অনলাইন ইনকাম

কোন কাজ শিখে সহজে ইনকাম শুরু করা যাবে

বর্তমান যুগে প্রযুক্তির উন্নতির ফলে অনলাইনে আয়ের সুযোগ আগের চেয়ে অনেক সহজ ও ব্যাপক হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে যারা দ্রুত আয় করতে চান, তাদের জন্য বিভিন্ন স্কিল শেখার মাধ্যমে অনলাইনে ইনকামের দরজা উন্মুক্ত হয়েছে।কোন কাজ শিখে সহজে ইনকাম শুরু করা যাবেতবে সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া কোনো কাজেই সফল হওয়া সম্ভব নয়। আজকের বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, ভিডিও এডিটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টসহ নানা ধরনের কাজ শেখার মাধ্যমে সহজেই আয় করা যায়।

এসব কাজ শেখা তুলনামূলকভাবে সহজ এবং কম সময়ের মধ্যে ভালো উপার্জনের সুযোগ তৈরি করে। এই লেখায় আমরা এমন কিছু দক্ষতার কথা জানব, যেগুলো দ্রুত শেখা সম্ভব এবং যার মাধ্যমে সহজেই অনলাইন কিংবা অফলাইনে আয় শুরু করা যায়।

সঠিক দক্ষতা অর্জন এবং নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে যে কেউই অর্থ উপার্জনের একটি নির্ভরযোগ্য পথ তৈরি করতে পারেন।

কোন কাজ শিখে সহজে ইনকাম শুরু করা যাবে?

নিচে কোন কাজ শিখে সহজে ইনকাম শুরু করা যাবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ

১. অনলাইন থেরাপি ও ওয়েলনেস কোচিং

যদি সাইকোলজি বা লাইফ কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে লোকজনকে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে গাইড করা যায়।

২. ভিডিও এডিটিং

ইউটিউব এবং সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য ভিডিও এডিটিংয়ের বিশাল চাহিদা আছে। CapCut, Premiere Pro, DaVinci Resolve দিয়ে কাজ শিখে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারো।

৩. কনটেন্ট রাইটিং বা কপিরাইটিং

যদি ইংরেজি বা বাংলা ভালো জানো, তাহলে আর্টিকেল রাইটিং, ব্লগিং, বা কপিরাইটিং করে ইনকাম করতে পারো। Fiverr, Upwork, ও Medium এ লেখালেখির কাজ পাওয়া যায়।

৪. ডিজিটাল মার্কেটিং (Facebook/Instagram Ads, SEO)

বিভিন্ন বিজনেসের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং (Facebook, Google Ads, SEO) করতে পারলে সহজে ক্লায়েন্ট পাওয়া যায়।

৫. ড্রপশিপিং বা ই-কমার্স

Shopify বা WooCommerce দিয়ে অনলাইন স্টোর খুলে পণ্য বিক্রি করতে পারো। ইনভেস্টমেন্ট কম লাগবে, কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং জানতে হবে।

৬. প্রোগ্রামিং (Web Development, App Development)

যদি লং-টার্ম ক্যারিয়ার বানাতে চাও, তাহলে Web Development বা App Development (HTML, CSS, JavaScript, Python) শিখতে পারো।

৭. ভয়েস ওভার বা পডকাস্টিং

ভালো গলা থাকলে ভয়েসওভার বা অডিও বুক রেকর্ডিং করে আয় করতে পারো। Fiverr বা Voices.com এ সহজেই কাজ পাওয়া যায়।

৮. ডাটা এন্ট্রি বা ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট

টাইপিং স্পিড ভালো থাকলে ডাটা এন্ট্রি বা ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ শুরু করতে পারো।

৯. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট

অনেক বিজনেস তাদের Facebook, Instagram, LinkedIn, বা TikTok ম্যানেজ করার জন্য লোক খোঁজে।

কাজ: পোস্ট করা, কমেন্ট মডারেট করা, এনগেজমেন্ট বাড়ানো।

কোথায় কাজ পাওয়া যায়: Fiverr, Upwork, PeoplePerHour।

১০. ট্রান্সলেশন বা সাবটাইটেল তৈরি

যদি ইংরেজি বা অন্য ভাষা জানো, তাহলে ভিডিওর জন্য সাবটাইটেল তৈরি করতে পারো। Netflix, YouTube বা অনলাইন কোর্সের জন্য এই কাজের অনেক চাহিদা আছে।

ওয়েবসাইট: Rev, GoTranscript, Fiverr।

আরও পড়ুনঃ কিভাবে মাসে পাঁচ হাজার টাকা আয় করার উপায়

১১. অনলাইন টিউশনি

গণিত, ইংরেজি, ফিজিক্স, বা অন্য বিষয় জানলে Zoom/Google Meet এ টিউশনি করতে পারো।

বাংলাদেশি প্ল্যাটফর্ম: 10 Minute School, Bohubrihi।

আন্তর্জাতিক: Preply, Wyzant, Chegg।

১২. প্রিন্ট অন ডিমান্ড (POD)

T-shirt, মগ, হুডি ডিজাইন করে Amazon (Merch by Amazon), Redbubble, বা Teespring এ বিক্রি করতে পারো। লোগো ডিজাইনের অভিজ্ঞতা থাকলে এটা সহজ হবে।

১৩. ডকুমেন্ট কনভার্সন বা ফরম্যাটিং

PDF to Word, Excel Formatting, Resume Formatting ইত্যাদি সহজ কাজ শিখে Fiverr এ শুরু করতে পারো।

১৪. ভয়েস চ্যাট বা কাস্টমার সার্ভিস

বড় কোম্পানিগুলো রিমোট কাস্টমার সার্ভিস বা চ্যাট সাপোর্টের জন্য লোক নেয়। ওয়েবসাইট: LiveOps, ModSquad, Upwork।

১৫. থাম্বনেইল ডিজাইন

YouTube, Facebook, Instagram এর জন্য আকর্ষণীয় থাম্বনেইল ডিজাইন করা শিখে ইনকাম করা যায়। Canva, Photoshop দিয়ে সহজেই কাজ করা যায়।

১৬. রিমোট ডাটা অ্যানালিটিক্স

Excel, Google Sheets, বা Power BI ব্যবহার করে বিজনেসের জন্য রিপোর্ট তৈরি করা শিখলে ভালো আয় করা যায়। কোথায় শিখবে: Coursera, Udemy, YouTube।

১৭. NFT আর্ট তৈরি

ডিজিটাল আর্ট বা 3D ডিজাইন শিখে NFT মার্কেটে বিক্রি করতে পারো। ওয়েবসাইট: OpenSea, Rarible

১৮. অনলাইন সার্ভে ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

Swagbucks, InboxDollars-এর মতো সাইটে অনলাইন সার্ভে করে ইনকাম করা যায়। Amazon, ClickBank, CJ Affiliate এ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করা যায়।

১৯. পডকাস্টিং বা অডিও কনটেন্ট তৈরি

Spotify, Apple Podcasts এ নিজের পডকাস্ট চালু করতে পারো। স্পন্সরশিপ বা অ্যাফিলিয়েট লিংকের মাধ্যমে ইনকাম হয়।

২০. ড্রোন ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি

বিয়ের ইভেন্ট, রিয়েল এস্টেট, ট্রাভেল ভিডিওর জন্য ড্রোন ফটোগ্রাফির অনেক চাহিদা আছে। শিখতে হবে: ড্রোন ও ভিডিও এডিটিং।

২১. স্টক ফটোগ্রাফি ও ভিডিও বিক্রি

Shutterstock, Adobe Stock, Getty Images এ ফটোগ্রাফি বা ভিডিও আপলোড করে প্যাসিভ ইনকাম করা যায়।

২২. কাস্টমাইজড গিফট বা হ্যান্ডমেড পণ্য বিক্রি

অনলাইন বা লোকাল মার্কেটে কাস্টমাইজড গিফট (T-shirt, মগ, ফোন কভার, জুয়েলারি) বিক্রি করতে পারো। Instagram, Facebook, Daraz বা Etsy-তে স্টোর খুলে বিক্রি করা যায়।

২৩. ওয়েবসাইট টেস্টিং

নতুন ওয়েবসাইট বা অ্যাপের ইউজার এক্সপেরিয়েন্স টেস্ট করে ইনকাম করতে পারো। ওয়েবসাইট: UserTesting, TryMyUI, UTest

২৪. ই-বুক লেখা ও বিক্রি

যদি লিখতে ভালো বাসো, তাহলে Amazon Kindle বা Google Play Books এ ই-বুক বিক্রি করতে পারো।

২৫. ক্যারিয়ার কোচিং বা লাইফ কোচিং

ব্যক্তিগত উন্নয়ন, ক্যারিয়ার গাইডলাইন, বা মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে মানুষকে অনলাইন কোচিং দিতে পারো।

২৬. স্ক্রিপ্ট রাইটিং (YouTube/Ads/Films)

যদি গল্প বলা বা স্ক্রিপ্ট লেখার অভ্যাস থাকে, তাহলে YouTube ভিডিও বা বিজ্ঞাপনের জন্য স্ক্রিপ্ট লিখে আয় করতে পারো।

২৭. মেমে মার্কেটিং (Funny Content Creation)

ফানি মিম তৈরি করে Instagram, Facebook, বা Twitter এ বড় পেজ বানিয়ে ব্র্যান্ড স্পন্সরশিপ নিতে পারো।

২৮. ভার্চুয়াল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট

অনলাইনে ওয়েবিনার, ভার্চুয়াল কনফারেন্স বা ইভেন্ট আয়োজনের কাজ করতে পারো।

২৯. অনলাইন কোর্স তৈরি ও বিক্রি

যদি কিছু একটা ভালো পারো, সেটা শিখিয়ে Udemy, Skillshare, বা Teachable এ কোর্স বিক্রি করতে পারো।

৩০. গেম টেস্টিং ও গেম স্ট্রিমিং

নতুন গেম টেস্ট করে ফিডব্যাক দিয়ে বা Facebook/YouTube এ গেম খেলে লাইভ স্ট্রিমিং করে ইনকাম করা যায়।

আরও পড়ুনঃ ফ্রি টাকা ইনকাম apps

৩১. ক্যারিকেচার বা কার্টুন পোর্ট্রেট ডিজাইন

অনলাইনে ডিজিটাল ক্যারিকেচার বা কার্টুন স্টাইলের পোর্ট্রেট বানিয়ে বিক্রি করা যায় (Fiverr, Instagram, বা Etsy তে)।

৩২. সাইবার সিকিউরিটি বা বাগ বাউন্টি

ওয়েবসাইটের সিকিউরিটি টেস্ট করে রিপোর্ট করলে বড় কোম্পানিগুলো টাকা দেয় (Bugcrowd, HackerOne)।

৩৩. 3D মডেলিং ও প্রিন্টিং

3D ডিজাইন শিখে (Blender, Fusion 360) ডিজিটাল প্রোডাক্ট বা প্রিন্টিং সেবা দিতে পারো।

৩৪. অনলাইন রিসার্চ বা ডেটা স্ক্র্যাপিং

বিভিন্ন কোম্পানির জন্য অনলাইন রিসার্চ, তথ্য সংগ্রহ বা ডেটা বিশ্লেষণ করা যায়।

৩৫. ওয়ার্ডপ্রেস ও Shopify ওয়েবসাইট সেটআপ

বিজনেসের জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে দিতে পারো (কোন কোডিং লাগবে না, শুধু থিম কাস্টমাইজ করতে হবে)।

৩৬. লোকাল ডেলিভারি সার্ভিস বা ড্রপসার্ভিসিং

নিজের শহরে ছোট পণ্য বা খাবার ডেলিভারি সার্ভিস চালু করতে পারো।

৩৭. মোবাইল অ্যাপ টেমপ্লেট বিক্রি

Android/iOS অ্যাপ টেমপ্লেট তৈরি করে বিক্রি করতে পারো (CodeCanyon, ThemeForest)।

৩৮. ফিটনেস ট্রেইনার বা ডায়েট কনসালটিং

যদি ফিটনেস বা নিউট্রিশন সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকে, তাহলে অনলাইনে ট্রেইনার হিসেবে কাজ করতে পারো।

৩৯. স্পোকেন ইংলিশ বা ভাষা শেখানো

অনলাইনে স্পোকেন ইংলিশ বা অন্য ভাষা শেখানোর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারো (Preply, iTalki)।

৪০. AI টুল ব্যবহার করে অটোমেটেড বিজনেস

ChatGPT বা অন্যান্য AI টুল দিয়ে কন্টেন্ট জেনারেশন, ইমেজ এডিটিং, বা ভিডিও বানানোর ব্যবসা করতে পারো।

৪১. কাস্টমাইজড স্টিকার ও এমোজি ডিজাইন

WhatsApp, Telegram বা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের জন্য কাস্টম স্টিকার বানিয়ে বিক্রি করা যায়। ওয়েবসাইট: Fiverr, Etsy, বা ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।

৪২. ফেসবুক ও ইউটিউব পেজ ম্যানেজমেন্ট

অনেক ইউটিউবার ও বিজনেস তাদের Facebook, Instagram, YouTube চ্যানেল ম্যানেজ করার জন্য লোক খোঁজে। কাজ: ভিডিও আপলোড, পোস্ট রাইটিং, কমেন্ট মডারেশন, এনগেজমেন্ট বাড়ানো।

৪৩. ডকুমেন্ট প্রুফরিডিং ও এডিটিং

যদি ভালো গ্রামার ও টাইপিং স্কিল থাকে, তাহলে একাডেমিক বা বিজনেস ডকুমেন্ট প্রুফরিডিং করতে পারো। ওয়েবসাইট: Fiverr, Upwork, ProofreadingServices

৪৪. ভার্চুয়াল রিয়েল এস্টেট (Metaverse & Domain Flipping)

মেটাভার্স বা ব্লকচেইন ভিত্তিক ভার্চুয়াল রিয়েল এস্টেট কেনা-বেচা করতে পারো।

Domain Flipping: ভালো মানের ডোমেইন কিনে বেশি দামে বিক্রি করা যায়।

ওয়েবসাইট: Flippa, Sedo।

৪৫. স্মার্টফোন ফটোগ্রাফি ও মোবাইল এডিটিং

যদি DSLR না থাকে, তাহলে স্মার্টফোন দিয়েই ভালো ছবি তুলে Shutterstock, Adobe Stock এ বিক্রি করা যায়। Lightroom বা Snapseed দিয়ে ছবি এডিট করলে কোয়ালিটি ভালো হয়।

৪৬. স্মার্ট রিজিউমে ও সিভি ডিজাইন

চাকরিপ্রার্থীদের জন্য আকর্ষণীয় সিভি ডিজাইন করে বিক্রি করা যায়। ওয়েবসাইট: Fiverr, Upwork, LinkedIn।

৪৭. ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড তৈরি ও মনিটাইজেশন

Facebook, TikTok, YouTube, বা Instagram এ নিজের ব্র্যান্ড তৈরি করে স্পন্সরশিপ, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বা পেইড কনটেন্ট দিয়ে ইনকাম করা যায়।

৪৮. ভিজুয়াল স্টোরিটেলিং ও ইনফোগ্রাফিক ডিজাইন

ইনফোগ্রাফিক ডিজাইন করে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বা ব্লগারদের জন্য কন্টেন্ট তৈরি করা যায়। ওয়েবসাইট: Canva, Adobe Illustrator, Piktochart।

৪৯. ফ্রিল্যান্স অডিও ও পডকাস্ট এডিটিং

পডকাস্ট এডিট করে বিক্রি করা যায় (EQ, Noise Reduction, Background Music)। ওয়েবসাইট: Fiverr, Upwork, Podbean।

৫০. ক্রিপ্টো ট্রেডিং ও NFT ইনভেস্টমেন্ট

যদি বিনিয়োগ করতে চাও, তাহলে ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং বা NFT ফ্লিপিং করতে পারো। তবে এখানে রিস্ক আছে, তাই ভালোভাবে শিখে শুরু করাই ভালো।

৫১. স্মার্ট অ্যাড ব্রোকারেজ (Ad Arbitrage)

Facebook/Google/Youtube Ads চালিয়ে ট্রাফিক এনে ব্লগ বা অ্যাফিলিয়েট লিংকে রিডাইরেক্ট করা।

৫২. WhatsApp/Telegram বট ডেভেলপমেন্ট

বিজনেসের জন্য অটোমেটেড চ্যাটবট তৈরি করা যায় (ChatGPT, ManyChat, Chatfuel)

৫৩. DIY ও হস্তশিল্প ব্যবসা

হাতে তৈরি গয়না, ডেকোরেশন আইটেম, বা ক্যান্ডেল বানিয়ে অনলাইনে বিক্রি করতে পারো। ওয়েবসাইট: Facebook Marketplace, Etsy, Daraz।

৫৪. গিটার/পিয়ানো শেখানো (Virtual Music Classes)

গিটার, পিয়ানো বা অন্য কোনো মিউজিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট বাজানো জানলে অনলাইনে শেখানো যায়। ওয়েবসাইট: Udemy, Fiverr, Preply

৫৫. লাইভস্ট্রিমিং (Gaming/Entertainment/Events)

Facebook Gaming, Twitch, বা YouTube এ গেমিং, কমেডি, বা রিয়েল-টাইম রিয়েকশন ভিডিও লাইভ করে আয় করা যায়।

৫৬. ইউজার জেনারেটেড কনটেন্ট (UGC Creator)

বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জন্য রিভিউ ভিডিও, রিলস বা প্রোডাক্ট প্রমোশনাল ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করা যায়।

৫৭. অটোমেশন ও স্ক্রিপ্টিং সার্ভিস (Python, Zapier, AI Tools)

বিজনেসের কাজ সহজ করতে ছোট ছোট অটোমেশন টুল তৈরি করে বিক্রি করা যায়।

৫৮. অ্যাপ ও গেম রিস্কিনিং

রেডিমেড অ্যাপ/গেম কিনে তার ডিজাইন বা ফিচার পরিবর্তন করে নতুনভাবে বিক্রি করা যায় (কোডিং লাগবে না)।

৫৯. কন্টেন্ট রিপারপোজিং (Content Repurposing Service)

YouTube ভিডিওকে ব্লগে রূপান্তর, ব্লগকে ইনফোগ্রাফিকে রূপান্তর, বা Facebook পোস্টকে Twitter থ্রেডে রূপান্তর করা যায়।

৬০. লোকাল ট্রেনিং বা ওয়ার্কশপ আয়োজন

যদি কোনো বিশেষ স্কিল জানো, তাহলে সেটার উপর ছোটখাটো ওয়ার্কশপ বা ট্রেনিং প্রোগ্রাম চালিয়ে ইনকাম করতে পারো।

আরও পড়ুনঃ কোন গেমে টাকা পাওয়া যায়

৬১. কাস্টম সাউন্ড ইফেক্ট ও মিউজিক বিক্রি

YouTube, গেম ডেভেলপার ও পডকাস্টাররা ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বা সাউন্ড ইফেক্ট কেনে। ওয়েবসাইট: AudioJungle, Pond5, Fiverr।

৬২. ইন্সটাগ্রাম ফিল্টার ডিজাইন (AR Filters)

Facebook ও Instagram এর জন্য কাস্টম AR ফিল্টার বানিয়ে ইনকাম করা যায়। সফটওয়্যার: Spark AR Studio।

৬৩. ডিজিটাল স্টিকার ও GIF এনিমেশন বিক্রি

WhatsApp, Telegram, বা Giphy তে নিজের ডিজাইন করা স্টিকার ও GIF আপলোড করে ইনকাম করা যায়।

৬৪. কাস্টম ক্যারেক্টার ডিজাইন

অনেকে নিজের বা তাদের ব্র্যান্ডের জন্য ইউনিক ক্যারেক্টার ডিজাইন করাতে চায়। ওয়েবসাইট: Fiverr, Upwork, DeviantArt।

৬৫. স্কেচ নোট ও ভিজ্যুয়াল সামারি বানিয়ে বিক্রি

বিভিন্ন বই বা লেকচারের ভিজ্যুয়াল নোট বানিয়ে বিক্রি করতে পারো। ওয়েবসাইট: Gumroad, Etsy, Notion Marketplace।

৬৬. ইভেন্ট প্ল্যানিং ও কনসালটিং

অনলাইন বা অফলাইন ইভেন্ট (বিয়ে, পার্টি, বিজনেস ইভেন্ট) ম্যানেজ করার জন্য ফ্রিল্যান্সিং করতে পারো।

৬৭. কাস্টম ক্যালিগ্রাফি ও টাইপোগ্রাফি ডিজাইন

অনেকে ব্র্যান্ডিং বা ওয়েডিং ইনভাইটেশনের জন্য ইউনিক টাইপোগ্রাফি ডিজাইন খোঁজে।

৬৮. বাচ্চাদের গল্প বা শিক্ষামূলক কনটেন্ট তৈরি

YouTube, Amazon Kindle বা নিজস্ব ওয়েবসাইটে শিশুদের জন্য গল্প, কমিক্স বা ভিডিও কনটেন্ট বিক্রি করতে পারো।

৬৯. স্মার্ট হোম অটোমেশন সেটআপ সার্ভিস

স্মার্ট লাইট, ক্যামেরা, বা অটোমেটেড ডিভাইস সেটআপের জন্য লোকাল সার্ভিস দিতে পারো।

৭০. অনলাইন মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম চালানো

যদি কোনো স্কিলে এক্সপার্ট হও, তাহলে ছোট মেন্টরশিপ গ্রুপ চালিয়ে শিক্ষার্থীদের শেখাতে পারো।

৭১. শর্ট-ফর্ম ভিডিও এডিটিং (Reels/TikTok/YouTube Shorts)

Influencer বা ব্র্যান্ডদের জন্য Reels/TikTok এডিটিং করা এখন অনেক লাভজনক।

৭২. বুক কাভার ও ই-বুক ফরম্যাটিং

Amazon Kindle বা PDF ই-বুকের জন্য প্রফেশনাল কাভার ডিজাইন করা যায়।

৭৩. ভার্চুয়াল ওয়েডিং বা পার্টি প্ল্যানিং

অনেকে অনলাইনে বিয়ের বা ইভেন্টের ভার্চুয়াল আয়োজন করতে চায়।

৭৪. এআই টুল দিয়ে কন্টেন্ট জেনারেশন সার্ভিস

ChatGPT, MidJourney, বা Canva ব্যবহার করে ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, ও ডিজাইন তৈরি করে ইনকাম করা যায়।

৭৫. বুলেট জার্নাল ও ডিজিটাল প্ল্যানার ডিজাইন

স্টুডেন্ট ও প্রফেশনালদের জন্য কাস্টম ডিজিটাল প্ল্যানার ডিজাইন করা যায়।

৭৬. হস্তলিখিত চিঠি ও নোট সার্ভিস

হাতে লেখা চিঠি, আমন্ত্রণপত্র বা মেমোরেবল গিফট হিসেবে বিক্রি করা যায়।

৭৭. লিংকডইন প্রোফাইল অপ্টিমাইজেশন সার্ভিস

প্রফেশনালদের জন্য আকর্ষণীয় লিংকডইন প্রোফাইল সাজিয়ে দেওয়া যায়।

আরও পড়ুনঃ ফিচার লিখে আয়

৭৮. ছোট বিজনেসের জন্য ডিজিটাল ব্র্যান্ডিং প্যাকেজ তৈরি

লোগো, সোশ্যাল মিডিয়া কভার, বিজনেস কার্ড ও ব্র্যান্ড গাইডলাইন বানিয়ে বিক্রি করা যায়।

৭৯. ৩৬০° ফটো ও ভিডিও সার্ভিস

রিয়েল এস্টেট, ইভেন্ট বা রেস্টুরেন্টের জন্য ৩৬০° ছবি ও ভিডিও তৈরি করা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button