মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
বর্তমানে মোবাইল ফোন শুধুমাত্র যোগাযোগের জন্য নয়। বরং টাকা আয়ের একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। যেহেতু আমাদের হাতে থাকা মোবাইল ফোন সহজলভ্য, তাই এর ব্যবহারও দিনে দিনে ব্যাপকভাবে বেড়ে চলছে। আপনি কি অনলাইন থেকে পার্ট-টাইম কিংবা ফুলটাইম ভাল পরিমাণ টাকা আয় করতে চান?আপনার এই প্রশ্নের উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে প্রতি মাসে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন। মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার জন্য আপনাকে একটু কষ্ট করতে হবে। আজকের আর্টিকেলে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম?
নিচে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো দেওয়া হলোঃ
- ইউটিউব কনটেন্ট ক্রিয়েশন
- অনলাইন টিউটরিং
- ড্রপশিপিং
- সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
- প্যাসিভ ইনকাম অ্যাপস
- মাইক্রো টাস্ক সম্পাদন
- ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing)
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
- CPA মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয়
- অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয়
- কাস্টমার সাপোর্টের কাজ করে আয়
- অ্যাকাউন্ট বিক্রি করে আয়
১. ইউটিউব কনটেন্ট ক্রিয়েশন
মোবাইল দিয়ে ভিডিও তৈরি এবং এডিটিং করে সহজে ইউটিউবে আপলোড করা যায়। অনেক কনটেন্ট ক্রিয়েটর আছেন, যারা তাদের মোবাইল দিয়ে ভিডিও তৈরি করে মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করছেন।
ইউটিউবের মাধ্যমে টাকা আয় করার জন্য ভাল মানের কনটেন্ট, সাবস্ক্রাইবার ও ভিজিটর সংখ্যা প্রয়োজন, যা সময়ের সাথে সাথে বাড়ানো সম্ভব হয়। মোবাইলের উন্নত ক্যামেরা ও ভিডিও এডিটিং অ্যাপের সাহায্যে ভিডিও তৈরি করা এখন আরও অনেক সহজ হয়েছে।
২. অনলাইন টিউটরিং
অনলাইন টিউটরিং হচ্ছে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার আরেকটি জনপ্রিয় উপায়। এমন অনেক মোবাইল অ্যাপস রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে সহজে পড়ানো যায়। যেমনঃ Google Meet, Zoom, Telegram ও WhatsApp এর মতো প্ল্যাটফর্ম।
ইংরেজি, গণিত, ডিজিটাল মার্কেটিং, কনটেন্ট রাইটিং ও প্রোগ্রামিংয়ের মতো বিষয়ের উপর টিউটরিং সেবা প্রদান করে মোবাইল থেকে ভাল পরিমাণ টাকা আয় করা সম্ভব।
৩. ড্রপশিপিং
ড্রপশিপিং হচ্ছে এক ধরনের ই-কমার্স ব্যবসা। যেখানে আপনি কোন ধরনের পণ্য স্টক না রেখেই অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন। মোবাইল ফোন দিয়ে সহজে Shopify ও WooCommerce এর মতো প্ল্যাটফর্মে অ্যাক্সেস করে অনলাইন স্টোর তৈরি করা যায় এবং বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রি করা যায়।
ড্রপশিপিং একটি জনপ্রিয় ব্যবসায়িক মডেল। যেহেতু এতে কোন ধরনের স্টক করার প্রয়োজন পড়ে না, তাই মোবাইল দিয়ে সহজেই ব্যবসা পরিচালনা করা যায়।
৪. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
বর্তমানে অনেক ছোট ছোট ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান তাদের সোশ্যাল মিডিয়া পরিচালনা করার জন্য ফ্রিল্যান্স ম্যানেজার নিয়োগ করে থাকেন। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো মোবাইল ফোন ব্যবহার করে খুব সহজেই বিভিন্ন ধরনের পোস্ট তৈরি করা, কমেন্টের উত্তর দেওয়া ও সহজে বিজ্ঞাপন প্রচারণার কাজ করা যায়।
৫. প্যাসিভ ইনকাম অ্যাপস
বর্তমানে অনেক ধরনের অ্যাপস রয়েছে যা ব্যবহারকারীদের প্যাসিভ ইনকাম প্রদান করে থাকে। যেমনঃ Swagbucks, Rakuten ও গুগল Opinion Rewards।
আর এই অ্যাপস গুলোর মাধ্যমে সার্ভে পূরণ, ভিডিও দেখা, ওয়েবসাইট ভিজিট কিংবা শপিং করার মাধ্যমে কিছু পরিমাণ টাকা করা সম্ভব। যদিও এই আয়ের পরিমাণ খুবেই কম, তবে এটি ছোটখাটো খরচ মেটাতে আপনার সহায়ক হতে পারে।
৬. মাইক্রো টাস্ক সম্পাদন
মাইক্রো টাস্ক মানে হচ্ছে ছোট ছোট কাজ করা। যা সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করা সম্ভব হয়। Clickworker, Swagbucks ও Amazon Mechanical Turk এর মতো প্ল্যাটফর্মে ছোট ছোট কাজ মোবাইলের মাধ্যমে সম্পূর্ণ করে টাকা আয় করা সম্ভব। যেমনঃ ডেটা এন্ট্রি, সার্ভে পূরণ, লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করা, ভিডিও দেখা অথবা কোন নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে ভিজিট করা।
৭. ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing)
বর্তমানে অনলাইনে টাকা আয় করার অন্যতম একটি মাধ্যম হলো ফ্রিল্যান্সিং। যারা অনলাইনে ছোট ছোট কাজ করতে আগ্রহী যেমনঃ কন্টেন্ট রাইটিং, কপি রাইটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ট্রান্সলেশন, Upwork ও ফাইবারের মতো ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে কাজ শুরু করতে পারেন।
যদিও এসব প্লাটফর্মে কিছু কাজের জন্য বড় স্ক্রিনের প্রয়োজন হতে পারে। তবুও ছোটখাটো কাজগুলো মোবাইল ফোনে করতে কোন ধরনের সমস্যা হয় না।
৮. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে আয় করা অনেক সহজে। আপনার হাতে থাকা মোবাইল ব্যবহার করে বিভিন্ন পণ্যের লিঙ্ক শেয়ার করে কমিশন হিসাবে কিছু টাকা আয় করা সম্ভব। ইহা ব্লগ ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কিংবা ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে করা যেতে পারে।
অ্যামাজন ও ClickBank এর মতো অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগ দিয়ে আপনি বিভিন্ন পণ্যের লিঙ্ক শেয়ার করে ভাল পরিমাণ টাকা আয় করতে পারেন।
৯. CPA মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয়
Cost Per Action হলো সিপিএ মার্কেটিং এর ফুল ফর্ম। ইহা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মতোই একটি মার্কেটিং মাধ্যম। তবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর চেয়ে সিপিএ মার্কেটিং এর আয় কিছুটা কম। সাধারণত কোম্পানি গুলো তাদের নির্দিষ্ট কাস্টমারের তথ্য জানার জন্য CPA মার্কেটিং করেন।
যেখানে তারা বিভিন্ন ধরনের ফ্রী অফারের বিনিময়ে ক্রেতাদের সার্ভে করা, মোবাইল নাম্বার, জিপ কোড ও ইমেইল ইত্যাদি তথ্য নিয়ে থাকেন।
১০. অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয়
আপনার যদি ফটোগ্রাফি করা শখ থাকে। এই শখকে কাজে লাগিয়ে আপনিও মোবাইল দিয়েই ভাল পরিমাণ টাকা আয় করতে পারেন। আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি যদি ভালো মানে ছবি ক্যাপচার করতে সক্ষম হয়।
এবং আপনার যদি ফটোগ্রাফি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকে। সেক্ষেত্রে মোবাইল ফোন দিয়ে তোলা ছবি কিংবা ভিডিও বিক্রি করেও ভাল পরিমাণ টাকা আয় করতে পারেন। ছবি বিক্রি করার জন্য অসংখ্য ওয়েবসাইট রয়েছে।
মোবাইল ফটোগ্রাফি বিক্রির কিছুর জনপ্রিয় ওয়েবসাইটের নাম হলো Adobe Stock, iStock, 500px, Alamy, Dreamstime, 123RF, Envato ও Shutterstock ইত্যাদি ওয়েবসাইটে স্টক ইমেজ ছাড়াও প্রায় সকল ধরনের ছবিই কেনাবেচা করা যায়। আপনি যেকোন ধরনের ছবি এই ওয়েবসাইট গুলোতে বিক্রি করে ভাল পরিমাণ টাকা আয় করতে পারেন।
১১. কাস্টমার সাপোর্টের কাজ করে আয়
মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার আরও একটি সহজ কাজ হচ্ছে কাস্টমার সাপোর্টের কাজ করা। অনেক বড় বড় কোম্পানি আছে যারা কাস্টমার সাপোর্টের কাজের জন্য মানুষকে নিয়োগ দেন। এখন কাস্টমার সাপোর্টের কাজের মধ্যে অনেক ধরনের কাজ থাকে।
যেমনঃ সোশ্যাল মিডিয়াতে কাস্টমারের সাথে চ্যাট করার জন্য অনেক লোকের প্রয়োজন হয়। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলো কাস্টমার সাপোর্ট অথবা Customer Care Executive লিখে সার্চ দিলে এই সব কাজগুলা সহজে পেয়ে যাবেন।
১২. অ্যাকাউন্ট বিক্রি করে আয়
টাকা আয় করার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ইনস্টাগ্রামের অ্যাকাউন্ট বিক্রি করা। যেখানে আপনি আপনার ইনস্টাগ্রাম এর অ্যাকাউন্ট টি বিক্রি করে ভাল পরিমাণ টাকা আয় করতে পারেন। ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বিক্রি করার জন্য বর্তমানে বেশ কিছু জনপ্রিয় ওয়েবসাইট আছে।
আপনার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট যখন কেউ কিনতে আগ্রহী হবেন। তখন তাদের সাথে যোগাযোগ করে আপনি কাঙ্খিত মূল্যে অ্যাকাউন্টটি বিক্রি করতে পারেন। তাছাড়াও আপনার যখন একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।
তখন সেটা ক্রয় করার জন্য অনেকেই মেসেজের মাধ্যমে যোগাযোগ করবে। আর তাই আপনি চাইলে এভাবে সরাসরি এবং অ্যাকাউন্ট বিক্রি ভাল পরিমাণ টাকা আয় করতে পারেন।
মোবাইল দিয়ে আয় ইনকাম করার জনপ্রিয় অ্যাপস?
বিভিন্ন ধরনের অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে সহজেই টাকা আয় করা যায়। নিচে কিছু জনপ্রিয় অ্যাপের তালিকা দেওয়া হলোঃ
Shopify
ড্রপশিপিং এবং অনলাইন স্টোর পরিচালনার জন্য এই অ্যাপটি ব্যবহার করা হয়।
Google Opinion Rewards
সার্ভে পূরণ করে কিছু পরিমাণ টাকা আয় করার জন্য গুগল Opinion Rewards একটি জনপ্রিয় অ্যাপ।
Upwork ও Fiverr
ফাইবার ও আপওয়ার্ক ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম। যেখানে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে সহজেই কাজ করা যায়।
YouTube Studio
ইউটিউব স্টুডিও হলো কনটেন্ট ক্রিয়েশন এবং তার বিশ্লেষণ করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার সুবিধা ও অসুবিধা?
মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার সুবিধা?
অবস্থান নিরপেক্ষতা
মোবাইল দিয়ে যেকোন স্থান থেকে কাজ করা যায়, তাই ভ্রমণের সময়ও টাকা আয় করা সম্ভব হবে।
বিনিয়োগ প্রয়োজন নেই
কিছু কিছু কাজ শুরু করতে বড় কোন ধরনের বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র ইন্টারনেট সংযোগ ও কিছু সময়ের প্রয়োজন।
সহজলভ্যতা
মোবাইল ফোন সব সময় যেহেতু আপনার কাছে থাকে। তাই আয়ের সুযোগও সর্বদা হাতের নাগালে।
সহজ ব্যবহার
মোবাইল ফোন ব্যবহার করা খুবেই সহজ। তাই মোবাইলের মাধ্যমে টাকা আয় করার কাজগুলো সহজে সম্পন্ন করা যায়।
মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার অসুবিধা?
স্বল্প আয়
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনেক আয়ের উপায়ই খুব কম পরিমাণ টাকা প্রদান করে থাকে। অধিক আয় করতে হলে আপনাকে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে হতে পারে।
কনটেন্টের গুণগত মান
মোবাইল দিয়ে তৈরি করা কনটেন্টের গুণগত মান অনেক সময় খারাপ হতে পারে। যেমনঃ উন্নতমানের ভিডিও এডিট করার জন্য বড় স্ক্রিনের প্রয়োজন পড়তে পারে।
ছোট স্ক্রিনের সমস্যা
মোবাইলে বড় পরিসরে কাজ করা কখনও কখনও আপনাে অসুবিধাজনক হতে পারে। বিশেষ করে যদি কোন ধরনের বড় প্রজেক্ট কিংবা ডকুমেন্টস এডিটিং প্রয়োজন হয়।
ইন্টারনেট সংযোগ
আপনার এলাকায় যদি স্থিতিশীল ইন্টারনেট সংযোগ না থাকে। তাহলে মোবাইল ফোন দিয়ে কাজ করা অনেকটা কষ্টকর হতে পারে।
মোবাইল দিয়ে আয় করার কি সম্ভব?
সত্যি মোবাইল ফোন দিয়ে টাকা আয় করা সম্ভব। তবে এর জন্য আপনাকে সঠিক গ সময় ও ধৈর্য প্রয়োজন। মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার সুবিধা হচ্ছে ইহা খুব সহজলভ্য এবং যেকোন স্থানে সীমাবদ্ধ নয়। যেকোন সময়, যেকোন স্থান থেকে কাজ শুরু করা যায়।
তবে এর সীমাবদ্ধতাগুলোও বিবেচনা করতে হবে। মোবাইল ফোন দিয়ে টাকা আয় করতে হলে আপনাকে বাস্তবসম্মত হতে হবে। অনেক বিজ্ঞাপন কিংবা প্রচারণায় বলা হয় মোবাইল দিয়ে রাতারাতি হাজার হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। কিন্তু সত্যি বাস্তবে এটি সম্ভব নয়।
অনলাইনে টাকা আয় করতে হলে পরিশ্রম ও সময় উভয়ই প্রয়োজন। আপনি যদি ধৈর্য সহকারে কাজ করেন ও ক্রমাগত নিজের দক্ষতা বাড়াতে থাকেন। তাহলে মোবাইল ফোন দিয়েও একটি ভাল পরিমাণ টাকা আয় করতে পারেন।
শেষ কথা
মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার বিষয়ে অনেকের বিভিন্ন ধরনের মতামত থাকতে পারে। তবে সঠিক জ্ঞান, দক্ষতা ও ধৈর্যের মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে বৈধ উপায়ে ভাল পরিমাণ টাকা আয় করা সম্ভব। বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ড্রপশিপিং ও সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টের মতো মাধ্যমগুলো মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য টাকা আয় করার পথ খুলে দিয়েছে।
তবে ভুল ধারণা কিংবা অবাস্তব আশায় বিভ্রান্ত না হয়ে, সঠিকভাবে প্রচেষ্টা করলেই মোবাইল ফোন থেকে ভাল পরিমাণ আয় করা সম্ভব।