেখানে ফটোগ্রাফার, ভিডিওগ্রাফার এবং গ্রাফিক ডিজাইনরা তাদের বানানো কনটেন্ট বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন। আপনি যদি ছবি তোলা, ডিজাইন তৈরি করা কিংবা ভিডিও শুটিং করতে অধিক পছন্দ করে থাকেন।
তাহলে Shutterstock থেকে আপনি খুব সহজেই অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। Shutterstock হচ্ছে কোন ডিপোজিট ছাড়াই অনলাইনে ছবি বিক্রি করে ইনকাম করার একটি অত্যন্ত কার্যকর ওয়েবসাইট। ছবি তোলা যদি আপনার শখ হয়ে থাকে।
তাহলে এই সাইটটি আপনার ঘরে বসে অর্থ উপার্জনের একটি চমৎকার উৎস হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। Shutterstock থেকে ইনকাম করার জন্য সবচেয়ে প্রথমে আপনাকে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে।
মনে রাখবেন এখানে একাউন্ট বানানোর জন্য আপনাকে কোন প্রকার ডিপোজিট অর্থাৎ টাকা খরচ করতে হবে না। এজন্য আপনার ইমেইল এড্রেস, নাম, ঠিকানা ইত্যাদি তথ্য প্রদান করতে হবে।
তবে এই সাইটে একাউন্ট তৈরি করার সাথে সাথেই আপনি ছবি বিক্রি করতে পারবেন না। প্রথমে আপনাকে আপনার তোলা সেরা দশটি ছবি তাদের কাছে পাঠাতে হবে।
এরপর Shutterstock কর্তৃপক্ষ আপনার পাঠানো ছবিগুলো ভালকরে পরীক্ষা করবে। যদি আপনার ছবি বা ফটোগুলোর কোয়ালিটি খুব ভাল হয় এবং তারা ছবিগুলো পছন্দ করে থাকে।
তাহলে তারা আপনার একাউন্টটিকে তারা অনুমোদন দিবে। এরপর একাউন্ট অনুমোদিত হয়ে গেলে আপনি আপনার মোবাইল ফোন কিংবা DSLR ক্যামেরা দিয়ে সুন্দর সুন্দর ছবি তুলতে পারবেন।
এবং সেগুলো আপনার Shutterstock একাউন্টে আপলোড করতে পারবেন। যখন কেউ আপনার আপলোড করা ছবিগুলো পছন্দ করে ক্রয় করবে।
তখন আপনি ছবিগুলো বিক্রি করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। যদি আপনি একজন ফটোগ্রাফার হয়ে থাকেন এবং আপনার তোলা ছবির কোয়ালিটি অনেক ভাল হয়ে থাকে। তাহলে আপনি এই কাজটিকে একটি online business হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন।
5. Freecash.com
Freecash হল একটি মাইক্রো-জব ওয়েবসাইট, যেখানে সার্ভে পূরণ করা, গেম খেলা, অ্যাপ টেস্ট ও ডাউনলোড করা এবং আরও বিভিন্ন ছোটো ছোটো অনলাইন কাজগুলো করে টাকা ইনকাম করা যায়। এখানে মাইক্রো-টাস্কগুলো সম্পন্ন করে ইনকাম করার জন্য আপনাকে এই সাইটে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে।
ডিপোজিট ছাড়াই সম্পূর্ণ ফ্রিতে আপনি এখানে নিজে একাউন্ট বানিয়ে নিতে পারবেন। মনে রাখবেন এখানে বিভিন্ন টাস্কগুলো সম্পন্ন করার বিনিময়ে আপনাকে সরাসরি টাকা দেওয়া হবে না। প্রতিটি টাস্ক ঠিকঠাকভাবে করার বিপরীতে আপনাকে কিছু কয়েন (coin) দেওয়া হবে।
এক হাজার কয়েন আপনার একাউন্টে জমা হলে সেটা এক ডলারে কনভার্ট করে নিতে পারবেন। অর্থাৎ এই সাইটে আপনার এক হাজার কয়েন ইনকাম হওয়া মানে সেখান থেকে আপনি এক ডলার পেতে পারবেন। আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন, laptop বা PC দিয়ে এখানকার micro-task গুলো সম্পন্ন করতে পারবেন।
Freecash ওয়েবসাইটের সুবিধা?
Freecash ওয়েবসাইটের সুবিধা যেমনঃ
- এখানে একাউন্ট তৈরি করতে কোন ইনভেস্টমেন্ট এর প্রয়োজন হবে না।
- নতুন একাউন্ট খুললে welcome bonus হিসেবে ২৫০ ডলার পর্যন্ত পেতে পারবেন।
- একাধিক উপায়ে ইনকাম করতে পারবেন।
- PayPal, VISA, Bitcoin, Bank transfer, Amazon ইত্যাদি মাধ্যমে payment নিতে পারবেন।
6. Upwork
আপওয়ার্ক হচ্ছে একটি অনলাইন ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস যেখানে ফ্রিল্যান্সার এবং ক্লায়েন্টরা একে অপরের সাথে সংযোগ স্থাপন করে বিভিন্ন ধরণের কাজ সম্পন্ন করতে পারে। এখানে ক্লায়েন্টরা তাদের প্রকল্প অর্থাৎ কাজের জন্য ফ্রিল্যান্সারদের নিয়োগ দিতে পারেন।
এবং ফ্রিল্যান্সাররা তাদের দক্ষতা অনুযায়ী কাজ খুঁজে বের করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আপওয়ার্ক থেকে ইনকাম করার জন্য আগে আপনাকে এই সাইটে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে এবং আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, এবং পূর্বের কাজগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে।
প্রোফাইল পিকচার, পোর্টফোলিও এবং ভাল বায়ো লিখতে হবে যা আপনাকে ক্লায়েন্টের কাছে বিশেষভাবে তুলতে সাহায্য করবে। আপওয়ার্ক এ বিভিন্ন ধরণের কাজ পাওয়া যায়। যেমনঃ
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- কনটেন্ট রাইটিং
- গ্রাফিক ডিজাইন
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- ডেটা এন্ট্রি ইত্যাদি।
আপনার দক্ষতার সাথে মিলে এমন কাজ খুব সহজে খুঁজে বের করতে পারবেন। এই সাইটে কাজ পাওয়ার জন্য proposal submit করতে হয়। আপনার প্রপোজালটি অবশ্যই সংক্ষিপ্ত, স্পষ্ট এবং ক্লায়েন্টের সমস্যার সমাধান দেয়ার উপযোগী হতে হবে।
প্রপোজালে আপনার অভিজ্ঞতা এবং কীভাবে আপনি কাজটি সমাধান করবেন তা স্পষ্ট তুলে ধরতে হয়আপওয়ার্কে উপার্জন করা টাকা পেমেন্ট নেওয়ার জন্য আপনাকে আপওয়ার্ক এর পেমেন্ট মেথড সঠিকভাবে সেটআপ করতে হবে।
যেমনঃ PayPal, Payoneer বা ব্যাংক ট্রান্সফার এর মাধ্যমে আপনি আপওয়ার্ক থেকে অর্থ পেমেন্ট নিতে পারবেন। যারা নিজের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করে ইনকাম করতে চান। তাদের জন্য আপওয়ার্ক একটি উপযুক্ত প্লাটফর্ম। এখানে যেকেউ ডিপোজিট ছাড়াই ইনকাম করতে পারবেন।
7. YouTube
যখন কথা আসছে কোন ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম করার, তখন ইউটিউবের কথা অবশ্যই বলা উচিত। এমনিতে ইউটিউব থেকে ইনকাম করার প্রক্রিয়া অনেক সহজ। আমাদের দেশে অনেক ইউটিউবার রয়েছেন, যারা ঘরে বসে কেবল ইউটিউব ভিডিও বানিয়ে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন।
YouTube থেকে অর্থ উপার্জন করার জন্য প্রথমে আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল এর প্রয়োজন হবে। একটি ইউটিউব চ্যানেল বানানোর পর মানুষের প্রয়োজনীয় ভিডিও বানিয়ে চ্যানেলে আপলোড করতে হবে।
যখন আপনার চ্যানেলে এক হাজার subscribers এবং চার হাজার ঘন্টা watch time সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। তখন YouTube Partner Program-এ apply করতে পারবেন। চ্যানেলে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সহজেই approval পেয়ে যাবেন।
এবং ভিডিওতে Google AdSense এর বিজ্ঞাপন দেখিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। বর্তমানে যেকোন ব্যক্তি নিজের অবসর সময়ে ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। কোন টাকা খরচ ছাড়াই ইনকাম করার জন্য ইউটিউব একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় প্লাটফর্ম হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
8. Facebook Marketplace
Facebook Marketplace হল ফেসবুক এর একটি ফিচার যেখানে ব্যবহারকারীরা তাদের এলাকাভিত্তিক পণ্য কেনাবেচা করতে পারেন। এটি একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি ব্যবহৃত কিংবা নতুন পণ্য বিক্রি করতে বা কিনতে পারেন।
ফেসবুক মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করার জন্য আলাদা কোন app download করার প্রয়োজন হয় না। এটি সরাসরি ফেসবুক অ্যাপ অথবা ওয়েবসাইটের মধ্যেই পাওয়া যায়। Facebook Marketplace থেকে ইনকাম করার জন্য আপনি বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। নিম্নে কিছু ইনকামের উপায় উল্লেখ করা হলঃ
নতুন পণ্য বিক্রি
আপনি যদি কোন ব্যবসায় করেন, তাহলে নতুন পণ্য যেমন পোশাক, ইলেকট্রনিক্স, গ্যাজেট এবং অন্যান্য জিনিসপত্র বিক্রি করতে পারেন। এটি একটি online store এর মতো কাজ করে থাকে, যেখানে আপনি প্রতিনিয়ত নতুন পণ্য আপডেট করতে পারেন।
ব্যবহৃত পণ্য বিক্রি
আপনার বাসায় ব্যবহৃত কিন্তু প্রয়োজনীয় নয় এমন পণ্যগুলো ফেসবুক মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, পুরানো ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র, জামাকাপড় ইত্যাদি।
ড্রপশিপিং
ড্রপশিপিং হচ্ছে এমন একটি ব্যবসায় মডেল যেখানে আপনি পণ্য সরাসরি গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করতে পারবেন। কিন্তু পণ্যগুলো আপনার কাছে মজুত থাকার দরকার নেই।
যখন কোন ক্রেতা পণ্যের অর্ডার করে থাকে। তখন আপনি সরাসরি সরবরাহকারীর কাছ থেকে গ্রাহকের ঠিকানায় পণ্যটি পাঠিয়ে দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।
হাতের তৈরি পণ্য বিক্রি
যদি আপনি ক্রাফটিং, আর্টস, বা হাতের তৈরি অন্য কোন কাজে দক্ষ হন। তাহলে সেগুলো বিক্রি করতে পারেন। যেমন, হাতে বানানো জুয়েলারি, পেইন্টিং, গৃহসজ্জার পণ্য ইত্যাদি। ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ভাল ছবি এবং স্পষ্ট বিবরণ দিয়ে পণ্য পোস্ট করতে হবে।
এবং ক্রেতাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে। এছাড়াও সঠিক মূল্য নির্ধারণ এবং ভাল সার্ভিস প্রদান করা এ ব্যবসায়ে সফল হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
9. Swagbucks
Swagbucks একটি অনলাইন রিওয়ার্ডস প্ল্যাটফর্ম যেখানে ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করে পয়েন্ট (যা “SB” নামে পরিচিত) উপার্জন করতে পারেন। এবং এই পয়েন্টগুলো cash অথবা গিফট কার্ডে রূপান্তর করতে পারেন।
এই মাইক্রো-জব সাইট থেকে ইনকাম করার জন্য আপনি বিভিন্ন উপায়ে SB উপার্জন করতে পারবেন। যেমনঃ
সার্ভে পূরণ করা
Swagbucks-এ বিভিন্ন মার্কেট রিসার্চ কোম্পানির সার্ভে পাওয়া যায়। এই সার্ভেগুলো সম্পন্ন করার বিনিময় আপনি SB উপার্জন করতে পারেন।
অনলাইন কেনাকাটা
Swagbucks-এর মাধ্যমে বিভিন্ন অনলাইন স্টোর থেকে কেনাকাটা করলে আপনি ক্যাশব্যাকের মতো SB পেতে পারবেন। Swagbucks এর affiliate link ব্যবহার করে কেনাকাটা করলে আপনি এই পয়েন্ট উপার্জন করবেন।
ভিডিও দেখা
Swagbucks-এ বিভিন্ন ভিডিও কন্টেন্ট যেমন নিউজ, ট্রেন্ডিং ভিডিও এবং বিজ্ঞাপন দেখা যায়। ভিডিওগুলো দেখার মাধ্যমেও আপনি SB উপার্জন করতে পারেন।
গেম খেলা
এই সাইটে তাদের কিছু নির্দিষ্ট গেম খেলেও আপনি SB উপার্জন করতে পারবেন।
অফার কমপ্লিট করা
সাইটটি বিভিন্ন ধরণের অফার দিয়ে থাকে যেমন অ্যাপ ডাউনলোড, ফ্রি ট্রায়াল নেওয়া, বা নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে সাইন আপ করা। এই ধরনের অফারগুলো কমপ্লিট করে আপনি SB উপার্জন করতে পারেন।
ওয়েব সার্চ করা
Swagbucks এর নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে। সহজে ওয়েব সার্চ করেও SB উপার্জন করা যায়।
রেফারেল প্রোগ্রাম
এর মূলক একটি রেফারেল প্রোগ্রাম রয়েছে। আপনি অন্যদের Swagbucks এ আমন্ত্রণ জানালে এবং তারা কাজ শুরু করলে তাদের উপার্জনের একটি অংশ আপনার একাউন্টে জমা হতে থাকবে।
এছাড়াও এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন শো, ভিডিও এবং ট্রেলার দেখে সহজে SB উপার্জন করা যায়। এটি একটি সহজ উপায় যেখানে বিনোদন উপভোগ করার পাশাপাশি ইনকামও বেশ ভাল হয়।
যখন আপনার একাউন্টে পর্যাপ্ত SB জমা হবে, তখন সেগুলো PayPal, Amazon, Walmart ইত্যাদি জনপ্রিয় গিফট কার্ডের জন্য রিডিম করতে পারেন।
এই ওয়েবসাইটে একশত পয়েন্টস ইনকাম হওয়া মানে এক ডলার ইনকাম হওয়া। আপনি আপনার পয়েন্টগুলো গিফট কার্ড কিংবা PayPal ক্যাশে রূপান্তর করতে পারেন।
Swagbucks থেকে ইনকাম করা সহজ এবং বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে আপনি নিয়মিতভাবে পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পারেন। এটি সাধারণত ডিপোজিট ছাড়াই পার্ট-টাইম ইনকামের জন্য একটি ভাল বিকল্প হিসেবে কাজ করে।
10. Dreamstime
Dreamstime হচ্ছে একটি জনপ্রিয় স্টক ফটোগ্রাফি প্ল্যাটফর্ম। যেখানে আপনি আপনার ফটোগ্রাফ, ভেক্টর আর্ট, ইলাস্ট্রেশন এবং ভিডিও আপলোড করে বিক্রি করতে পারেন। এই সাইট থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য প্রথমে আপনাকে ফটোগ্রাফার বা কনটেন্ট কন্ট্রিবিউটর হিসেবে এই সাইটে register করতে হবে।
এরপর আপনি আপনার তৈরি করা ফটোগ্রাফ, ভেক্টর, বা ভিডিও ফাইল আপলোড করতে পারেন। Dreamstime-এ আপনি কোন ডিপোজিট ছাড়াই ফ্রি কনট্রিবিউটর হিসেবে যোগদান করতে পারবেন।
এবং আপনার ফটোগ্রাফ, গ্রাফিক্স অথবা ভিডিওগুলো আপলোড করার পর তা ক্রেতাদের জন্য উপলব্ধ হবে। Dreamstime-এ উপার্জিত অর্থ Paypal, Payoneer বা অন্যান্য পেমেন্ট মেথডের মাধ্যমে ক্যাশআউট করতে পারেন। সাধারণত $100 পর্যন্ত উপার্জন হলে আপনি পেমেন্ট নিতে পারবেন।
11. ySense
ySens হল একটি অনলাইন মাইক্রোটাস্ক এবং সার্ভে প্ল্যাটফর্ম। যেখানে আপনি বিভিন্ন ধরণের কাজ সম্পন্ন করে এবং সার্ভে পূরণ করে ইনকাম করতে পারবেন। এখানে বিভিন্ন সার্ভে পাওয়া যায় যেগুলো বিভিন্ন কোম্পানি অথবা গবেষণা সংস্থা পরিচালনা করে থাকে।
এই সার্ভেগুলো পূরণ করলে আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণে অর্থ আয় করতে পারবেন। ySense-এ বিভিন্ন অফার পাওয়া যায়। যেমন অ্যাপ ডাউনলোড করা, ফ্রি ট্রায়াল নেওয়া, ভিডিও দেখা কিংবা কোন ওয়েবসাইটে সাইন আপ করা।
এই ধরণের অফারগুলো সম্পন্ন করে আপনি ইনকাম করতে পারেন। এছাড়াও ySense বিভিন্ন মাইক্রোটাস্ক প্রদান করে যা সাধারণত ডেটা এন্ট্রি, ইমেজ ক্যাপশনিং কিংবা অন্যান্য সহজ কাজ নিয়ে গঠিত। এই কাজগুলো সম্পন্ন করে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এগুলোর পাশাপাশি এই সাইটের রেফারেল প্রোগ্রাম থেকে আপনি অধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই সাইটে প্রতিদিন নির্দিষ্ট কিছু টাস্ক সম্পন্ন করলে আপনাকে Daily Checklist বোনাস দেওয়া হবে। এই ওয়েবসাইটে আরেকটি সহজ কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যায়।
সেটা হচ্ছে পে-টু-ক্লিক অ্যাড। অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময় ধরে বিজ্ঞাপন (ads) দেখলে এবং ক্লিক করলে অর্থ আয় করতে পারবেন। ySense থেকে উপার্জিত অর্থ আপনি PayPal, Payoneer কিংবা বিভিন্ন গিফট কার্ডের মাধ্যমে ক্যাশআউট করতে পারেন।
PayPal-এর মাধ্যমে অর্থ পেতে হলে আপনার অবশ্যই একটি ভ্যালিড PayPal অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। এই সাইটটি পার্ট টাইম কাজ করার জন্য উপযুক্ত এবং এখানে কোন রকম টাকা ডিপোজিট ছাড়াই ইনকাম করা যায়।
ySense-এ সফলভাবে ইনকাম করার কিছু টিপস?
প্রতিদিন ySense-এ লগইন করে নতুন সার্ভে ও টাস্কগুলো চেক করতে হবে। রেফারেল প্রোগ্রাম সিস্টেম ব্যবহার করে আপনার ইনকাম বাড়াতে পারেন।
Daily Checklist পূরণ করে বোনাস পেতে পারেন। বড় পেমেন্টের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা না করে নিয়মিত ছোট ছোট অ্যামাউন্ট ক্যাশআউট করুন।
12. 2captcha.com
2Captcha.com হচ্ছে একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। যেখানে আপনি বিভিন্ন ধরণের ক্যাপচা সমাধান করে খুব সহজে ইনকাম করতে পারবেন। এটি মূলত ঠিক ডেটা এন্ট্রি কাজের মতো। যেখানে আপনাকে বিভিন্ন ক্যাপচা কোড দেখতে হবে এবং সেগুলো সঠিকভাবে বসাতে হবে।
এখান থেকে অর্থ উপাঅজন করার জন্য প্রথমে আপনাকে এই সাইটে গিয়ে একটি ফ্রি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। সাইন আপ করার পরে আপনার প্রোফাইল সম্পূর্ণ করতে হবে। এবং সেই সাথে পেমেন্ট সেটিংসও ঠিক করতে হবে।
এই দুটো কাজ সম্পূর্ণ হলে আপনি ক্যাপচা সমাধান করার জন্য কাজ শুরু করতে পারবেন। এখানে আপনাকে বিভিন্ন ধরণের ক্যাপচা দেওয়া হবে। যেমন টেক্সট ক্যাপচা, রিক্যাপচা কিংবা ইমেজ ক্যাপচা যেগুলো আপনাকে সঠিকভাবে টাইপ করতে হবে।
2Captcha-এ বিভিন্ন ধরণের ক্যাপচা থাকে। সাধারণত টেক্সট ক্যাপচা দ্রুত এবং খুবই সহজে সমাধান করা যায়। তবে রিক্যাপচা অথবা অন্যান্য জটিল ক্যাপচা সমাধান করতে কিছুটা বেশি সময় লাগতে পারে।
ক্যাপচা সমাধানের জন্য আপনাকে প্রতিটি ক্যাপচা কিভাবে কাজ করে তা খুবই ভালভাবে বুঝতে হবে।
প্রতিটি ক্যাপচা এখানে সমাধানের জন্য আপনি $0.001 থেকে $0.005 পর্যন্ত পেতে পারবেন। যদিও এটি পরিমাণে খুব বেশি নয়।
তবে নিয়মিত এবং দ্রুত কাজ করলে প্রতিদিনে আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 2Captcha-এর রেফারেল প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে আপনি কিছু অতিরিক্ত টাকা ইনকাম করতে পারেন।
এবং অন্যদের 2Captcha-এ যোগদান করতে উৎসাহিত করতে পারেন এবং তারা যেসব ক্যাপচা সমাধান করবে। তার ভিত্তিতে আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন হিসেবে পাবেন।
যখন আপনার একাউন্টে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা হবে (সাধারণত $0.5 থেকে $1), তখন আপনি পেমেন্ট ক্যাশআউট করতে পারেন। PayPal, Payoneer, Bitcoin এবং অন্যান্য পেমেন্ট মেথডের মাধ্যমে আপনি এই পেমেন্ট নিতে পারেন।
2Captcha.com-এ ইনকাম করা সম্ভব, তবে এটি সাধারণত খুবই ধৈর্য এবং সময়সাপেক্ষ একটি কাজ। এটি যাদের হাতে অনেক সময় রয়েছে এবং কোন দক্ষতা ছাড়াই ইনকাম করতে চান তাদের জন্য উপযুক্ত হতে পারে।
টিপস এবং কৌশল
ক্যাপচা সমাধান করার জন্য দ্রুত টাইপ করা শিখতে হবে। ভুল টাইপ করা ক্যাপচা আপনার সময় নষ্ট করতে পারে এবং অর্থ উপার্জন কমাতে পারে। তাই আপনার যতটা সম্ভব সঠিকভাবে টাইপ করার চেষ্টা করুন।
তাছাড়া কিছু সময়ে ক্যাপচা বেশি থাকে এবং সেই সময়ে কাজ করলে আপনি বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ডিপোজিট ছাড়া অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সেরা ওয়েবসাইটগুলো কী কী?
কোন বিনিয়োগ বা ডিপোজিট ছাড়াই পার্ট টাইম কাজ করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার কয়েকটি সেরা সাইট হল Freecash, Swagbucks, ySense, Google AdSense, Fiverr ইত্যাদি।
ডিপোজিট না করে কি আসলেই টাকা ইনকাম করা সম্ভব?
অবশ্যই আপনি এক টাকাও ডিপোজিট না করে শুধুমাত্র আপনার জ্ঞান, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে কাজ করে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে এজন্য আপনাকে সঠিক প্লাটফর্ম অর্থাৎ সঠিক সাইট সিলেক্ট করতে হবে।
ডিপোজিট না করে কোন সাইট থেকে বেশি টাকা ইনকাম করা যায়?
বিনিয়োগ ছাড়াই বেশি পরিমাণে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে Google AdSense, Freelancer, Fiverr, Upwork এই সাইটগুলো ব্যবহার করতে হবে।
শেষ কথা
এই আর্টিকেলে আমি ২০২৫ সালে অনলাইন ইনকাম প্রতিষ্ঠিত করার সেরা কয়েকটি উপায় আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। যেগুলোর মাঝে থেকে আপনি আপনার যোগ্যতা ও সামর্থ্য অনুযায়ী যেকোন একটি বেছে নিতে পারেন আপনার অনলাইন ক্যারিয়ার হিসেবে।
যেখানে কাজ করে আপনি যশ ও খ্যাতি উভয়ই পেতে পারেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে অবশ্যই একটু ভাবনা-চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিবেন। যে কাজটি আপনার ভাল লাগে, যে কাজে আপনার মন বসবে কাজ করে শান্তি পাবেন।
যেটি আপনি দীর্ঘদিন যাবত চালিয়ে যেতে পারবেন। আমি মনে করি সেটি আপনার নির্বাচন করা উচিত। তবেই সাফল্যের চুড়ায় পৌঁছাতে পারবেন। আর্টিকেলটি পড়ে কোন বিষয় যদি না বুঝে থাকেন।
তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন আর আর্টিকেলটি যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। এরকম জানা অজানা তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট এর সাথে থাকুন। ধন্যবাদ।