সরকারি ইনকাম সাইট
অনলাইন ইনকাম হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই আপনার হাতে থাকা মোবাইলফোন দিয়ে টাকা আয় করা। অনলাইনে বিভিন্নভাবে টাকা আয় করা যায়, তার মধ্যে ছোটখাটো কিছু কাজ করে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা যায়।আপনি যদি অনলাইনে বেশি পরিমাণ টাকা আয় করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে ডেক্সটপ কিংবা কম্পিউটার নিতে হবে। তাহলে আপনি লাইফ টাইমের জন্য ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করতে পারেন। আসলে মোবাইল দিয়ে ছোটখাটো কাজ করে টাকা আয় করা যায়। তা লাইফ টাইম এর নয়।
আজকের এই আর্টিকেলে সরকারি ইনকাম সাইট, সরকারি অনুমোদিত অনলাইন ইনকাম, সরকার অনুমোদিত ইনকাম app ও সরকার অনুমোদিত অনলাইন ইনকাম সাইট সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন আজকের পোস্টটি শুরু করা যাকঃ
সরকারি ইনকাম সাইট?
সরকারি সাইটে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনাকে সব সময় সরকারি ওয়েবসাইট গুলোতে নজর রাখতে হবে। সরকার প্রতি তিন থেকে চার বছর পর পর আদমশুমারির জরিপ এবং অন্যান্য ছোট ছোট কাজের জন্য কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকেন।
আর সেই সুযোগটি কাজে লাগাতে আদমশুমারি, জরিপ এবং অন্যান্য ছোট কাজের জন্য এপ্লাই করতে পারেন। তাহলে আদমশুমারি এবং জরিপ করে অল্প কিছুদিন কাজ করার মাধ্যমে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
এবং উক্ত আদমশুমারি এবং জরিপ আপনাকে অনলাইনে জমা দিতে হবে। আর এই কাজগুলে করার জন্য আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন। নতুবা আপনি এই কাজ পারবেন না।
সরকার অনুমোদিত অনলাইন ইনকাম সাইট?
সরকার অনুমোদিত কয়েকটি অনলাইন ইনকাম ওয়েবসাইট আছে। যেগুলোর মাধ্যমে আপনি চাইলে টাকা ইনকাম করতে পারেন। নিচে সরকার অনুমোদিত অনলাইন ইনকাম সাইটের তালিকা দেওয়া হলোঃ
- বিকাশ অ্যাপ
- নগদ অ্যাপ
- উবার অ্যাপ
- পাঠাও অ্যাপ
অনলাইন ইনকাম সাইট?
অনলাইনে টাকা ইনকামের অনেক ওয়েবসাইট আছে। যে ওয়েবসাইটগুলোতে আপনি লাইফটাইম পর্যন্ত কাজ করতে পারেন। কিন্তু তার জন্য লাগবে আপনার ধৈর্য শক্তি। নিচে অনলাইন ইনকাম সাইটের তালিকা দেওয়া হলোঃ
Shutter stock
শাটার স্টক হচ্ছে অনলাইনে ছবি আপলোড করে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার জন্য সব থেকে জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট। আপনি যদি ছবি তোলায় খুবেই পারদর্শী হয়ে থাকেন। তাহলে এই ওয়েবসাইটে আপনার তোলা ছবিটি বিক্রি করার মাধ্যমে মাসে ভালো পরিমাণ টাকা আয় করতে পারেন।
YouTube
ইউটিউব হচ্ছে অনলাইনে ঘরে বসে টাকা আয় করার সবচেয়ে সহজ একটি মাধ্যম। ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে আপনি সারা জীবন কাজ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনার ভিডিও বানানোর দক্ষতা থাকা লাগবে ও ভিডিও এডিট করার দক্ষতা থাকতে হবে। তাহলে আপনি মাস শেষে ভাল পরিমাণ টাকা আয় করতে পারেন।
ইউটিউবের মতো ফেসবুকে আপনি একটি পেজ খুলে সেখানে ভিডিও বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আপলোড করে টাকা আয় করতে পারেন। সেক্ষেত্রেও আপনার ভিডিও বানানোর দক্ষতা এবং ভিডিও এডিট করার দক্ষতা লাগবে। আপনি যদি ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করেন, তাহলে মাস শেষে ভাল পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন।
Upwork
ফাইবারের মতো upwork হলো একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। যেখানে আপনার স্কিলকে কাজে লাগিয়ে মাস শেষে হিউজ পরিমাণ টাকা আয় করতে পারেন। এই মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই দক্ষ হতে হবে।
যেমনঃ কোডিং করার দক্ষতা, ভিডিও এডিট করার দক্ষতা, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করার দক্ষতা, ফটোশপে কাজ করার দক্ষতা, কনটেন্ট রাইটিং ইত্যাদি আরো অনেক কাজ রয়েছে। যেগুলো আপনাকে সঠিকভাবে জানতে হবে।
এর মধ্যে সব কাজেই জানতে হবে তা নয়। যেকোন একটি বিষয়ে আপনাকে খুব ভালভাবে জানতে হবে। তাহলে ওই সেক্টরে কাজ করে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন।
Fiverr
ফাইবার হচ্ছে অনলাইন জগতের সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস। এখানে দেশি ও বিদেশি অনেক ফ্রিল্যান্সার কাজ করেন। সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এবং সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হচ্ছে ফাইবার। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে মাস শেষে ভালো পরিমাণ টাকা আয় করতে পারেন।
এজন্য আপনার অনলাইন ভিত্তিক যেকোন একটি কাজের দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। নতুবা আপনি এই সাইটে কাজ করতে পারবেন না। যেমনঃ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কোডিং করা, গ্রাফিক্স ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি কাজ জানা থাকতে হবে।
স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম?
একমাত্র ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যই অনলাইনে টাকা ইনকাম করার একটি বড় সুযোগ। ছাত্র-ছাত্রীরন চাইলে তাদের লেখাপড়ার পাশাপাশি ঘরে বসেই অনলাইনে টাকা আয় করতে পারেন। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন প্রচুর ধৈর্য এবং ধারাবাহিকতা।
কারণ অনলাইন সেক্টরে কাজ করতে গেলে ধারাবাহিকতা এবং ধৈর্য না থাকলে আপনি কখনোই সফল হতে পারবেন না। আজকাল চাকরির বাজারে যে পরিমাণ কম্পিটিশন, সেই কম্পিটিশনের মাঝে পড়াশুনা করে ভাল চাকরি করার স্বপ্ন না দেখাই ভাল হবে।
তার চেয়ে স্টুডেন্ট লাইফ থেকে যদি অনলাইনে নিজের ক্যারিয়ার গঠন করা যায়। তাহলে ভবিষ্যতে চাকরি নিয়ে আর তেমন কোন ধরনের চিন্তা করা লাগবে না। আর সেজন্য স্টুডেন্ট লাইফ থেকেই চাইলে ব্লগিং ও ইউটুবিং করেও টাকা আয় করা যেতে পারে।
অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে ২০২৫?
মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম করার সহজ কিছু ওয়েবসাইট আছে। যেগুলোতে আপনি ছোট কিছু কাজ করে ভালো পরিমাণ টাকা আয় করতে পারেন। তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হলো মাইক্রো ওয়ার্কার।
মাইক্রো ওয়ার্কারছে ছোট ছোট কাজ যেমনঃ ইমেইল খুলে দেওয়া, বিভিন্ন ধরনের এডস দেখা, ইউটিউব ভিডিও দেখা, লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করা, ফেসবুক আইডি খুলে দেওয়া ইত্যাদি কাজ করে ভালো পরিমাণ টাকা আয় করতে পারেন।
প্রতিদিন ১০০০ টাকা অনলাইন ইনকাম?
প্রতিদিন ১০০০ টাকা অনলাইনে ইনকাম করা যায় এমন কিছু বাংলাদেশী ওয়েবসাইট রয়েছে। যেমনঃ workuplace, onesteptask, bartamanit এই সাইটগুলোতে বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট কাজ করে টাকা আয় করতে পারেন।
এ ধরনের আরোও অনেক মাইক্রো জবস সাইট আছে, এই সাইট গুলোতে কাজ করার মাধ্যমে মোবাইল দিয়েই মাস শেষে ভাল পরিমান টাকা অনলাইনে আয় করতে পারেন।
গুগল থেকে টাকা ইনকাম?
আপনি চাইলে গুগল থেকে টাকা আয় করতে পারেন। গুগল থেকে টাকা আয় করার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হচ্ছে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা। গুগোলে আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে। তাহলে সেখান থেকে আপনি গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে প্রতি মাসে অনেক ভালো পরিমাণ টাকা আয় করতে পারেন। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন আর্টিকেল লেখার দক্ষতা এবং ধৈর্য।
গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয়?
গুগল এডসেন্স থেকে টাকা করতে হলে আপনার একটি ব্লগ স্পট অথবা ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট থাকা প্রয়োজন। ওয়েবসাইট তৈরি ছাড়াও আপনি গুগলের অনেক সার্টিফাইড প্ল্যাটফর্ম পাবেন। যেখান থেকে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারেন।
গুগল এডসেন্স থেকে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে টাকা আয় করা হয়। আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে সেখানে গুগলের বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন শো করার মাধ্যমে আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা যোগ হবে।
এভাবে মাস শেষে ভাল পরিমাণের একটি টাকা আয় হবে। টাকা আয় করার জন্য গুগল এডসেন্স থেকে গুগলে একটি ওয়েব সাইট থাকা প্রয়োজন। এই উপরের সাইটগুলোতে বিশ্বস্ততার সাথে কাজ করতে পারেন। কোন ধরনের সমস্যা ছাড়াই। আশা করছি আপনারা বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
শেষ কথা
আশা করেছি সরকার অনুমোদিত অনলাইন ইনকাম সাইট সম্পর্কে একটি বিস্তারিত ধারণা পেয়ে গেছেন। অনলাইনে কাজ করলে সাথে সাথে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন না। আপনি মনোযোগ সহকারে ধৈর্য নিয়ে এক বছর কাজ করলে, সফলতা আপনার একদিন আসবেই। সবাইকে ধন্যবাদ।