তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ১০ টি নাম
আমরা হয়তো অনেকেই জানি না প্রযুক্তি কতটা এগিয়ে গেছে। দিন যত যাচ্ছে প্রযুক্তি আরও নতুন নতুন কিছু আবিষ্কার করছে। এজন্য আমরা যেন প্রযুক্তি থেকে পিছিয়ে না পড়ি। তাই আমাদের অবশ্যই প্রযুক্তি বিষয় সম্পর্কে বিস্তার জ্ঞান রাখতে হবে। তথ্য প্রযুক্তির সংমিশ্রণে ব্যবহৃত হয় এমন ১০টি প্রযুক্তির নাম সম্পর্কে আমি আপনাদের নিম্নে ধারণা দিতে চলেছি। যা আপনাকে সামনের দিনগুলোতে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে সাহায্য করবে। প্রযুক্তি মূলত ইলেকট্রনিক্স শক্তির মাধ্যমে চলমান বিভিন্ন ডিভাইস কে প্রযুক্তি বলে। তবে বর্তমানে প্রযুক্তির ব্যবহার ইলেকট্রনিক ডিভাইস ছাড়াও আরও বিভিন্ন উৎস থেকে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বর্তমানে মানুষের জীবনকে আরও সহজ এবং আনন্দময় করে তোলার জন্য বিভিন্ন নতুন নতুন সফটওয়্যার এবং সিস্টেম এর সাথে আমরা পরিচয় হচ্ছি। আধুনিক প্রযুক্তি সময় বাঁচানোর পাশাপাশি যোগাযোগ এবং শিক্ষা ও গবেষণার কাজকে সহজতর করে তুলে।
এছাড়াও প্রযুক্তি মানুষের নির্ভরশীলতা বাড়াতে, বেকারত্বের সমস্যা দূর করতে এবং গোপনীয়তা রক্ষা করতে সাহায্য করছে। আধুনিক প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার না করলে এর বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক ও রয়েছে। তাই আমরা ১০ টি প্রযুক্তি নাম ও ব্যবহার জানার আগে এর ক্ষতিকর দিখ গুলো একটু জেনে আসি। যেমনঃ
প্রযুক্তি ব্যবহারে ক্ষতি কি কি?
শারীরিক ক্ষতি
অতিরিক্ত সময় প্রযুক্তি ব্যবহারে পিছিয়ে নেই আমরা কেউই। তাই আমাদের দেশেও দিন দিন বেড়ে চলছে শারীরিক এবং মানসিকভাবে আক্রান্ত বিভিন্ন রোগীর সংখ্যা। ঢাকার বিভিন্ন মানসিক স্বাস্থ্য হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়।
আরও পড়ুনঃ এড দেখে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট
ফেইসবুক, ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে দিন দিন এ জাতীয় মানসিক রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই যারা স্মার্টফোন, ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটার ব্যবহারে বেশি আসক্ত। তারা এখন থেকেই সতর্ক হন এবং আপনার সামনের জীবনে শান্তি আনুন।
পরিবেশ দূষণ
বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রেগুলোতে প্রতিদিন হাজার হাজার টন কয়লা পুড়িয়ে এরপর বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে, কিন্তু এর ফলে যে বায়ুও দূষিত হয়। বায়ু দূষণ বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বৃদ্ধি করে এবং এসিড বৃষ্টির মতো পরিবেশের উপর ভয়ংকর ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করে। এছাড়াও আরেকটি পরিবেশ দূষণ হচ্ছে রাসায়নিক সার।
রাসায়নিক সার ও কীটনাশক অধিক খাদ্য উৎপাদনে সাহায্য করে। এগুলো ব্যবহারের ফলে আবার মাটি এবং পানি দূষিত হয় যা জীবের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
মনোযোগ বিক্ষিপ্ত করে দেওয়া
বিজ্ঞানের নানা অগ্রগতির মধ্যে এটি একটি অন্যতম অপকারিতা। নানান প্রযুক্তিপণ্য মানুষের মনোযোগ ভিন্ন দিকে সরিয়ে দেয়। অনেকেরই গুরুত্বপূর্ণ কাজের সময় মোবাইল ফোন আসে অর্থবা মিটিংয়ের সময় পাওয়া মেসেজের কারণে মনোযোগ ভিন্ন দিকে চলে যায়। উপরের আলোচনা থেকে আমরা প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষতিকর দিখ গুলো জানলাম এখন আমরা জানবো প্রযুক্তি নাম ও ব্যবহার।
আরও পড়ুনঃ প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ১০ টি নাম?
উন্নত বিশ্ব এখন প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু আবিষ্কার করছে। উন্নত বিশ্বের কিছু দেশের হাত ধরে বাংলাদেশেও এখন প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। আধুনিক এই যুগে প্রযুক্তির নাম সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা না থাকলে আপনি অন্যদের থেকে পিছিয়ে থাকবেন।
প্রতিনিয়তই আমরা আধুনিক প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হচ্ছি। যা আমাদের দৈনন্দিন কাজের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে।সাম্প্রতিক সময়ে জনপ্রিয় হয়েছে এমন ১০টি প্রযুক্তির নাম আমরা নিম্নে উল্লেখ করলাম। যেমনঃ
- ক্লাউড কম্পিউটিং
- ভার্চুয়াল রিয়েলিটি
- ইন্টারনেট অফ থিংস
- আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি
- রোবটিক্স
- ব্লকচেন
- জৈব প্রযুক্তি
- ন্যানো টেকনোলজি
- ড্রোন
- মেশিন লার্নিং
১. ক্লাউড কম্পিউটিং
ক্লাউড কম্পিউটিং হচ্ছে এমন একটি প্রযুক্তি যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে ডাটা স্টোরেজ, সফটওয়্যার তৈরি করতে সাহায্য করে থাকে। যেকোন সময় যেকোন জায়গা থেকে ডাটা এক্সেস পাওয়া যায় বলে ক্লাউড কম্পিউটিং জনপ্রিয়।
এছাড়া এটি কম্পিউটারের স্পেস বাঁচানোর পাশাপাশি খরচ কমায়। সহজে আপগ্রেড করা যায় বলে ক্লাউড কম্পিউটিং বর্তমানে অনেকটাই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
২. ভার্চুয়াল রিয়েলিটি
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হচ্ছে এমন একটি মাধ্যম যেটা ব্যবহার করে ব্যবহারকারী তার আসল জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একটি কৃত্রিম পরিবেশে নিজেকে অনুভব করতে পারে। এটি ব্যবহার করার সময় ব্যবহারকারীর হেডসেট এর প্রয়োজন হয়ে থাকে।
আরও পড়ুনঃ কোটি টাকা আয় করার উপায়
৩. ইন্টারনেট অফ থিংস
ইন্টারনেট অফ থিংস কে ইংরেজিতে IOT বলা হয়ে থাকে। এটি এমন একটি আধুনিক প্রযুক্তি যা বিভিন্ন সাধারণ জিনিসপত্রকে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত করতে পারে। ইন্টারনেট অফ থিংস স্বাস্থ্য, পরিবহন, শিল্প, স্মার্ট হোম খাতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। স্মার্ট হোম এ ব্যবহৃত স্মার্ট থার্মোস্ট্যাট, স্মার্ট লাইট, স্মার্ট ওয়াচ এবং স্মার্ট কার পরিচালনা করতে পারে ইন্টারনেট অফ থিংস।
এছাড়াও পরিধানযোগ্য ডিভাইস শিল্প নিয়ন্ত্রণ পরিবেশ পর্যবেক্ষণ এর জন্যও ইন্টারনেট অফ থিংস ব্যবহৃত হয়। ইন্টারনেট অফ থিংস এ ব্যবহৃত সেন্সর তথ্য সংগ্রহ করে এরপর সেই তথ্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সার্ভারে পাঠায়। সার্ভারে এই ডাটা গুলো বিশ্লেষণ করে আমরা আমাদের মোবাইল ফোন কিংবা কম্পিউটার থেকে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।
৪. আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি
একজন সাধারণ মানুষের বুদ্ধিমত্তার সাথে তাল মিলিয়ে অনুরূপ একই ধরণের কাজ করার জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি ডিজাইন করা হয়েছে। এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি দ্বারা যেকোন সমস্যার সমাধান এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং, মেশিন লার্নিং, রোবটিক্স, গেমিং এবং হেলথ কেয়ার এর পরিকল্পনায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
অনেক জ্ঞান ব্যক্তিত্ব ধারণা করতেছে যে, অদূর ভবিষ্যতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি এর সুদূর প্রয়াসী সম্ভাবনা রয়েছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্সি যেসব কাজের জন্য সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়। তা নিম্নে তালিকা আকারে প্রকাশ করা হলঃ
সার্চ ইঞ্জিন
আপনি হয়তো কখনও ভাবেন নাই যে, গুগলে যেকোন বিষয়ে প্রশ্ন সার্চ দিলে তার সঠিক উত্তর কিভাবে আপনার সামনে আসে। এটা মূলত গুগুল সার্চ ইঞ্জিন গুলো এআই ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের প্রশ্নের উত্তর প্রদান করে থাকে।
যেমনঃ আপনি আমার এই আর্টিকেলে গুলো সার্জ ইঞ্জিন এর মাধ্যমে এসেছেন। আপনি যখন ১০ টি প্রযুক্তির নাম ও ব্যবহার সম্পর্কে গুগুলে সার্চ দিয়েছেন। তখন আপনার প্রশ্নের উত্তর হিসাবে আমার এই আর্টিকেলটি গুগল এআই আপনার সামনে নিয়ে এসেছে।
অটোমোবাইল
অনেক দেশে এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি এর সাহায্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ি চালানো সহ ড্রাইভিং সহায়তায়ও এআই ব্যবহার করা হচ্ছে। যদিও এই প্রযুক্তি আমাদের দেশে এখনও আসে নাই। তবে ধারণা করা হচ্ছে আমাদেন দেশেও খুব তারাতারি এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
সোশ্যাল মিডিয়া
বর্তমানে সকলেই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে থাকেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় কনটেন্ট তৈরি, সাজানো এবং কনটেন্ট এর বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্সি। সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্লাটফর্মে আপনারা বিজ্ঞাপন দেখে থাকবেন। আর এই বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে কার্যকরি একটি উপায় হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্সি বা এআই।
হেলথকেয়ার
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি অর্থাৎ এআই ব্যবহার করে রোগীর রোগ নির্ণয় করা হচ্ছে। এছাড়াও ঔষধ আবিষ্কার করার কাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি অর্থাৎ এআই। অনেকে আবার এআই ব্যবহার করে ব্যক্তিগতভাবে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছেন।
আরও পড়ুনঃ কন্টেন্ট রাইটিং করে আয়
অনলাইন শপিং
বর্তমানে অনলাইন অনেক প্লাটফর্ম রয়েছে যেগুলোতে হাতে থাকা মোবাইল এর মাধ্যমে কেনাকাটা করা যায়। গুলোর মধ্যে যেমনঃ আমাজন, ইবে এর মত আরও অসংখ্য অনলাইন শপিং প্লাটফর্মে রয়েছে। এই প্লাটফর্ম গুলোতে আপনি এআই ব্যবহার করে প্রোডাক্ট ক্রয় করতে পারবেন।
ভাষা অনুবাদ
এখন যেকোন দেশের নাগরিক এর সাথে যেকোন ভাষায় কথা বলা যায়। শুধু হাতে থাকতে হয় একটি মোবাইল। মোবাইলে ভাষা অনুবাদ করার জন্য এখন ব্যবহার করার হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি বা এআই।
৫. রোবটিক্স
বিজ্ঞানের যেই শাখায় রোবট নিয়ে কাজ করা হয় তাকে রোবটিক্স বলে হয়ে থাকে। মানুষের দেওয়া নিদিষ্ট প্রোগামিং অনুসরণ করে রোবট সাহায্য করতে পারে। যেমনঃ বিভিন্ন উৎপাদন কাজে, উদ্ধার কাজে, ঘরোয়া বিভিন্ন কাজে, স্বাস্থ্য সেবায়। এক্ষেত্রে ইন্ডাস্ট্রিয়াল রোবট কলকারখানা গুলোতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সার্জিক্যাল রোবট ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
এছাড়াও গড় গৃহস্থালির কাজ করার জন্য ভ্যাকিউম ক্লিনার রোবট ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কলকারখানা গুলোর ভারী জিনিসপত্র তোলা থেকে শুরু করে জটিল চিকিৎসার জন্য অস্ত্রোপচার, বিপদজনক পরিবেশ থেকে মানুষকে উদ্ধার করার জন্য অনেক সময় রোবট ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
৬. ব্লকচেন
ক্রিপটোকারেন্সির জন্য চুক্তি বাস্তবায়ন, ডাটা সুরক্ষা এবং ভোট গ্রহণের কাজে ব্লকচেন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ক্রিপটোকারেন্সি সম্পূর্ণভাবে ব্লকচেন এর উপর ভিত্তি করে থাকে। এছাড়াও ব্যাংকিং লেনদেন কে দ্রুততম করার কাজে, স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার কাজে, জমির রেকর্ড রাখার কাজেও ব্লকচেন ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ব্লক চেন এর বিভিন্ন সুবিধা গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এটি মধ্যস্থকারীদের মধ্যস্থতা দূর করে, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে থাকে।
৭. জৈব প্রযুক্তি
বিজ্ঞানের এই শাখায় জীবজন্তু ও উদ্ভিদের জৈবিক প্রক্রিয়া ব্যবহার করে নতুন পণ্য তৈরি করা হয়ে থাকে। উচ্চ ফলনশীল ফসল উৎপাদন, পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ, জ্বালানি উৎপাদন, ঔষধ আবিষ্কার, শিল্পজাত পণ্য উৎপাদন, জিনগত রোগ নিরাময় করতে জৈব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। জৈব প্রযুক্তি খাদ্য উৎপাদন, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং চিকিৎসা বিভাগের উন্নতি সাধনের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
৮. ন্যানো টেকনোলজি
ন্যানোটেকনোলজি সেক্টরে পরমাণু ও অনুর মত ক্ষুদ্র কণিকা নিয়ে কাজ করা হয়ে থাকে। সহজ কথায় এটি এক ন্যানোমিটার হচ্ছে এক মিটারের এক বিলিয়ন ভাগ। দ্রুতগতির কম্পিউটার তৈরি করতে ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এছাড়া নানান ধরনের জটিল ক্যান্সার সনাক্ত করতে ন্যানো রোবট ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
ন্যানো টেকনোলজি পণ্যের গুণগত মান বাড়ানোর পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ কমাতে সাহায্য করে থাকে। এমনকি বায়ু দূষণ, পানি শোধন এর কাজেও বর্তমানে ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহৃত হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ দিনে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম
৯. ড্রোন
আধুনিক যুগে এটি এমন একটি প্রযুক্তি যা দূরবর্তী যে কোন স্থান থেকে পরিচালনা করা যায় এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবেই উপরে উঠানো যায়। অনেক উচ্চতা থেকেও পরিষ্কারভাবে ছবি বা ভিডিওগ্রাফি ধারণ করা যায় বলে ড্রোন ইতোমধ্যে খুব জনপ্রিয়। প্রধানত ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফির কাজে ড্রোন ব্যবহার করা হলেও এর আরও নানাবিধ ব্যবহার রয়েছে। সামরিক বিভিন্ন কাজে তৎপর থাকার জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
এখন বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে পণ্য ডেলিভারি করার জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। হারিয়ে যাওয়া পশু বা মানুষকে খুঁজে বের করতেও বর্তমানে ড্রোন ব্যবহার করার হাচ্ছে। কৃষিকাজ ও ফসলের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার জন্য উন্নত দেশের ড্রোন ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
১০. মেশিন লার্নিং
মেশিন লার্নিং এমন একটি সেক্টর যেখানে মডেল গুলো ডাটা থেকে প্যাটার্ন শেখে এবং সেই জ্ঞান ব্যবহার করে নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সক্ষম। বিভিন্ন ভাষার অনুবাদ, স্বাস্থ্য সেবা, নেটফ্লিক্সের বিভিন্ন মুভির সুপারিশ, অর্থনীতি, ইউটিউবের ভিডিওর সুপারিশ করতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন মেশিনের তথ্য যেমনঃ স্পাম ফিল্টারিং, ডেটা বিশ্লেষণ এর কাজে ও মেশিন লার্নিং ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
শেষকথা
আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আধুনিক দশটি প্রযুক্তির নাম এবং এই প্রযুক্তিগুলো যে সব খাতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সেগুলো নিয়ে ইতিমধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
নিত্য নতুন আরও বিভিন্ন প্রযুক্তি বাজারে আসছে যেগুলো সম্পর্কে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ এখনো সচেতন নয়। আমি আশাকরি আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ বুঝতে পেরেছেন। এরকম জানা অজানা তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট এর সাথে থাকুন। ধন্যবাদ