মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
আমাদের দেশে বর্তমান সময়ে চাকরির অবস্থা খুবেই শোচনীয়। সরকারি চাকরি এখন সোনার হরিণ হয়ে গেছে। আর প্রাইভেট কোম্পানির চাকরির ক্ষেত্রে মামা খালু ব্যতীত চাকরি পাওয়া প্রায় অসম্ভব। আবার যারা অত্যন্ত মেধাবী ও পরিশ্রমী তাদের চাকরি অবশ্যই হয়। কিন্তু তার জন্য প্রচুর পরিমাণ দৌড় ঝাঁপ করা লাগে।বাংলাদেশের অধিকাংশ যুবক এখন বেকার অবস্থায় বসে আছেন। আবার অনেকেই একটি মাত্র কর্মসংস্থানের আশায় এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু মিলছে না কোন সফলতা। আর তাই আপনাদের জন্য আজকের আর্টিকেলে মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করার উপায়?
নিচে মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সমূহ দেওয়া হলোঃ
- ইউটিউব
- টি স্টল
- ফেসবুক
- টিউশনি
- ওয়েবসাইট
- খাবার ডেলিভারি
- ছবি বিক্রি
- বিজ্ঞাপন
- লন্ড্রি
- লেখালেখি
- শুকনো ফলের দোকান
- ডাটা এন্ট্রি
- কাপড় বিক্রি করে
- গুগল এডসেন্স
- কেক
- হাতের কাজ
- কাঁচামালের ব্যবসা
- মাইক্রো ওয়ার্ক জব
- প্রোডাক্ট সেলিং
- টাইপিং
১. ইউটিউব
ইউটিউব এমন একটি অনলাইন ভিডিও প্ল্যাটফর্ম। যেখানে আপনি যেকোনো ধরনের ভিডিও দেখতে, শেখতে এবং বিনোদন নিতে পারেন। এটা একটা বিশাল লাইব্রেরির মতো, যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ তাদের নিজস্ব ভিডিও আপলোড করে থাকেন। ইউটিউব ২০০৫ সালে তিনজন বন্ধু দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়।
শুরুতে এটি একটি ছোট্ট ওয়েবসাইট ছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে এটি বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়। ২০০৬ সালে গুগল ইউটিউবকে কিনে নেয়। আপনার যদি একটি প্রফেশনাল মানের ইউটিউব চ্যানেল থাকে।
তাহলে সেখানে আপনি নির্দিষ্ট কোন বিষয় নিয়ে ভিডিও আপলোড করে টাকা আয় করতে পারেন। শুধু তাই নয় বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির প্রোডাক্ট আপনার চ্যানেলে প্রচার করে বা বিজ্ঞাপন দেখিয়ে সেখান থেকেও প্রতি মাসে ভাল পরিমাণ টাকা আয় করতে পারেন।
২. টি স্টল
টি স্টল শব্দটি শুনলে আমাদের সবার মনেই একটা ছোট্ট দোকানের ছবি ভেসে ওঠে, যেখানে গিয়ে গরম গরম চা খেতে বসা যায়। আসলে টি স্টল হলো এমন এক ছোট্ট জায়গা, যেখানে বিভিন্ন ধরনের চা, কফি এবং হালকা খাবার বিক্রি হয়।
আপনি গতানুগতিক ধারার লাল চা ও দুধ চা ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের এবং বিভিন্ন স্বাদের চা বানাতে পারলে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকার বেশি আয় করা কোন ব্যাপার হবে না। কাস্টমাররা বিভিন্ন ধরনের মসলা চা, বিভিন্ন ধরনের ফলের চা ও লেবু চা ইত্যাদি খুব ভালো পছন্দ করে।
৩. ফেসবুক
বর্তমান সময়ে টাকা আয় করার অন্যতম সেরা মাধ্যম ফেসবুক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফেসবুক পেজ তৈরি করে সেখানে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট করে ও ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে মানুষ এখন লাখ লাখ টাকা আয় করছে। মানুষ এখন ফেসবুকে অধিকাংশ সময়ে ভিডিও দেখে থাকে। আর তাই খুব তাড়াতাড়ি ফেসবুকে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও ফেসবুক পেজ খুলে পণ্য কেনা বেচা করার মাধ্যমেও ভাল পরিমাণ টাকা আয় করা যায়।
৪. টিউশনি
টিউশনি হচ্চে এমন এক প্রক্রিয়া যেখানে একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তি (টিউটর) অন্য একজন ব্যক্তিকে (ছাত্র) কোনো বিষয়ে অতিরিক্ত শিক্ষা দেন। আর এই শিক্ষা সাধারণত স্কুল বা কলেজে পড়ানো বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে হতে পারে, অথবা কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা বা জ্ঞান অর্জনের জন্যও হতে পারে।
আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন কিংবা বেকার অবস্থায় বসেন থাকেন এবং আপনার যদি কোন একাডেমিক বিষয়ে ভাল জ্ঞান থাকে। তবে আপনি প্রাইভেট পড়িয়ে কিংবা টিউশনি করে প্রতি মাসে অনায়াসে ১০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন।
বাংলা, ইংরেজি, হিসাব বিজ্ঞান, গণিত ও বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে পড়ার চাহিদা বেশি থাকায় অনেক অভিভাবকগন অন্যান্য বিষয়ের টিউটরদেরও খুঁজে থাকেন। আপনি স্টুডেন্টের বাসায় গিয়ে কিংবা একটি রুম ভাড়া নিয়ে ৪ থেকে ৬ জনের ব্যাচ করেও প্রাইভেট পড়াতে পারেন।
৫. ওয়েবসাইট
১২ থেকে ১৫ বছর আগের মানুষও ওয়েবসাইট সম্পর্কে তেমন কিছুই জানতো না। কিন্তু বর্তমানে সাধারণ ব্যবহারকারীরাও ওয়েবসাইটের প্রতি বেশি পরিমাণ গুরুত্ব দিচ্ছেন। আর ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকামের ব্যাপারে অনেককেই সচেতন হচ্ছে।
গুগল থেকে শুরু করে ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স, পিন্টারেস্ট প্রত্যেকটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট থেকে মানুষ লাখ লাখ টাকা আয় করে নিচ্ছে। আর তাই আপনার যদি ওয়েবসাইটের বিষয়ে দক্ষতা ও জ্ঞান থাকে। তাহলে ওয়েবসাইট তৈরি করে বিক্রি করে সহজেই ভালো পরিমাণ টাকা আয় করতে পারেন।
গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভাল ছাড়াও ভাল পরিমাণ ভিজিটরের ওয়েবসাইট গুলো ১২ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যেতে পারে।
৬. খাবার ডেলিভারি
খাবার ডেলিভারি হলো এমন একটি সেবা যেখানে আপনি যে কোনো রেস্টুরেন্ট কিংবা দোকান থেকে আপনার পছন্দের খাবার অর্ডার করে ঘরে বসে পেতে পারেন। আপনাকে আর রেস্টুরেন্টে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না বা খাবার বাসায় নিয়ে আসতে হবে না। আপনি যদি রান্না করতে খুবেই পছন্দ করেন এবং আপনার রান্নার হাত যদি খুব ভালো হয়।
তাহলে আপনি খাবার ডেলিভারি দিয়েও প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন। আর এই কাজটি পুরুষ কিংবা নারী যেকেউ করতে পারবেন। আপনি বিভিন্ন ধরনের ম্যাচে, অফিস, আদালতে, চাকরিজীবী হোস্টেলেও খাবার ডেলিভারি করতে পারেন। তবে আপনাকে একটা বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে।
খাবার যেন খুবেই স্বাস্থ্যসম্মত হয় এবং খাবারের স্বাদ যেন খুবেই ভালো হয়। আপনি খাবার ডেলিভারী দেওয়ার প্রচার প্রচারণার করার জন্য ফেসবুকে পেজ তৈরি করতে পারেন কিংবা মেস, হোস্টেল, আদালত কিংবা অফিসে গিয়েও সবাইকে জানাতে পারেন।
৭. ছবি বিক্রি
আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি দিয়ে আপনি হয়তো অসংখ্য বার ছবি তুলেছেন এবং আপনার মোবাইল ফোনের গ্যালারিতে তা সংরক্ষণ করেছেন। আর খুব বেশি হলেও ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। কিন্তু এখন সেই ছবিগুলোই অনলাইনে বেশ কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোতে বিক্রি করে প্রতি মাসে ভাল পরিমাণ টাকা আয় করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে মনে রাখতে হবে ছবির গুণগত মান যেন ভাল হয়।
ওয়েবসাইট গুলোতে আপনার ছবি বিক্রি করা জন্য সবার প্রথমেই একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে। এরপর সেখানে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবি, নিজের তৈরি করা বিভিন্ন ধরনের ওয়ালপেপার ইত্যাদি এসব ওয়েবসাইটে বিক্রি করে প্রতি মাসে ১০ টাকার বেশি আয় করতে পারেন।
৮. বিজ্ঞাপন
আমরা যখন কোন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করি তখন কিছু বিজ্ঞাপন দেখতে পাই। আপনারা জানলে অবাক হবেন যে, এই বিজ্ঞাপন গুলো দেখেও টাকা ইনকাম করা সম্ভব। অনলাইনে এ ধরনের বেশ কিছু ওয়েবসাইট আছে যারা নির্দিষ্ট কোন ওয়েবসাইটের ভিডিও দেখলে টাকা প্রদান করে থাকেন।
তবে বর্তমান সময়ে অনেক ধরনের ফেক বা জাল ওয়েবসাইট আছে। যার কারণে আপনার তথ্য ঝুঁকিতে পড়ার সম্ভাবনা আছে। আর তাই এসব ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখে টাকা আয় করতে হলে অবশ্যই যাচাই বাছাই করে নিতে হবে।
৯. লন্ড্রি
লন্ড্রির ব্যবসার জন্য আপনাকে সামান্য কিছু টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। লন্ড্রি ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য ছোট খাটো একটি ঘর ভাড়া করলেই চলবে। আপনার আশে পাশে কর্মজীবী হোস্টেল, বাজার কিংবা মেস আছে এরকম এলাকায লন্ড্রির ব্যবসা চালু করলে খুব ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। কারণ কর্মজীবী পুরুষ ও মহিলা অথবা ছাত্র ও ছাত্রীরা সাধারণত লন্ড্রি থেকেই জামা কাপড় ইস্ত্রি করে থাকেন।
১০. লেখালেখি
আপনি যদি লেখালেখি করতে খু্বেই পছন্দ করেন। তবে আপনার এই পছন্দের কাজটিকেই একটি টাকা ইনকামের উৎসে পরিণত করতে পারেন। লেখালেখি করার জন্য নিজে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারেন। কিংবা ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতে কনটেন্ট লিখে টাকা আয় করতে পারেন।
বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের লোকাল প্রতিষ্ঠানেও কনটেন্ট রাইটিং বা লেখালেখি করার কাজ পাওয়া যায়। লেখালেখি করে টাকা আয় করার জন্য ব্লগিং অর্থাৎ কনটেন্ট রাইটিং বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়।
১১. শুকনো ফলের দোকান
যেকোন ধরনের রসালো ফলের চেয়ে শুকনো ফল যেমনঃ সব রকমের খেজুর, সব রকমের বাদাম ও কিসমিস ইত্যাদির ব্যবসা করা উত্তম। কারণ এগুলো দীর্ঘ সময় ধরে ভাল থাকে।
যেকোন ধরনের বাজারে দোকান দিলে বেচা কেনা ভাল হলেও রেলস্টেশন, পাড়া মহল্লা ও বাস স্ট্যান্ডসহ যেকোন স্থানে শুকনো ফলের দোকান দেওয়া যেতে পারে। আর এভাবে শুকনো ফলের দোকান দিয়ে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকার বেশি আয় করার সম্ভব।
১২. ডাটা এন্ট্রি
অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে একমাত্র ডাটা এন্ট্রি এমন একটি কাজ, যেখানে সামান্য কিছু দক্ষতা থাকলেই টাকা আয় করা সম্ভব। ডাটা এন্ট্রি হলো এমন একটি কাজ যেখানে তথ্যকে ডিজিটাল ফরম্যাটে ঢুকানো হয়। এটি হতে পারে একটি স্প্রেডশিটে, ডাটাবেজে কিংবা অন্য কোনও ডিজিটাল ফাইলে।
প্রায় প্রতিটি ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে ডাটা এন্ট্রির কাজের বেশ চাহিদা আছে। আপনি যদি ডাটা এন্ট্রির কাজ কাজ করতে চান, তবে এসব প্ল্যাটফর্মের যেকোন একটিতে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে, সেখান থেকে টাকা আয় করতে পারেন।
১৩. কাপড় বিক্রি করে
কাপড় বিক্রি হলো এমন একটি ব্যবসা যেখানে বিভিন্ন ধরনের কাপড়, যেমন শার্ট, প্যান্ট, শাড়ি, সালোয়ার কামিজ ইত্যাদি, ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হয়। আর এই ব্যবসাটি অনলাইনে বা অফলাইনে, দোকানের মাধ্যমে বা ফেরি করেও করা যেতে পারে। প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করার জন্য কাপড়ের ব্যবসা আপনার জন্য লাভজনক হতে পারে।
১৪. গুগল এডসেন্স
গুগল অ্যাডসেন্স হলো গুগলের একটি বিজ্ঞাপন প্রোগ্রাম। যেখানে আপনি আপনার ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে টাকা আয় করতে পারেন। অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে নিরাপদ ও নির্ভরতার মাধ্যম হতে পারে গুগল এডসেন্স। আর Google Adsense এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যালেনে আপনার ভিজিটরদেরকে এড দেখিয়ে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারেন।
১৫. কেক
কেকের ব্যবসা হলো এমন একটি ব্যবসা যেখানে বিভিন্ন ধরনের কেক তৈরি করে বিক্রি করা হয়। এটি হতে পারে জন্মদিনের কেক, বিয়ে বা অন্যান্য অনুষ্ঠানের কেক, কাপকেক, বা অন্য কোন ধরনের কেক। এই ব্যবসাটি বাড়িতে বসে ছোট পরিসরে শুরু করা যায় আবার বড় পরিসরে বেকারি হিসেবেও পরিচালনা করা যায়। আপনি কেকের ব্যবসা করে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন।
১৬. হাতের কাজ
হাতের কাজ মানে হলো হাত দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করা। এতে সুতো, কাপড়, কাগজ, মণি, এবং অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করা হয়। হাতের কাজ শুধুমাত্র একটি শখই নয়, এটি একটি দক্ষতাও। আর এই হাতে কাজ করে আপনারা প্রতি মাসে ১০ টাকা আয় করতে পারেন।
১৭. কাঁচামালের ব্যবসা
কাঁচামালের ব্যবসা হলো এমন একটি ব্যবসা যেখানে বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় মূল উপাদান বা কাঁচামাল কেনা বেচা করা হয়। আর এই কাঁচামালগুলো পরবর্তীতে বিভিন্ন শিল্পে বা উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হয়। আর আপনি এভাবে কাঁচামালের ব্যবসা করে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন।
১৮. মাইক্রো ওয়ার্ক জব
মাইক্রো ওয়ার্ক জব হলো এমন ছোট ছোট কাজের একাধিক কাজ যা অনলাইনে করা যায়। এই কাজগুলো সাধারণত খুবই সহজ এবং অল্প সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা যায়। এই কাজগুলো করার জন্য কোনো বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন হয় না।
মাইক্রো ওয়ার্ক জবের উদাহরণঃ ডাটা এন্ট্রি, সার্ভে, ছবি সনাক্তকরণ, ভিডিও দেখা: অ্যাপ টেস্টিং ও ওয়েবসাইট ভিজিট ইত্যাদি। আর এ কাজ গুলো করে আপনি প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন।
১৯. প্রোডাক্ট সেলিং
অনলাইন থেকে টাকা আয় করার সবচেয়ে সহজ এবং দ্রুত পদ্ধতি হচ্ছে প্রোডাক্ট সেলিং। প্রোডাক্ট সেলিং হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে কোন ব্যক্তি বা সংস্থা তাদের পণ্য বা সেবা গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করে। এটি ব্যবসায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ, কারণ বিক্রয় ছাড়া কোনো ব্যবসা টিকে থাকতে পারে না।
ইউটিউব ও ফেসবুকে প্রোডাক্ট নিয়ে প্রফেশনালভাবে কিছু ভিডিও ও আর্টিকেল তৈরি করে মার্কেটিং করলেই অনেক সেল জেনারেট করা যায়। আর এক্ষেত্রে আপনার পণ্যের কোয়ালিটি যত ভাল হবে, আপনার প্রোডাক্ট সেল তত বেশি হবে। আর এভাবে আপনি প্রোডাক্ট সেলিং করে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন।
২০. টাইপিং
আপনি যদি টাইপিং করতে পছন্দ করেন এবং ঘরে বসে অতিরিক্ত আয় করতে চান, তাহলে টাইপিং থেকে টাকা ইনকাম করার অনেক উপায় আছে। আজকের ডিজিটাল যুগে তথ্যের চাহিদা অনেক বেড়েছে, আর এই চাহিদা মেটাতে টাইপিস্টদের প্রয়োজনও বেড়েছে।
টাইপিং করে টাকা ইনকাম করার বিভিন্ন উপায় আছে। যেমনঃ Upwork, Fiverr, Freelancer এর মতো ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে আপনি ডাটা এন্ট্রি, ট্রান্সক্রিপশন, কনটেন্ট টাইপিং ইত্যাদি কাজ পেতে পারেন। আর এভাবে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন।
শেষ কথা
আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা প্রতি মাসে অনলাইন ও অফলাইন দুই মাধ্যমেই ১০ হাজার টাকা আয় করার উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানলেন। আসলে এই উপায়গুলো মূলত একদম প্রাথমিক পর্যায়ে টাকা আয় করার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
আপনি যতদিন ধৈর্য এবং সততার সাথে আপনার ব্যবসায় বা কাজ করতে থাকবেন। আপনার ব্যবসায় ঠিক তত বেশি প্রসারিত হতে থাকবে। আর এক পর্যায়ে আপনার ইনকাম ১০ হাজার টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। সবাইকে ধন্যবাদ।