মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
বর্তমানে অনেক যুবকরা পড়াশোনা করার পর বাড়িতেই বেকার বসে থাকেন। তারা চাইলে মাসে খুব সহজেই বিশ হাজার টাকা আয় করতে পারেন। তবে মাসে বিশ হাজার টাকা আয় করতে হলে বিভিন্ন ধরণের নিয়ম সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। কারণ কিভাবে মাসে বিশ হাজার টাকা আয় করবেন তার উপায় সম্পর্কে জানলে আপনাদের কিছুটা ধারণা হবে। বর্তমানে টাকা আয় করার অনেক মাধ্যম রয়েছে। তার মধ্যে সহজ কিছু মাধ্যম রয়েছে যার সাহায্যে টাকা আয় করা যায়। আবার কিছু কঠিন মাধ্যমও রয়েছে যেগুলোতে টাকা আয় করতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। তবে আমরা আজকের আর্টিকেলটি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করব।
যেখানে আপনারা অনায়াসেই কাজ করে মাসে বিশ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। আর তাই সব কিছু বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়?
বর্তমান এই আধুনিক যুগে আপনার নিশ্চয় প্রতিমাসে বিশ হাজার টাকা আয় করতে চান। এজন্য আজকের আর্টিকেলটিতে এসেছেন। আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ পেশার কথা উল্লেখ করবো। যেখানে আপনি সামান্য দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে কাজ করলেই প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা গড়ে আয় করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ রিয়েল টাকা ইনকাম app
এজন্য আপনাদের সেই পেশা গুলো সম্পর্কে খুব ভালভাবে জানতে হবে। এবং যেকোন একটি পেশাতে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। নিম্নে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার বিভিন্ন ধরণের উপায় বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হলো। যেমনঃ
- ব্লগিং বা ওয়েবসাইট
- কনটেন্ট রাইটিং
- এসইও এক্সপার্ট
- ভিডিও এডিটিং
- ডাটা এন্ট্রি
- ওয়েব ডিজাইন
- গ্রাফিক ডিজাইন
- অনলাইন ট্রেডিং
- ফেসবুক মার্কেটিং
- ইউটিউবার
- টাইপিং জব
- মেকআপ আর্টিস্ট
- গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- অনলাইনে শিক্ষকতা ও টিচিং
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- ট্রান্সলেটর
- অনলাইন মার্কেটপ্লেসে পণ্য বিক্রি
- অনলাইন কাস্টমার সার্ভিস
- ফটোগ্রাফি
১. ব্লগিং বা ওয়েবসাইট
বর্তমানে টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয় মাধ্যম হল ব্লগিং বা ওয়েবসাইট। ব্লগিং করেও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অতি সহজেই মাসে বিশ টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়। আপনার নিজের ওয়েবসাইট থাকলে। আপনি অতি সহজেই ব্লগিং করে টাকা আয় করতে পারবেন।
ব্লগিং হচ্ছে ওয়েবসাইটে পোস্ট বা আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে আয় করা। আপনি নিজের অথবা অন্যজনের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে দেওয়ার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনাদের ব্লগিং করার জন্য ব্লগিং সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা থাকতে হবে। বর্তমানে অনেক ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
যারা ব্লগিং বিষয়ে পরিপূর্ণ ধারণা দিয়ে থাকে। এবং ব্লগিং কিভাবে করতে হয় তা শিক্ষা দিয়ে থাকে। আপনারা চাইলে সেই প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্লগিং শিখতে পারেন। আপনারা যেকোন বয়সের মানুষ ব্লগিং করতে পারেন। ব্লগিং করতে তেমন কোন অভিজ্ঞতার প্রয়োজন পড়ে না। কিছুদিন ট্রেনিং নেয়ার মাধ্যমেই শিখে নেওয়া যায়।
২. কনটেন্ট রাইটিং
আপনাদের মধ্যে যারা কন্টেন্ট রাইটিং সম্পর্কে জানেন তারা হয়তো আগে থেকেই জানেন কনটেন্ট রাইটিং করে অনলাইনে আয় করা খুবই সহজ। বর্তমানে কনটেন্ট রাইটিং কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যারা ব্লগিং করেন তারা প্রত্যেকে এই কনটেন্ট রাইটিং করে থাকেন। অনেকে আবার ব্লগিং করার জন্য কনটেন্ট রাইটার খুঁজে থাকে।
কনটেন্ট রাইটিং করার জন্য কিছু নিয়ম রয়েছে, সেগুলো অবশ্যই জানতে হয়। কনটেন্ট রাইটিং সম্পর্কে যদি আপনি জেনে থাকেন। তাহলে অতি সহজেই ঘরে বসে মাসে বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। বর্তমানে অনেক কোম্পানি কন্টেন্ট রাইটিং এর জন্য কনটেন্ট রাইটার নিয়োগ দিয়ে থাকেন।
কনটেন্ট রাইটিং করতে হলে আপনাকে জানতে হবে এসইও সম্পর্কে। একজন ভাল কনটেন্ট রাইটার হতে হলে অবশ্যই আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। যার ফলে আপনি কনটেন্ট রাইটিংকে পেশা হিসেবে নিতে পারেন। আপনারা চাইলে নিজের ওয়েবসাইটেও কনটেন্ট রাইটিং করে ইনকাম করতে পারেন।
কনটেন্ট রাইটিং শেখার জন্য বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরণের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেখানে আর্টিকেল রাইটিং শেখানো হয়। এছাড়াও কনটেন্ট রাইটিং করার জন্য বিভিন্ন ধরণের ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট রয়েছে। যেখানে আপনারা কনটেন্ট রাইটিং করে প্রতি মাসে পনেরো থেকে বিশ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম সাইট
৩. এসইও এক্সপার্ট
বর্তমান এই আধুনিক যুগে ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে এসইও খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এসইও মানে হয়তো আপমরা অনেক জানি না। এসইও এর মানে হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। অর্থাৎ কোন ওয়েবসাইটকে এসইও করে সার্চ ইঞ্জিনে রেংক করানোকে এসইও বলা হয়ে থাকে। একজন এসইও এক্সপার্ট এর কাজ হচ্ছে ওয়েবসাইট এর জন্য নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড খুঁজে বের করা।
এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট এর রেংক বাড়ানো সম্ভব। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে এই এসইও কাজের চাহিদা প্রচুর রয়েছে। বিদেশী ক্লায়েন্টরা তাদের ওয়েবসাইট রেংক করার জন্য এসইও এক্সপার্টদের কাজ দিয়ে থাকেন। আর এক্ষেত্রে বিদেশি ক্লায়েন্টরা এসইও কাজের জন্য ভাল একটা এমাউন্ট পেমেন্ট করে থাকে।
যার কারণে এসইও সেক্টরটি বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় একটি পেশা হয়ে দাড়িয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলোতে এসইও কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি এসইও এক্সপার্ট হয়ে থাকেন। তাহলে ক্লায়েন্টের ওয়েবসাইটের কাজ করে দিয়ে প্রতি মাসে অন্তত বিশ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারবেন।
৪. ভিডিও এডিটিং
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কাজের মধ্যে ভিডিও এডিট এর বেশ চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন ধরণের বড় কোম্পানিগুলো তাদের প্রচার-প্রচারণা চালানোর জন্য সৃজনশীল ভিডিও বানিয়ে থাকে। আর ভিডিওকে সৃজনশীল ও আকর্ষণীয় করে গড়ে তোলার জন্য ভিডিও এডিট করার প্রয়োজন হয়ে থাকে। আর এটি শুধু একমাত্র ভাল ভিডিও এডিটর করতে পারে।
আপনার যদি ভিডিও এডিটিং এর খুব ভাল দক্ষতা থেকে থাকে। তাহলে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ভিডিও এডিটিং আপনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে শিখে নিতে পারেন। আর ভিডিও এডিটিং জানলে আপনারা এটি পেশা হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। অথবা পার্টটাইম জব হিসাবে ভিডিও এডিট করতে পারেন।
৫. ডাটা এন্ট্রি
আপনারা চাইলে ডাটা এন্ট্রি কাজ করে মাসে ভাল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং এ মূলত প্রথম থেকেই সবাই ডাটা এন্ট্রির কাজ করত। তবে বর্তমানে ডাটা এন্টির কাজ একটু কঠিন হয়। অনেকেই আবার করতে চায়না। আপনারা যারা ডাটা এন্টির কাজ পারেন এবং দক্ষতা রয়েছে তারা অতি সহজেই করতে পারবেন। ডাটা এন্টির কাজ আপনাকে কোন কিছু লিস্ট দেওয়া হবে সেগুলো আপনাকে কম্পিউটারে ডাটা এন্ট্রি করতে হবে।
এছাড়া অনেক ধরণের কাজ রয়েছে। যেগুলো আপনাকে ডাটা এন্ট্রি করতে হয়। এই ডাটা এন্টির কাজ আপনারা কোম্পানিতেও করতে পারবেন। অর্থাৎ কোম্পানিতে ডাটা এন্টির চাকরি করতে পারবেন। এতে করে আপনার অনায়াসেই মাসে বিশ হাজার টাকার বেশি আয় হবে।
আরও পড়ুনঃ মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
৬. ওয়েব ডিজাইন
ওয়েব ডিজাইন হচ্ছে ওয়েব পেজ অথবা ওয়েবসাইটের লেআউট ডিজাইন করার কাজ। আপনাকে ওয়েবপেজ ডিজাইন করতে হবে। আপনি যদি এই কাজটি সম্পর্কে জেনে থাকেন। তাহলে এই কাজ করে খুব সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ওয়েব ডিজাইন করার জন্য সৃজনশীল দক্ষতার প্রয়োজন হয়ে থাকে।
আপনাদের যদি এই কাজে দক্ষতা থাকে। তাহলে বিদেশি ক্লায়েন্টদের ওয়েবসাইটের ডিজাইন করে টাকা আয় করতে পারেন। অনেক সময় বিদেশি ক্লাইন্টরা তাদের ওয়েবসাইট ডিজাইন করার জন্য কাজ দিয়ে থাকে। আপনারা চাইলে তাদের কাজ করে দিয়ে আয় করতে পারেন।
তবে এজন্য আপনাদের ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে ভাল ধারণা ও জ্ঞান থাকতে হবে। বর্তমানে ওয়েব ডিজাইন করে অনেকেই মাসে পঞ্চাশ হাজার টাকারও বেশি আয় করছে।
৭. গ্রাফিক ডিজাইন
একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজ হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের এনিমেশন তৈরি করা, পোস্টার তৈরি করা, ব্যানার তৈরি করা, বিজ্ঞাপন পেজ তৈরি করা ইত্যাদি। উপরোক্ত কাজ ছাড়াও গ্রাফিক ডিজাইনের আরও অনেক কাজ রয়েছে।
যেসব ব্যক্তিরা গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজে এক্সপার্ট রয়েছেন। তারা চাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং কাজ করে প্রতি মাসে অন্তত বিশ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারবেন। গ্রাফিক্স ডিজাইন করার জন্য সৃজনশীল দক্ষতা থাকতে হবে। এর পাশাপাশি কম্পিউটার দক্ষতা থাকতে হবে।
৮. অনলাইন ট্রেডিং
আপনারা চাইলে অতি সহজে প্রতি মাসে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে অনলাইন ট্রেডিং জনপ্রিয় একটি পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মে কাজ করার জন্য আপনার অভিজ্ঞতা ও এক্সপেরিয়েন্স দরকার হবে। কোন অভিজ্ঞতা ছাড়া অনলাইন ট্রেডিং প্লাটফর্মে কাজ করলে লাভবান হতে পারবেন না। বরং আপনার সময় ও টাকা দুটোই লস হতে পারে।
অনলাইন ট্রেডিং এ মূলত সর্বপ্রথমে কিছু টাকা ইনভেস্ট বা বিনিয়োগ করতে হয়। আপনারা যারা ইনভেস্ট করে টাকা আয় করতে চাচ্ছেন। তারা এই প্লাটফর্মে করতে পারেন। তবে মনে রাখা উচিত ট্রেডিং করতে হলে অনলাইন ট্রেডিং সম্পর্কে খুব ভাল ধারণা ও জ্ঞান থাকতে হবে। অনলাইন ট্রেডিং করে অতি সহজেই মাসে বিশ হাজার টাকারও বেশি আয় করা যায়।
আপনি ট্রেডিং শেখার জন্য ইউটিউব ব্যবহার করতে পারেন। বর্তমানে অনেকে ইউটিউব চ্যানেলে বিনামূল্যে ট্রেডিং কোর্স করিয়ে থাকে। আপনারা সেখান থেকে শিখে নিতে পারেন। মাসে বিশ হাজার টাকা আয় করার উপায় হিসাবে এটি খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
৯. ফেসবুক মার্কেটিং
বর্তমানে আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সহজ মাধ্যমে হচ্ছে ফেসবুক মার্কেটিং করা। ফেসবুকের যোগাযোগের মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই এখন টাকা আয় করতে পারছে। আপনি ফেসবুক মার্কেটিং করে আপনার কোন ছোটখাটো ব্যবসায় বা পণ্য বিক্রি করে অনায়াসে মাসে বিশ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
তবে এর জন্য ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে জ্ঞান থাকা অন্তাত জরুরী। ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে ফেসবুক মার্কেটিং এর চাহিদা রয়েছে। যারা আগে থেকেই ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে ভাাল বোঝেন। তারা হয়তো ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে জানেন। ফেসবুক মার্কেটিং করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর জ্ঞানের প্রয়োজন হয়ে থাকে।
আপনারা চাইলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ফেসবুক মার্কেটিং কোর্স করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং কাজের মধ্যে ফেসবুক মার্কেটিং কাজটি খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কারণ বর্তমানে বিদেশি ক্লায়েন্টরা তাদের পণ্য প্রমোট করার জন্য ফেসবুক মার্কেটিং কাজের বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে।
আরও পড়ুনঃ আর্টিকেল লিখে আয় পেমেন্ট বিকাশ
১০. ইউটিউবার
আপনি যদি সফল ইউটিউবার হতে পারেন। তাহলে খুব সহজেই টাকা আয় করতে পারবেন। তবে বর্তমানে ইউটিউবারদের এর চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে এই সেক্টরটিতে কাজ করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিনিয়ত ইউটিউবারের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। এবং তার সাথে সাথে প্রতিযোগিতাও বাড়ছে।
যার ফলে এই সেক্টর থেকে আয় করা একটু কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইউটিউব থেকে আয় করতে হলে আপনাকে একদম ইউনিক সৃজনশীল ভিডিও তৈরি করতে হবে। এর পাশাপাশি ভিডিও এডিট এর দক্ষতা। এবং ভিডিও বানানোর ক্ষমতা থাকতে হবে। তবে আপনাকে এখানে ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে।
একবার যদি আপনি সফল ইউটিউবার হতে পারেন। তাহলে প্রচুর অর্থ ইনকাম করতে পারবেন। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে ইউটিউবে আপনি নিজের ইচ্ছামত সময়ে কাজ করতে পারবেন। এখানে কেউ আপনার বস বা আপনাকে কেউ কাজের জন্য অডার করবে না।
১১. টাইপিং জব
আপনারা চাইলে টাইপিং করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে পারেন। বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানি ও বিদেশী ক্লায়েন্টরা টাইপিং জব দিয়ে থাকেন। টাইপিং কাজ করার জন্য কম্পিউটার সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান থাকতে হয়। আর কম্পিউটারে দ্রুত টাইপিং দক্ষতা থাকতে হয়। এছাড়া আপনারা যদি দ্রুত টাইপিং করতে পারেন।
তাহলে যে কোন জায়গাতে দোকান দিয়ে টাইপিং কাজ করতে পারেন। যেমন অনেক অফিস আদালতে দলিল লেখক প্রয়োজন হয়ে থাকে। আর দলিল লেখার জন্য কম্পিউটারে বসে টাইপিং করতে হয়। যারা এই কাজটি জানেন তারা করতে পারেন।
১২. মেকআপ আর্টিস্ট
আপনার যদি মেকআপ সম্পর্কে বেশি ভাল জ্ঞান থাকে। তাহলে আপনি অবশ্যই মাসে বিশ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। আপনি একটি মেয়েদের পার্লার কিংবা ছেলেদের পার্লার দিয়ে অনায়াসে আয় করতে পারবেন। যেকোন পার্লারে মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে জয়েন করে অনায়াসে মাসে বিশ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। শুধু থাকতে হবে মেকআপ সম্পর্কে জ্ঞান এবং মেকআপ করার দক্ষতা।
আপনি একজন ভাল মেকআপ আর্টিস্ট হয়ে থাকলে। খুব সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কারণ বর্তমানে মেয়েদের পার্লারদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। যেখানে ভাল দক্ষতা সম্পন্ন মেকআপ আর্টিস্টদের নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। আর মাস শেষে মেকআপ আর্টিস্টদের বেতন দেওয়া হয়ে থাকে।
১৩. গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স
বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। আপনারা যারা গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে অভিজ্ঞতা রয়েছে। তারা গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স করিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। আপনারা চাইলে অনলাইনে গ্রাফিক ডিজাইন কোর্স চালু করে আয় করতে পারেন। সে অনলাইনের মাধ্যমে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনের ক্লাস করাতে পারেন।
এবং মাস শেষে ভাল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। যদি আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনে দক্ষ হয়ে থাকেন। তাহলে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে কাজ করতে পারবেন। যেখানে আপনাকে বিদেশিরা কাজ দিবে। এবং আপনি তাদের কাজ ঠিকভাবে করে দিলে তারা আপনাকে পেমেন্ট করবে। এভাবে আপনি অনায়াসে মাসে বিশ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারবেন।
১৪. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
ওয়েবপেজ উন্নতি করার জন্য মূলত ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজ করতে হয়। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজ করার জন্য প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ অর্থাৎ কোডিং সম্পর্কে জানতে হয়। যাদের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ও কোডিং এর উপর দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা রয়েছে তারা এই কাজটি করতে পারবেন।
বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে ওয়েবপেজ পোশার অথবা ওয়েবপেজের সমস্যা সমাধান করার কাজ করতে হয়। এই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এ কাজ করে আপনারা চাইলে অতি সহজেই প্রতি মাসে বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ বিজ্ঞাপন দেখে টাকা আয়
১৫. অনলাইনে শিক্ষকতা ও টিচিং
আপনি যদি কোন বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করে থাকেন। তাহলে আপনি সেটি অনলাইনে কোর্স করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। এর থেকে আপনি অনায়াসে মাসে বিশ হাজারেরও বেশি টাকা আয় করতে পারবেন। শুধু আপনার প্রয়োজন যে কোন বিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞান ও দক্ষতা থাকা।
তাহলেই আপনি অনলাইনে শিক্ষকতা করে ইনকাম করতে পারবেন। তবে অনলাইনে শিক্ষকতা করার জন্য সামান্য কিছু টাকা ইনভেস্ট করতে হয়। প্রথমত আপনার ইন্টারনেট সংযোগ ভাল থাকতে হবে। যেই মোবাইল দিয়ে ভিডিও করবেন সেটি ভাল হতে হবে। ভিডিওর কোয়ালিটি ভাল হতে হবে।
এই বিষয়গুলো লক্ষ্য রেখে কাজ করলে আপনি অনলাইনে শিক্ষকতা করতে পারবেন। আর এভাবে কাজ করে গেলে আপনি অনলাইনে একসময় ভাল মানের শিক্ষক হয়ে উঠবেন।
১৬. ডিজিটাল মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং কাজ করার মাধ্যমে বর্তমানে সকলেই হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছে। আপনারা যারা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে এক্সপার্ট রয়েছেন তারাও চাইলে প্রচুর পরিমাণে টাকা আয় করতে পারেন। তবে ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান থাকতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে অনেকগুলো বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সেগুলো সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান ও দক্ষতা থাকতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটারদের কাজ মূলত বিজ্ঞাপন প্রচার পরিচালনা করা। অনেক বিদেশী কর্মীরা তাদের পণ্যের প্রচার প্রচারণাে জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর সহযোগিতা নিয়ে থাকে।
ডিজিটাল মার্কেটিং করতে জানলে আপনারা এসব বিদেশি বায়ারদের কাজ করে দিতে পারবেন। তারা আপনাকে তাদের পণ্য প্রচারের জন্য ভাল অর্থ পেমেন্ট করে থাকবে। এর ফলে খুব সহজে মাসে অন্তত বিশ থেকে ত্রিশ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
১৭. ট্রান্সলেটর
আপনাদের কারও যদি আন্তর্জাতিক ভাষা অথবা নির্দিষ্ট কোন ভাষার উপর দক্ষতা থেকে থাকে। তাহলে আপনারা ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে ট্রান্সলেশন পরিষেবা দেয়ার মাধ্যমে আয় উপার্জন করতে পারবেন। এই কাজ করার জন্য কোন ধরণের ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না।
তবে এই কাজের জন্য ভাষাগত জ্ঞান ও দক্ষতা থাকতে হবে। আর থাকতে হয় কম্পিউটারের সাধারণ জ্ঞান। আপনারা যদি যেকোন ভাষায় পারদর্শী হয়ে থাকেন। তাহলে অনলাইনে ক্লায়েন্টদের ট্রান্সলেশন পরিষেবা দিতে পারবেন।
১৮. অনলাইন মার্কেটপ্লেসে পণ্য বিক্রি
আপনি আপনার ব্যবসায়ের পণ্য অনলাইন মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করতে পারেন। দারাজ এর মত অনলাইন মার্কেটপ্লেস আপনার পণ্য দিয়ে ব্যবসায় করতে পারেন। এবং মাসে বিশ হাজার টাকা আয় করতে পারেন। আপনি এখানে অল্প পুঁজিতে ব্যবসায় শুরু করতে পারবেন। যার ফলে যে কেউ এখানে ব্যবসায় করে সচ্ছল হতে পারে।
১৯. অনলাইন কাস্টমার সার্ভিস
আপনারা বিভিন্ন কোম্পানিতে অনলাইন কাস্টমার সার্ভিস হিসেবে যোগদান করতে পারেন। আপনার মূল কাজ হবে অনলাইনে কাস্টমারদের সেবা দেওয়া। মূলত কোম্পানি বিষয়ক কোন কাজের সেবা প্রদান করা। বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বা কোম্পানিতে অনলাইন কাস্টমার সার্ভিস এর জন্য লোক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
সেখানে আপনারা চাকরি করে মাসে বিশ হাজার টাকারও বেশি আয় করতে পারবেন। এই কাজগুলো অনেক সময় ঘরে বসে করা যায়। আবার অনেক সময় কোম্পানির অফিসে বসে করতে হয়।তবে আপনারা চাইলে বিদেশি ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করতে পারেন।
কারণ বিদেশী ক্লায়েন্টরা তাদের বিজনেস ওয়েবসাইটের জন্য অনলাইন মেন্টাল খুজে থাকেন। আপনি তাদের ওয়েবসাইটে অনলাইন কাস্টমার সার্ভিস হিসেবে কাজ করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ টাকা আয় করার apps
২০. ফটোগ্রাফি
ফটোগ্রাফি অর্থাৎ ছবি তোলার মাধ্যমেও টাকা আয় করা সম্ভব। অনেক ধরণের ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে ছবি বিক্রি করে টাকা আয় করা সম্ভব। আপনি যদি একজন ভাল ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার হয়ে থাকেন। তাহলে খুব সহজেই প্রতিমাসে ভাল পরিমাণে টাকা আয় করতে পারবেন।
তবে আপনাদের ফটোগ্রাফিতে এক্সপার্ট হতে হবে। আপনার তোলা ছবিগুলো অবশ্যই ইউনিক এবং অন্তাত উন্নত মানের হতে হবে। এসব ছবিগুলো আপনারা বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট যেমনঃ প্রিন্টারেস্ট, সাটারস্টক ইত্যাদি ওয়েবসাইটে আপলোড করে টাকা আয় করতে পারবেন।
এর পাশাপাশি আরও অনেক ধরণের ওয়েবসাইট রয়েছে। যেগুলোতে ছবি আপলোড করে ইনকাম করা সম্ভব। আপনারা গুগলে সার্চ করে সেই সব ওয়েবসাইটের নাম গুলো দেখে নিবেন।
শেষ কথা
এই আর্টিকেলে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। যেগুলোর মাঝে থেকে আপনি আপনার যোগ্যতা ও সামর্থ্য অনুযায়ী যেকোন একটি বেছে নিতে পারেন আপনার অনলাইন ক্যারিয়ার হিসেবে। যেখানে কাজ করে আপনি যশ ও খ্যাতি উভয়ই পেতে পারেন।
কিন্তু সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে অবশ্যই একটু ভাবনা-চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিবেন। যে কাজটি আপনার ভাল লাগে, যে কাজে আপনার মন বসবে কাজ করে শান্তি পাবেন। যেটি আপনি দীর্ঘদিন যাবত চালিয়ে যেতে পারবেন। আমি মনে করি সেটি আপনার নির্বাচন করা উচিত। তবেই সাফল্যের চুড়ায় পৌঁছাতে পারবেন।
আর্টিকেলটি পড়ে কোন বিষয় যদি না বুঝে থাকেন। তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন আর আর্টিকেলটি যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। এরকম জানা অজানা তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট এর সাথে থাকুন। ধন্যবাদ