অনলাইন টাইপিং জব ডেইলি পেমেন্ট

আজকের এই আধুনিক যুগে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যতটা সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতটা সহজ আগে কখনোই ছিল না। আপনার মধ্যে যদি টাইপিং করার দক্ষতা থাকে এবং আপনি যদি টাইপিং করে অনলাইনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার উপায়গুলো খুঁজে থাকেন। তবে দুশ্চিন্তার কিছু নেই, কেননা আমি আজকে টাইপিং করে ইনকাম করার বেশ কিছু উপায় বলে দিব।এই উপায়গুলো অনুসরণ করে আপনি খুব সহজেই ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন। আমি এটা এজন্যেই বলছি যে, বর্তমান সময়ে আপনি ফেসবুক থেকে ইনকাম করার থেকে শুরু করে আরও অন্যান্য নানান সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট গুলো কিংবা সরাসরি গুগল এর মতো জনপ্রিয় প্লাটফর্ম থেকেও অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন।

টাইপিং করার ক্ষেত্রে আপনার যদি ভাল দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকে। সেক্ষেত্রে অনলাইনে নানান দূরবর্তী টাইপিং কাজ গুলো করেও টাকা ইনকাম করাটা আপনার জন্য সত্যি অনেক সহজ কাজ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি যদি সম্পূর্ণ ভালভাবে পড়েন। তাহলে টাইপিং করে অনলাইন থেকে ইনকাম করার নিয়ম এবং কৌশলের বিষয়টি সম্পূর্ণ স্পষ্টভাবে বুঝতে পারবেন।

অনলাইন টাইপিং জব ডেইলি পেমেন্ট?

টাইপিং মানে আমরা যেটা জানি নিজের কম্পিউটার, ল্যাপটপ কিংবা মোবাইলে থাকা কিপ্যাডে টাইপ করা। আর যখন কথা হচ্ছে টাইপিং করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার, সেক্ষেত্রে নিজের মোবাইল বা কম্পিউটারের কিবোর্ড/কিপ্যাডে টাইপ করে আমরা নানান উপায়ে টাকা ইনকাম করতে পারি। চলুন আমরা নিম্নে একে একে প্রতিটা উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়ে জেনে নেই। যেমনঃ

টাইপিং জবের প্রকার → কাজের ধরণ

• অনলাইন সার্ভে করা > সার্ভে সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে ইনকাম।
• কপিরাইটিং জব > ব্র্যান্ড মার্কেটিং বা বিজ্ঞাপনের জন্য কনটেন্ট লেখা।
• অনলাইন ট্রান্সক্রিপশন জব > অডিও থেকে টেক্সট ফরম্যাটে কনভার্ট।
• ডাটা এন্ট্রি টাইপিং জব > বিভিন্ন ধরণের ডাটা গুলো এন্ট্রি করতে হয়।
• স্ক্রিপ্ট রাইটিং জব > ওয়েব সিরিজ, ভিডিও ইত্যাদির স্ক্রিপ্ট লিখতে হবে।
• ব্লগিং (Blogging) > পছন্দমতো কনটেন্ট লিখে ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে।
• ক্যাপচা টাইপিং জব > ক্যাপচা টাইপ করে আয় করুন।
• ফ্রিল্যান্স রাইটিং জব > ব্লগ, ব্র্যান্ড, ইত্যাদির জন্য কনটেন্ট লেখা।
• অনলাইন ট্রান্সলেশন জব > একটি ভাষার কনটেন্ট আরেকটি ভাষায় ট্রান্সলেট করা।
• টাইপিং জব সাইট > টাইপিং রিলেটেড নানান কাজ করতে হবে।

চলুন এবার আমরা উপরে উল্লেখিত প্রতিটি টাইপিং জব সম্পর্কে ভালভাবে যেনে নেই। যাতে করে আপনারা খুব সহজে অনলাইনে টাইপিং জব করে মাসে ভাল একটা এমাউন্ট ইনকাম করতে পারেন।

১. অনলাইন সার্ভে জব

মৃুলত সার্ভে সম্পূর্ণ করার এই অনলাইন কাজ গুলোতে আপনাকে বিভিন্ন ব্র্যান্ড, পণ্য, কোম্পানি, ইত্যাদির বিষয়ে নিজের মতামত গুলো শেয়ার করতে হয়। এক্ষেত্রে প্রতিটি সার্ভে সঠিকভাবে সম্পূর্ণ করার পর আপনাকে কিছু টাকা রিওয়ার্ড হিসেবে আপনার একাউন্টে জমা হবে।

কাজটি যদিও লেখালেখির সাথে জড়িত কিন্তু এখানে আপনি যতগুলো উত্তর টাইপ করবেন ঠিক ততটাই অধিক রিওয়ার্ড ইনকাম করার সুযোগ পাবেন। সার্ভে সম্পূর্ণ করে অধিক টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে আপনি একাধিক survey website গুলোতে গিয়ে নিজের ফ্রি একাউন্ট তৈরি করে কাজ শুরু করে দিতে পারেন।

Swagbucks, Opinion Outpost, ySense ইত্যাদি এই ধরণের অনেক ওয়েবসাইট অনলাইনে রয়েছে। যেগুলোতে গিয়ে সার্ভে সম্পূর্ণ করার কাজ গুলো করে আপনি নিয়মিত টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

টাইপিং করে টাকা ইনকাম করার সেরা ৮টি ওয়েবসাইট?

আমরা বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং আন্তর্জাতিক মানের আটটি টাইপিং করে ইনকাম করার ওয়েবসাইট সম্পর্কে জেনে নিব। যেমনঃ

Fiverr.com

ফাইভার এখন অনেক জনপ্রিয় এবং আন্তর্জাতিক ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম যেখানে টাইপিং রিলেটেড প্রচুর কাজ পাবেন।

2Captcha

এটিতে মূলত ক্যাপচা টাইপিং করে ইনকাম করার সুযোগ দেওয়া হয়ে থাকে।

YSense

এই সাইটে মূলত পেইড সার্ভে গুলো সম্পূর্ণ করে ইনকাম করার সুযোগ দেওয়া হয়ে থাকে।

Upwork

এটি এখন সেরা freelancing marketplace গুলোর মধ্যে একটি। এখানে আপনারা সহজে কনটেন্ট রাইটিং, কপিরাইটিং, ট্রান্সলেশন রিলেটেড জব পাবেন।

Babbletype

এখানে ট্রান্সক্রিপশন এবং ট্রান্সলেশন এই দুই ধরণেরই কাজের জন্য এপ্লাই করতে পারবেন।

Clickworker

এখানে ডাটা এন্ট্রির মতো বিভিন্ন ছোট-বড় টাইপিং জব গুলো পাবেন।

Rev

এটি খুবই জনপ্রিয় এবং বিখ্যাত প্লাটফর্ম যেখানে ট্রান্সক্রিপশন রিলেটেড কাজ পাওয়া যাবে।

TranscribeMe

এটিও একটি এখন অনেক পপুলার প্লাটফর্ম যেখানে ট্রান্সক্রিপশন রিলেটেড টাইপিং জব গুলো পাওয়া যাবে।

২. কপিরাইটিং এর কাজ

আপনি কপিরাইটিং কাজ করে অর্থাৎ লেখালেখি বা টাইপিং করে নিয়মিত ইনকাম করতে পারবেন। এই কাজে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে। যদিও এক্ষেত্রে প্রয়োজন রয়েছে আকর্ষক এবং টার্গেটেড কনটেন্ট রাইটিং দক্ষতার।

কপিরাইটিং হচ্ছে লেখনের এমন একটি প্রক্রিয়া কিংবা ধরণ যেখানে আকর্ষণীয় শব্দ ও বাক্য গুলো ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের পণ্য, পরিষেবা বা ধারণা গুলো প্রচার করার চেষ্টা করা। এক্ষেত্রে কনটেন্টটি লেখার মূল উদ্দেশ্যটি হয়ে থাকে, কনটেন্ট এর মাধ্যমে পরিষেবা গ্রহণকারী বা গ্রাহকদের আকর্ষণ প্রাপ্ত করা এবং পণ্য ও পরিষেবা গুলোর বিক্রয় বৃদ্ধি করা এবং এনগেজমেন্ট বাড়ানো ইত্যাদি।

কপিরাইটিং এর এই কাজটি আপনার জন্য একটি দারুন এবং লাভজনক ক্যারিয়ার সুযোগ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বড় বড় কোম্পানিদের সাথে ফুলটাইম হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি, পার্টটাইম ফ্রিল্যান্সিং কাজ হিসেবেও এই কাজ করা যেতে পারে বলে আমি মনে করি। কেননা ইতিমধ্যে এই কাজ করে দেশের অনেক মানুষ বেশ ভালজনক হয়েছে, এবং তারা আর্থিক ভাবে বেশ সাবলম্বী হয়েছে।

কপিরাইটিং এর কাজে কি ধরণের কনটেন্ট তৈরি করা হয়?

কপিরাইটিং এই কাজটির মধ্যে বিভিন্ন ধরণের কনটেন্ট তৈরি করার প্রক্রিয়া জড়িত থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে কপিরাইটিং কাজ বিষয় সম্পর্কে নিচু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করা হলঃ

• যেকোন ওয়েবসাইটের জন্য, প্রডাক্ট পেজ, হোম পেজ, এবাউট পেজ, ইত্যাদির মতো বিভিন্ন টপ লেভেল পেজ গুলোর জন্য কনটেন্ট তৈরি করা।
• বিভিন্ন ব্র্যান্ড, কোম্পানি কিংবা সংগঠন গুলোর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট তৈরি করা।
• ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য কনটেন্ট কপি বা ক্যাম্পেইন তৈরি করা।
• Google Ads কিংবা Facebook Ads এর মতো বিজ্ঞাপন গুলোর জন্য এড কপি তৈরি করা।
• যেকোন পণ্য অথবা পরিষেবার সেলস পেজ গুলোর জন্য কনটেন্ট তৈরি করে দেয়া।
• Blog post কিংবা product description গুলো তৈরি করা।

অবশ্যই মনে রাখবেন, কপিরাইটিং এর কাজে সফলতা পাওয়ার ক্ষেত্রে কিংবা কার্যকর কপিরাইটিং কনটেন্ট কপি তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনাকে নিজের টার্গেটেড শ্রোতাদের খুব ভালকরে বুঝতে হবে। এছাড়াও আপনাকে নিয়মিত নিজের কপিরাইটিং রিলেটেড দক্ষতা গুলোকে উন্নত করতে হবে, যাতে করে আপনি আপনার কপিরাইটিং পোষ্ট এ নতুন কিছু আনতে পারেন।

৩. ট্রান্সক্রিপশন টাইপিং জব

ট্রান্সক্রিপশন হচ্ছে এমন এক ধরণের কাজ, এখানে আপনাকে স্পোকেন ল্যাঙ্গুয়েজ মানে স্পষ্ট ভাবে বলতে গেলে এটা হল বিভিন্ন ধরণের অডিও কিংবা ভিডিও ফাইল গুলো শুনে সেগুলোকে সুন্দর করে লিখিত টেক্সট এ কনভার্ট করা। এটি বর্তমানে একটি অনেক জনপ্রিয় অনলাইন টাইপিং জব যেটা যেকেউ খুব সহজেই শুরু করতে পারবে।

ট্রান্সক্রিপশন এর ক্ষেত্রে আপনাকে বিভিন্ন ধরণের অডিও রেকর্ডিং গুলো শুনতে হয়। যেমনঃ পডকাস্ট, কোন ইন্টারভিউ কিংবা মিটিং ইত্যাদি। এবার রেকর্ডিং গুলো শুনে সেখানে থাকা কথ্য বিষয়বস্তু গুলো সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে আপনাকে ডিজিটালি টাইপ করতে হবে। এক্ষেত্রে মনে রাখবেন আগে আপনাকে প্রতিটি শব্দ খুব ভাল করে স্পষ্টভাবে শুনতে হবে এবং তা যথাযথ ভাবে টাইপ করতে হবে।

কিভাবে শুরু করবেন অনলাইন ট্রান্সলেশন জব?

এই কাজ পাওয়ার জন্য আগে আপনাকে নিজের দক্ষতাকে উন্নত করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি নিয়মিত প্রাকটিস করার মাধ্যমে নিজের দক্ষতাকে উন্নত করতে পারবেন। প্রাকটিস করার জন্য শুরুতে আপনি বিভিন্ন ধরণের বই, আর্টিকেল কিংবা মুভি সাবটাইটেল গুলোকে ট্রান্সলেট করে নিজের দক্ষতাকে উন্নত করতে পারেন।

আপনি যদি বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি, বা অন্য যেকোন একাধিক ভাষায় দক্ষ হয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে আপনি ট্রান্সলেশনেে কাজ অবশ্যই করতে পারবেন। আপনার জন্য ভাল হবে, শুরুতে কম টাকা/পেমেন্ট দিচ্ছে এমন ছোট ছোট প্রজেক্ট গুলো সম্পূর্ণ করে নিজের পোর্টফোলিও এবং রেটিং ভাল করতে হবে।

এরপর Stepes, LinkedIn, TranslatorsCafe, Indeed, Upwork, Fiverr, Gengo, ইত্যাদির মতো সাইট গুলোতে নিজের একাউন্ট তৈরি করে একটি শক্তিশালী ও আকর্ষণীয় পোটফলিও তৈরি করুন এবং ক্লায়েন্টদের কাছে থেকে কাজ নিয়ে ইনকাম করুন।

ট্রান্সক্রিপশন টাইপিং জবের কিছু বৈশিষ্ট?

কাজের চাহিদা

ট্রান্সক্রিপশন কাজের চাহিদা বর্তমানে বহু। কেননা এটা ভবিষ্যতে এটা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে বিভিন্ন ব্যবসায়, ব্র্যান্ড, কনটেন্ট ক্রিয়েটর, গবেষকরা, বিভিন্ন কারণে এই ট্রান্সক্রিপশন এর কাজ গুলো করিয়ে নিতে চান। এর এজন্য এগুলোর চাহিদাও অনেক।

কাজের প্লাটফর্ম গুলো

বর্তমানে ট্রান্সক্রিপশন এর কাজ গুলো খুঁজে পেতেও আপনার খুব বেশি সময় লাগবে না। কেননা GoTranscript, বা Rev, TranscribeMe এর মতো বর্তমানে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে। যেগুলোতে গিয়ে একটি একাউন্ট তৈরি করে বিভিন্ন ধরণের ট্রান্সক্রিপশন জব গুলো আপনি পেতে পারবেন।

কাজের স্বাধীনতা

আপনার কাছে যদি ভাল ইন্টারনেট সংযোগ থাকে এবং একটি কম্পিউটার থাকে। তাহলে আপনি নিজের ঘর থেকে বা পছন্দমতো যেকোন অন্য জায়গা থেকে কাজটি করতে পারবেন। এছাড়াও কখন কি হিসেবে কাজ করবেন সেটারও শুধুমাত্র স্বাধীনতা আপনি পাবেন।

কাজের জন্য কি কি লাগবে?

এটি আমি ইতিমধ্যে উল্লেখ করছি, ট্রান্সক্রিপশন এর কাজ করতে হলে আপনার কাছে একটি কম্পিউটার, দ্রুতগতীর ইন্টারনেট কানেকশন এবং একটি হেডফোনের প্রয়োজন হবে। এছাড়াও শোনার দারুন দক্ষতা এবং নির্ভুল ও দ্রুত টাইপিং এর কৌশল গুলো আপনার মধ্যে থাকতে হবে।

৪. ডাটা এন্ট্রি টাইপিং জব

অনলানে ডাটা এন্ট্রির জব বা কাজ গুলোকে আমরা ডিজিটাল ফাইলিং এর কাজ বলেও বলতে পারি। এটা মূলত এমন একটি কাজ যেখানে আপনাকে ফিজিক্যাল ডকুমেন্ট, ফাইল বা পেপার ইত্যাদির থেকে তথ্য বা ডাটা গুলোকে সুন্দর করে নিজের কম্পিউটার বা ল্যাপটপে কিংবা অনলাইন ক্লাউড স্টোরেজ টুলস গুলোতে এন্ট্রি করতে হয়।

এক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজন হবে কম্পিউটারে থাকা একটি সফটওয়্যার বা টুল এর, যাতে করে ক্লাইন্ট এর তথ্য বা ডাটা আপনি সুন্দর করে টাইপ করার মাধ্যমে আপনার কম্পিউটারে এন্ট্রি করাতে পারেন।

এই টাইপিং জবে কিভাবে কাজ করতে হয়?

টাইপিং করতে হবে

এক্ষেত্রে আপনাকে একটি ফিজিক্যাল পেপার কিংবা ইমেজ থেকে বিভিন্ন ধরণের তথ্য গুলোকে অনুধাবন করে পড়তে ও বুঝতে হয়। এরপর সেই তথ্য গুলোকে কম্পিউটার সফটওয়্যার বা এডিটিং টুলস গুলোতে টাইপ করতে বা এন্ট্রি করতে হবে।

তথ্য বা ডাটা বলতে এটা যেকোন প্রতিষ্ঠানের দৈনিক গুরুত্বপূর্ণ কাজের হিস্টরি বা সেই প্রতিষ্ঠানের দৈনিক কার্যকলাপের টেক্সট বিবরণী হতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম, নাম্বার ঠিকানা কিংবা পুরো বায়োডাটা হতে পারে।

কোথায় পাবেন এই কাজ

অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি জব লিখে সার্চ করলেই আপনারা এধরণের বহু ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন। যেগুলোতে নানান ধরণের ডাটা এন্ট্রি কাজ গুলো অফার করে থাকে। তবে আমি মনে করি Fiverr, toptal এবং upwork এর মতো আন্তর্জাতিক ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলোতে গিয়ে এই ধরণের কাজের খোঁজ করা।

দেখুন ডাটা এন্ট্রি কাজে দ্রুততার সাথে টাইপিং করার বিষয়টা অনেক জরুরি যদিও এতটি তেমন গুরুত্বপূর্ণ না। এক্ষেত্রে দ্রুততার থেকে অনেক জরুরি বিষয়টা হচ্ছে সঠিক ভাবে এবং সম্পূর্ণ নির্ভুলতার সাথে কাজ করা।

নির্ভুলতা

ডাটা এন্ট্রির কাজ করার ক্ষেত্রে যেই কাজ করুক না কেন তাকে সঠিক ভাবে প্রচুর সাবধানতা এবং নির্ভুলতার সাথে কাজ করতে হয়। কেননা এক্ষেত্রে আপনার একটি সাধারণ ভুল অনেক বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এমনকি আপনার দীর্ঘ সময় ধরে করা সব কাজ বিফলে যেতে পারে

৫. ফ্রিল্যান্স রাইটিং জব

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং পেশা একটি পপুলার পেশা আর এই ফ্রিল্যান্স রাইটার মানে আপনি একজন রাইটার হিসেবে আপনার স্বাধীন ভাবে নিজের পছন্দমতো যেকোন সময়ে কাজ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে মূলত আপনি বিভিন্ন ক্লায়েন্ট যেমনঃ ব্র্যান্ড, কোম্পানি, বা ব্লগ/ওয়েবসাইট মালিকের জন্য কনটেন্ট লিখে দিবেন।

আর এখানে আপনাকে কোন কোম্পানির জন্য চিরকাল কাজ করার প্রয়োজন নেই। কেননা এখানে আপনি শুধুমাত্র প্রজেক্ট গুলো নিয়ে সেগুলো সম্পূর্ণ করা পর্যন্তই সেই কোম্পানি কিংবা ওয়েবসাইটের সাথে কাজ করবেন।

কনটেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করার সুবিধা?

আপনি দিনে কাজ করবেন নাকি রাতে কাজ করবেন এটি সম্পূর্ণ আপনার স্বাধীনতা, আপনার যখন মন চায় তখনই আপনি এই কাজ করতে পারবেন। পড়াশোনার পাশাপাশি ইনকাম করতে চাচ্ছেন নাকি চাকরির পাশাপাশি, আপনি যেকোন ক্ষেত্রেই নিজের ফ্রী সময় এবং জায়গা সেট করে একজন কনটেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

কোথায় পাবেন কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ গুলো?

আপনি যদি ঘরে বসে শুধুমাত্র লেখালেখি করে টাকা ইনকাম করতে চান। সেক্ষেত্রে আপনি একজন কনটেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করতে পারেন। যদি আপনার মাঝে লেখালেখি করার মতো দারুন দক্ষতা এবং ইন্টারেস্ট থেকে থাকে।

তাহলে আপনি বিভিন্ন Freelancing Website গুলোতে গিয়ে টাইপিং রিলেটেড এই কাজ গুলো খুঁজতে পারেন। যেমনঃ LinkedIn, Upwork, Fiverr, Freelancer.com ইত্যাদি এই সাইট গুলোতে আপনি কনটেন্ট রাইটিং রিলেটেড প্রচুর কাজ পাবেন।

আপনাকে কি ধরণের কনটেন্ট লিখতে হবে?

আপনি একজন ফ্রিল্যান্স লেখক হিসেবে বিভিন্ন ধরণের কনটেন্ট গুলো লিখতে পারেন। যেমনঃ ব্লগ পোস্ট, আর্টিকেল, প্রডাক্ট ডেসক্রিপশন, সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট, নিউজ আর্টিকেল, বিজ্ঞাপন, ইত্যাদি।

৬. অনলাইন ট্রান্সলেশন জব

লেখালেখি বা টাইপিং করে নিয়মিত পার্ট-টাইম অথবা ফুলটাইম ইনকাম করার ক্ষেত্রে বর্তমানে একটি চাহিদাপূর্ণ অনলাইন কাজ হচ্ছে অনলাইন ট্রান্সলেশন ওয়ার্ক। তবে এজন্য আপনাকে লিখিত বা কথ্য উপাদান/কনটেন্ট গুলোকে একটি ভাষা থেকে আরেকটি ভাষায় অনুবাদ করতে হবে।

অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, অনুবাদ করার সময় আপনাকে সেই কনটেন্ট এর অরিজিনাল মানে, ফরম্যাট এবং লেখার ধরণ/সিস্টেম গুলোকে অবশ্যই পূর্বের মতো বজায় রেখে লিখতে হবে। এতে যেকোন বই, ব্লগ, ওয়েবসাইট, রিসার্চ পেপার, প্রজেক্ট ইত্যাদি ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় কথা বলা লোকেদের জন্য ট্রান্সলেশন করানো হয়ে থাকে।

৭. টাইপিং জব সাইট

অনলাইনে বিভিন্ন ধরণের টাইপিং জব ওয়েবসাইট গুলোকে কাজে লাগিয়ে আপনি ঘরে বসে টাইপিং করে ইনকাম করতে পারবেন। তবে অবশ্যই মনে রাখা দরকার যে, বিভিন্ন জবস ওয়েবসাইট গুলোতে ভিন্ন ভিন্ন ধরণের টাইপিং কাজ গুলো পাওয়া যেতে পারে।

তবে আপনার শুধুমাত্র সেই কাজ গুলো করা দরকার। যেগুলোতে আপনার কিছুটা হলেও রুচি, নলেজ এবং দক্ষতা রয়েছে। কেননা আপনি অন্যান্য কাজে নজর বা ফোকাস দিলে শুধু শুধু আপনার সময় নষ্ট হবে।

অনলাইনে টাইপিং জব করার জন্য কি কি ধরণের সাইট পাওয়া যাবে?

১. Rev.com এবং TranscribeMe ইত্যাদির মতো বিভিন্ন ধরণের ট্রান্সক্রিপশন পরিষেবা প্রদানকারী সাইট গুলো রয়েছে। যেগুলো খুব সহজে টাইপিং জব করে ইনকাম করা সম্ভব।

২. Microworkers এর মতো ওয়েবসাইট গুলোও আপনি অনলাইনে সার্চ করলে পেয়ে যাবেন। যেখানে বিভিন্ন ধরণের ডাটা এন্ট্রি রিলেটেড টাইপিং কাজগুলো করার সুযোগ রয়েছে।

৩. Branded Surveys, Survey Junkie ইত্যাদির মতো বিভিন্ন অনলাইন সার্ভে এবং মার্কেট রিসার্চ সাইট গুলোতে পেইড সার্ভের কাজ করে প্রতিনিয়ত ইনকাম করতে পারবেন। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর টাইপ করার মাধ্যমে তাদেরকে জানিয়ে দেয়া এবং নিজের মতামত প্রদান করার মতো কাজগুলো করা।

৪. আপনি যদি চান তাহলে বিভিন্ন ধরণের ব্লগ, ওয়েবসাইট, নিউজ কোম্পানি, ইত্যাদির জন্য ব্লগ/আর্টিকেল লিখতে পারবেন। আপনি উপরে উল্লেখিত ক্ষেত্রগুলোতে কাজ করে ইনকাম করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের সুযোগ সুবিধাও পাবেন।

৫. Upwork, Fiver, Indeed, LinkedIn ইত্যাদির মতো আন্তর্জাতিক অনেক জনপ্রিয় freelancing site গুলোতেও টাইপিং জব গুলো পাওয়া যাবে।

৬. Freelancer, Guru এবং PeoplePerHour এর মতো আন্তর্জাতিক মানের প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে টাইপিং সম্পর্কিত বিভিন্ন কাজ গুলো পেয়ে যাবেন। যার মাধ্যমে আপনি টাইপিং করে খুব সহজে ইনকাম করতে পারবেন।

৮. স্ক্রিপ্ট রাইটিং জব

আপনার হয়তো জানেন টিভিতে যে সিনেমা বা সিরিয়েল দেখছেন কিংবা ইউটিউবে যে ভিডিও গুলো দেখছেন। সেগুলো দেখতে এতটা ভাল লাগে কেন বলুন তো, কেনোই বা সবাই এগুলো নিয়মিত দেখে কখনও কি ভাবেছেন। এতোটা সাজানো গুছানো ডায়লগ প্রতিটা পর্ব বা এপিসোড গুলো কিভাবে লোকেদের দেখানো হচ্ছে, কখনও কি একবার ভেবে দেখেছেন?

আসলে এই সাজানো গোছানো এর মূল কাজ প্রথমেই এই স্ক্রিপ্ট রাইটাররা করে থাকে। এর জন্যই স্ক্রিপ্ট রাইটিং জব বা কাজ গুলোর প্রচুর অবদান বা গুরুত্ব রয়েছে। একটি দারুন ও আকর্ষণীয় এবং সেরা স্ক্রিপ্ট তৈরি করা থাকলে যেকোন ধরণের মিডিয়া কনটেন্ট (ইউটিউবের ভিডিও, পডকাস্ট, কমার্শিয়াল ভিডিও/বিজ্ঞাপন) গুলোকে অনেক সহজে এবং সাজিয়ে গুছিয়ে তৈরি করা যেতে পারে।

আর যদি আপনি একজন স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসেবে কাজ করতে চাইন। তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাকে ভিডিও/কনটেন্ট এর ডায়লগ লেখা, সিন এর সুন্দর বিবরণ, অভিনেতারা কখন কি বলবে, এই সবকিছুই আপনাকে লেখতে ও তৈরি করতে হবে।

স্ক্রিপ্ট লিখে কিভাবে ইনকাম করবেন?

আপনার মধ্যে যদি স্ক্রিপ্ট লেখার কৌশল গুলো থাকে এবং আপনি যথেষ্ট ক্রিয়েটিভ হয়ে স্ক্রিপ্ট গুলো লিখতে পারেন। তাহলে অবশ্যই বিভিন্ন উপায় গুলোকে কাজে লাগিয়ে এই কাজটি করে ইনকাম করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্ম

আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্স স্ক্রিপ্ট লেখক হিসেবে কাজ করে। এই টাইপিং কাজ থেকে টাকা ইনকাম করতে চান। তাহলে আপনি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম গুলো ব্যবহার করতে পারেন।

যেমনঃ Upwork, LinkedIn ইত্যাদি এই ধরণের সাইট গুলোতে ক্লিনেটরা নিজের থেকেই স্ক্রিপ্ট রাইটিং রিলেটেড বিভিন্ন কাজ গুলোকে অফার করে থাকেন। যা আপনি এই সাইটে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে অফার গুলো কাজে লাগিয়ে স্ক্রিপ্ট রাইটিং করে ইনকাম করতে পারবেন।

ইউটিউব চ্যানেলের সাথে কাজ

এডুকেশন, গেমিং, টিউটোরিয়াল, কমেডি ইত্যাদি যেকোন ধরণের টপিক নিয়ে তৈরি বিভিন্ন ইউটিউবের চ্যানেল গুলো রয়েছে। যারা ভিডিও তৈরি করার জন্য আগে একটি ভালমানের স্ক্রিপ্ট তৈরি করে নিতে চান। শুরুতে এই কাজটি চ্যানেলের মালিকেরা নিজেই করেন।

যদিও খানিকটা জনপ্রিয়তা লাভ করার পর দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে এই কাজ গুলো করানো হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আপনিও বিভিন্ন ইউটিউব নির্মাতাদের সাথে সহযোগিতা করে আপনার স্ক্রিপ্ট রাইটিং পরিষেবাগুলো তাদেরকে অফার করতে পারেন।

৯. ব্লগিং (Blogging)

টাইপিং করে অর্থাৎ লেখালেখি করার মাধ্যমে অনলাইনে ঘরে বসে থেকে টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে ব্লগিং আমার সব থেকে প্রিয় এবং বাঞ্ছনীয় একটি চয়েস। এক্ষেত্রে আপনি কোন প্রকার ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম করতে পারবেন। গত তিন বছর ধরে আমি নিজেই ব্লগিং করে নিয়মিত ইনকাম করে আসতেছি।

আসলে একটি ব্লগ হচ্ছে আপনার অনলাইন ওয়েবসাইট বা ওয়েবপেজ। যেখানে আপনি আপনার সমস্ত চিন্তাভাবনা, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা গুলোকে লিখে পাবলিশ করতে পারবেন। যেহেতু আপনার ব্লগ সাইটটি অনলাইন মাধ্যমে যেকেউ যেকোন সময় একটি ওয়েব ব্রাউজার এর সাহায্যে এক্সেস করতে পারবেন।

তাই আপনার ব্লগ সাইটে যেকোন দেশ বা যেকোন জায়গা থেকেই ভিসিটর্সরা প্রবেশ করে আপনার পাবলিশ করা আর্টিকেল গুলো পড়তে পারবেন। আপনি চাইলে ভ্রমণ, শিক্ষা, রান্না, ফ্যাশন, টিউটোরিয়াল, অর্থ, ইত্যাদি যেকোন বিষয়েই কনটেন্ট লিখতে ও নিজের ব্লগ সাইটে পাবলিশ করতে পারবেন। এভাবে ব্লগিং করে বা লেখালেখি করে মাসে ভাল পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

কিভাবে ব্লগ থেকে ইনকাম করবেন?

একবার যখন আপনার ব্লগ সাইটে প্রচুর ভিসিটর্সরা নিয়মিত আসতে শুরু করবে। তখন আপনি বিভিন্ন মাধ্যমে নিজের ব্লগ থেকে নিয়মিত বা আবার অনেক সময় প্যাসিভ ইনকামও করতে পারবেন। যেমনঃ

১. আপনি আপনার ব্লগে বিভিন্ন ধরণের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। লোকেরা যখন আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন গুলো দেখবে বা সেগুলোতে ক্লিক করবে, তখন আপনার ভাল পরিমাণে টাকা ইনকাম করবেন।

২. আবার আরেকটি মাধ্যমে হচ্ছে অন্যান্য কোম্পানি/ব্র্যান্ড গুলোর পণ্য এবং পরিষেবা গুলো প্রচার করে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে। আপনার চাইলে এভাবে বিভিন্ন কোম্পানির কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।

৩. বিভিন্ন কোম্পানি এবং ব্র্যান্ড গুলোর সাথে চুক্তি করে তাদের পণ্যের বিষয়ে পেইড কিংবা স্পন্সরড রিভিউ/কনটেন্ট লিখে ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে।

৪. ই-বুক, ডিজিটাল প্রডাক্ট, নিজের কোন কোর্স ইত্যাদি নিজের ব্লগের মাধ্যমে অনলাইনে বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন।

৫. এছাড়াও আরও বিভিন্ন উপায় গুলো রয়েছে যেগুলোকে কাজে লাগিয়ে একটি ব্লগ থেকে টাকা ইনকাম করা যেতে পারে।

১০. ক্যাপচা টাইপিং জব

যদি আপনি কোন ধরণের আর্টিকেল বা স্ক্রিপ্ট না লিখে সরাসরি টাইপিং করে টাকা উপার্জন করতে চান। তাহলে আপনার জন্য সেরা একটি মাধ্যম হচ্ছে ক্যাপচা টাইপিং জব। ক্যাপচা হচ্ছে সেই distorted letters, numbers, বা images গুলো যেগুলো বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার সময় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অনলাইনে কোন ধরণের ফর্ম ফিলাপ বা একাউন্ট লগইন করার সময় আমাদের দেখানো হয়ে থাকে। এখন ভাবার বিষয় হচ্ছে এই ক্যাপচা কোড বা নম্বর গুলো টাইপ করার জন্য কিভাবে ইনকাম হবে।

ক্যাপচা টাইপিং কাজ করে কিভাবে ইনকাম করবেন?

ক্যাপচা এন্ট্রি বা টাইপিং এর কাজ করে ইনকাম করার জন্য আপনাকে নিচে বলে দেওয়া পয়েন্ট গুলোকে অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। মনে রাখবেন বেশিরভাগ ক্যাপচা টাইপিং জব গুলোতে আপনারা বেশ ভাল প্রতি ঘন্টায় প্রায় $2 থেকে $5 মতো ইনকাম করে নিতে পারবেন।

তবে হ্যাঁ, আপনার ইনকামের পরিমাণ কিন্তু আপনার টাইপিং স্পিড এবং নির্ভুলতার উপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করবে। আপনি বর্তমানে অনলাইনে Captcha Typers, SolveCaptcha এবং 2CAPTCHA এর মতো অনেক paid captcha solving jobs সাইট পেয়ে যাবেন। এই সাইট গুলোতে গিয়ে নিজের একটি ফ্রি একাউন্ট তৈরি করেই আপনি কাজ শুরু করে দিতে পারেন।

মনে রাখবেন, ওয়েবসাইট গুলোতে গিয়ে আপনারা ভিন্ন ভিন্ন ধরণের ক্যাপচা গুলোকে পূরণ করে প্রতি ১০০০ টি ক্যাপচা পূরণের জন্য প্রায় $0.5 থেকে $3 ইনকাম করে নিতে পারবেন। এই কাজটিকে আপনারা ঘরে বসে আপনার ইচ্ছা মতো যেকোন সময় করতে পারবেন।

এছাড়াও যদি আপনি মোবাইল দিয়ে টাইপিং জব করতে চান, সেক্ষেত্রেও ক্যাপচা টাইপিং জব গুলো আপনি খুব সহজে করতে পারবেন।

টাইপিং করে টাকা ইনকাম করার জন্য কিসের প্রয়োজন হবে?

সাধারণত অনলাইন টাইপিং জবস গুলো করতে আপনার তেমন কোন প্রয়োজনীয়তা বিষয় সম্পর্কে ভাবতে হবে না। তবে হ্যাঁ, এক্ষেত্রে আপনার কাছে কিছু সাধারণ বা বেসিক টুলস এবং আধুনিক ডিভাইস অবশই থাকতে হবে। অনলাইনে টাইপিং এর কাজ গুলো করার জন্য প্রথমেই আপনার ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ পিসি এবং দ্রুতগতীর ইন্টারনেট কানেকশন অবশই থাকতে হবে।

এছাড়াও কিছু কিছু ক্ষেত্রে নানান টাইপিং জব ওয়েবসাইট গুলো মোবাইল দিয়ে কাজ করে ইনকাম করার সুবিধাও আপনাকে দিতে পারে। তাই এই ধরণের টাইপিং এর সাথে জড়িত কাজ গুলো করার ক্ষেত্রে। ভাল টাইপিং স্পিড এবং নির্ভুলতা সব থেকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং নজরে রাখতে হবে।

তবে আপনি চাইলে টাইপিং স্পিড বাড়ানোর জন্য নানান অনলাইন টাইপিং কোর্স এবং ফ্রি টেস্ট গুলো করার মাধ্যমে নিজের টাইপিং এর দ্রুততা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নির্ভুলতার মান উন্নত করা।

অনলাইন টাইপিং জব গুলো কেন আপনার জন্য লাভজনক হতে পারে?

টাইপিং জব গুলো অনেকটা সহজ এবং যেকেউ এই ধরণের কাজগুলো যেকোন জায়গা থেকে, এমনকি নিজের ঘরে বসেও করতে পারবে। আপনি যদি ফুলটাইম টাইপিং কাজ করেন কিংবা আপনি এখনও স্কুল, কলেজ পড়েন।

সেক্ষেত্রেও আপনি শুধুমাত্র নিজের ল্যাপটপ বা অনেক ক্ষেত্রে নিজের মোবাইল দিয়েও টাইপিং রিলেটেড নানান কাজগুলো আপনি আরামে ঘরে বসে করতে পারবেন। ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ইনকাম করার এটা সত্যি একটি অনেক কার্যকরী উপায়।

এছাড়া বর্তমানে বেশিরভাগ টাইপিং জব গুলোতে, টাইপিং করার অভিজ্ঞতা ছাড়া। আর তেমন কোন দক্ষতা কিংবা কোন ডিগ্রীর প্রয়োজন হয় না। তাই এই কাজগুলো যেকেউ চাইলে ঘরে বসে করতে পারবে।

মোবাইল দিয়ে কি টাইপিং জব গুলো করা যাবে?

বর্তমানে মোবাইল দিয়ে করা যাবে এমন অনেক টাইপিং রয়েছে। আপনি যেকোন জায়গায় বসে যেকোন সময় পার্ট-টাইম টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সাধারণত বেশিরভাগ টাইপিং জব গুলো করার ক্ষেত্রে একটি ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটার থাকলে অনেক ভাল হয়।

কেননা টাইপিং এর সেক্ষে ল্যাপটপ/কম্পিউটার আপনাকে অনেক ভাবে সাহায্য করবে, এতে করে আপনি নির্ভুল এবং খুব দ্রুত টাইপিং করতে পারবেন। তবে যদি আপনার কাছে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ না থাকে। তাহলে আপনি data entry, transcription, translation, script-writing, content writing ইত্যাদির মতো জনপ্রিয় টাইপিং কাজ গুলো হাতে থাকা মোবাইলের মাধ্যমে করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে অবশ্যই একটি প্রয়োজনীয় বিষয় হচ্ছে একটি স্ট্যাবল ইন্টারনেট কানেকশন এবং সাধারণ টাইপিং দক্ষতা। আপনার মাঝে যদি এই দক্ষতা এবং ইন্টারনেট কানেকশন থাকে, তাহলে আপনি মোবাইল দিয়ে টাইপিং এর কাজ করেও ইনকাম করতে পারবেন।

শেষকথা

এই আর্টিকেলে টাইপিং করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার আসল উপায় আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। যেগুলোর মাঝে থেকে আপনি আপনার যোগ্যতা ও সামর্থ্য অনুযায়ী যেকোন একটি বেছে নিতে পারেন আপনার অনলাইন ক্যারিয়ার হিসেবে। যেখানে কাজ করে আপনি যশ ও খ্যাতি উভয়ই পেতে পারেন।

কিন্তু সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে অবশ্যই একটু ভাবনা-চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিবেন। যে কাজটি আপনার ভাল লাগে, যে কাজে আপনার মন বসবে কাজ করে শান্তি পাবেন। যেটি আপনি দীর্ঘদিন যাবত চালিয়ে যেতে পারবেন। আমি মনে করি সেটি আপনার নির্বাচন করা উচিত। তবেই সাফল্যের চুড়ায় পৌঁছাতে পারবেন।

আর্টিকেলটি পড়ে কোন বিষয় যদি না বুঝে থাকেন। তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন আর আর্টিকেলটি যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। এরকম জানা অজানা তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট এর সাথে থাকুন। ধন্যবাদ।